• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

দেশে আরো একটি জ্বালানি তেল রিফাইনারি হচ্ছে

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯  

 

পরিশোধিত তেল আমদানির উপর নির্ভরশীলতা কমাতে দেশেই আরো একটি তেল পরিশোধনাগার স্থাপন হচ্ছে। বিদেশ থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি করে দেশেই চাহিদা অনুযায়ী তেল পরিশোধন করার জন্য এটি হবে কম্পোজিট পেট্রোলিয়াম রিফাইনারি।

বিশাল এ প্রকল্পটির জন্য একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেয়া হবে।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) সূত্রে জানা গেছে, সর্বোচ্চ স্কোর অর্জনকারী স্পেনের টেকনিকাসকে এই রিফাইনারি নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পরামর্শক ফার্ম হিসেবে নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ জন্য  মোট ব্যয় হবে ২৪ কোটি ৫৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

কম্পোজিট পেট্রোলিয়াম রিফাইনারিটি পটুয়াখালীর পায়রা বন্দর এলাকায় নির্মিত হবে। এজন্য পটুয়াখালির চারটি মৌজায় এক হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। দেশের একমাত্র তেল পরিশোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারির পর এটি হবে দ্বিতীয় তেল শোধনাগার।

দেশে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি, অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের মাধ্যমে প্রসেসিং করে পরিশোধন ও সরকার নির্ধারিত মূল্যে বাজারজাত করা হয়। দেশে উত্তরাত্তর জ্বালানি তেলের চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পরিশোধিত তেলের আমদানি নির্ভরতা কমানো এবং সরকারের আর্থিক সাশ্রয় বিবেচনা করে পায়রা বন্দর এলাকায় একটি কম্পোজিট পেট্রোলিয়াম রিফাইনারিটি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

জানা গেছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী পায়রা বন্দর এলাকায় কম্পোজিট পেট্রোলিয়াম রিফাইনারি স্থাপনের জন্য আনুমানিক এক হাজার একর জমি অধিগ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে ধুলাসার, চরচাপালী, বোলতলী ও কাওয়ার চরে প্রায় এক হাজার একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। সে অনুযায়ী দাগসূচি, মৌজা, ম্যাপ ও খতিয়ান নম্বরসহ প্রস্তাবিত জায়গায় রিফাইনারি স্থাপনের জন্য মাটি ভরাটের প্রাক্কলন সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

সে পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী রিফাইনারি স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পাদনের জন্য পরামর্শক নিয়োগের জন্য পিপিআর (সরকারি ক্রয় আইন) প্রতিপালন করে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকাসহ অন্যান্য মাধ্যমে ইওআই (আগ্রহপত্র) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।

এতে ১৭টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। আগ্রহপত্র মূল্যায়ন করে মূল্যায়ন কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে সর্বোচ্চ সাতটি প্রতিষ্ঠানকে ‘এলওআই’ প্রদান করা হয়।

কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী সর্বোচ্চ স্কোরকারী সাতটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চারটি প্রতিষ্ঠানের দাখিলকৃত ‘আরইপি’ মূল্যায়নপূর্বক মূল্যায়ন কমিটি ও আরইপি ফরম্যাটের সিলেকশন ক্রাইটেরিয়া বিবেচনায় নিয়ে চূড়ান্ত কারিগরি প্রতিবেদন তৈরি করে কমিটি সুপারিশ করে।

কারিগরি ও আর্থিক মূল্যায়ন অনুযায়ী মূল্যায়ন কমিটি দুটি প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ নম্বর দেয়। ইতালির ‘কে টি নাইটিস টেকনোলজি কারিগরি ও আর্থিক স্কোর করে সর্বমোট ৯১ দশমিক ৩৯ নম্বর। স্পেনের ‘টেকনিকাস রুনিডাস’ কারিগরি ও আর্থিক স্কোর করে ৯২ দশমিক ২৩ নম্বর। ফলে মূল্যায়ন কমিটি সার্বিক বিবেচনায় স্পেনের প্রতিষ্ঠানকে আলোচ্য কাজটি করার জন্য পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের সুপারিশ করে। সে অনুযায়ী স্পেনের ‘টেকনিকাস রুনিডাস’ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে বলে বিপিসি সূত্রে জানা গেছে।