• বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
প্রতিজ্ঞা করেছিলাম ফিরে আসবোই: শেখ হাসিনা জনগণের শক্তি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি: শেখ হাসিনা আজ হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

কেরানীগঞ্জের সেই কারখানা সিলগালা

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯  

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় ভয়াবহ আগুন লাগা সেই প্লাস্টিক সামগ্রী তৈরির কারখানাটি সিলগালা করে দিয়েছে প্রশাসন। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিত দেবনাথ কারাখানাটি সিলগালা করেন।

গত বুধবার বিকেলে 'প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ' নামের এই কারখানাটিতে আগুন লাগে। এতে দগ্ধদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। কারখানাটি সিলগালা করে ইউএনও অমিত দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেন, কারখানাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।

তিনি বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে এক লাখ টাকা করে সহায়তা দেওয়া হবে। এ ছাড়া নিহতদের দাফনে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা এবং আহত ব্যক্তিদের ১৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।

দগ্ধ কয়েক শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে ধারণা পাওয়া গেছে, কারখানায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে শ্রমিকরা ভেতরেই আটকা পড়েন। সেখানে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের থালা, গ্লাস ও বিভিন্ন খাবার সরবরাহে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের বাক্স ও প্যাকেট তৈরি করা হতো।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঢামেকের বার্ন ইউনিট কর্তৃপক্ষ সব চিকিৎসক ও কর্মীর ছুটি বাতিল করে দায়িত্বে নিয়োজিত করেছেন।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, ওইদিন বিকেল ৪টার দিকে কারখানাটিতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তর, পোস্তগোলা ও কেরানীগঞ্জ থেকে ১০টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। আগুন লাগার খবরে স্থানীয় লোকজনও ভিড় করে সেখানে। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরাও দগ্ধদের উদ্ধার কাজে অংশ নেন।

আগুন লাগার ব্যাপকতার খবরে ঢাকা থেকে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ২০টি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এসব অ্যাম্বুলেন্সে করে দগ্ধদের দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

ফায়ার অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ' ওইদিন সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও নেভাতে আরও সময় লেগেছে। আগুনে দগ্ধদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। আগুন নেভানোর পর তল্লাশি করে ভেতর থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।'

কেরানীগঞ্জের কারখানাটির আগুনে দগ্ধ একজন ঘটনাস্থলে ও ১২ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এছাড়া চিকিৎসাধীন অন্যদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।