• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

স্বপ্ন পূরণের পথে পদ্মা সেতু-মেট্রোরেল

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯  

 


পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল নির্মাণ একল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ২০০৯ সালে শুরু হওয়া পদ্মাসেতু নির্মাণ প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে ৬৩ শতাংশ এবং ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের পিলার নির্মাণ ও স্প্যান বসানোর কাজও প্রায় শেষ। ২০২১ সালের জুনে পদ্মা সেতু এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ শেষ হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরে (২০১৯-২০) সরকারের ১০ মেগা প্রকল্পের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পদ্মা সেতুতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে ২ হাজার ৭১৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। এ প্রকল্পে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫ হাজার ৩৭০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে এই খাতে বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে মেট্রোরেল প্রকল্পে ৭ হাজার ২১২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, নানা জটিলতা কাটিয়ে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে। ২০১৭ সালে নদীর গভীরতার কারণে সেতুর ১৪টি পিলারের নকশা পরিবর্তন করা হয়। মোট ৪১টি স্প্যানের মধ্যে এ পর্যন্ত ১৯টি স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে ২ হাজার ৮৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে। সেতু নির্মাণ প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে ৬৩ শতাংশ।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জটিল সব কাজ শেষ। এখন শুধুই অগ্রগতি। ২০২১ সালের ৩০ জুনের মধ্যে সব কাজ শেষ করে সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।’
এদিকে, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পটির কাজও এগিয়ে চলেছে। সেতু উদ্বোধনের দিন থেকেই চলবে ট্রেন। এই রেলপথ নির্মাণে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা ৬৯ পয়সা। ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত রেললাইন নির্মিত হয়ে গেছে। ভাঙ্গা থেকে পদ্মাসেতু হয়ে মাওয়া পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের কাজ খুব অল্প সময়ে শেষ করা হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যেই শেষ হবে পদ্মাসেতুতে রেলের সব কাজ—এমন প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে রেলওয়ের আওতায় আনার লক্ষ্যে ঢাকা থেকে পদ্মাসেতু দিয়ে যশোর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের পরিকল্পনার পরিপ্রেক্ষিতে পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্প-১ (ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা) এবং প্রকল্প-২ (ভাঙ্গা-নড়াইল-যশোর) নামের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। সরকারের এই প্রকল্পে অর্থায়ন করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম আরেকটি হলো মেট্রোরেল প্রকল্প। ঢাকা মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট (এমআরটি) লাইন- ৬ প্রকল্প বা মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১২ সালে। রাজধানীর যানজট কমানোর লক্ষ্য নিয়ে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ২০২৪ সালের মধ্যে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মিরপুর হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মিত হবে। এর মধ্যে ২০১৯ সালের মধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ট্রেন চলাচল চালু করার কথা থাকলেও হয়নি। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত পিলার নির্মাণের কাজ শেষ, চলছে স্প্যান বসানোর কাজ। উত্তরার কিছু অংশে স্প্যান বসানো শুরু হয়েছে। আগারগাঁও থেকে ফার্মগেট হয়ে কাওরান বাজার, বাংলামোটর ও শাহবাগ পুরানা পল্টন, দৈনিক বাংলা হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত কাজ শুরু হয়েছে। পাইলিং শেষে এসব এলাকায় পিলার বসানোর কাজ চলছে।
এ প্রসঙ্গে মেট্রোরেল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আমরা কোনও ধরনের ঢিলেমি ছাড়াই কাজ করছি। বেঁধে দেওয়া সময় ২০২৪ সালের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে।’