• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

থার্টি ফার্স্ট উপলক্ষে তিনদিন মদ কেনাবেচা বন্ধ

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯  

 

 

 

ইংরেজি নববর্ষের প্রথম প্রহর থার্টি ফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। রাত ৮টার পর রাজধানীর সড়কে বাড়তি তল্লাশি চালাবে পুলিশ। এ রাতে রাজধানীসহ সারা দেশের বার বন্ধ বা মদ কেনাবেচার উপরে নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করা হয়েছে। এ রাতে ভুভুজেলা বাজানো, পটকা ফোটানো এবং আতশবাজি পোড়ানো যাবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

থার্টি ফার্স্ট নাইট পালন হয় বিশ্বব্যাপি- ফাইল ছবি

গত ১৩ ডিসেম্বর এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভপতিত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার খোলা জায়গায় থার্টি ফাস্টের কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না। করা যাবে না নাচ গানের আয়োজন। পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে সীমিত পরিসরে ঘরের মধ্যে বা হোটেল-ক্লাবে আয়োজন করা যাবে। 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ’র (ডিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, হাতিরঝিল, গুলশান, বনানীসহ আরও কিছু এলকায় আমরা ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকেই যানবাহন ও নগরবাসীর চলাচল নিয়ন্ত্রণ করব। অন্যান্য এলাকায়ও আমরা পুলিশ টহল এবং নজরদারি বাড়াব। প্রয়োজনে অন্যান্য সড়ক এবং আবাসিক এলাকায়ও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করব।’

 

৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার পর রাজধানীর কোথাও উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠান, কনসার্ট বা নাচ গানের আয়োজন করা যাবে না। বিশেষ করে মাঠে, ফ্লাইওভারে, রাস্তার পাশে কোনো আয়োজন চলবে না। আর বাড়িতে, হোটেলে বা ক্লাবে কোনও আয়োজন করলে তা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে করতে হবে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা। 

রাতে রাজধানীতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তল্লাশী- ফাইল ছবি

জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি ভোর পর্যন্ত আবাসিক বাসিন্দারা ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। আবাসিক বাসিন্দারাদেও পরিচয়পত্র দেখিয়ে প্রবেশ করতে হবে।

থার্টি ফার্স্টকে সামনে রেখে ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি ঢাকাসহ সারাদেশে মদের বার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। ফলে এই তিনদিন মদ কেনা-বেচা বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি এ তিনদিন মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

অধিদফতরের ঢাকা মেট্রো অঞ্চলের প্রধান মুকুল জ্যোতি চাকমা বলেন, পাঁচ তারকা হোটেলের বারগুলোকে আমরা খোলা বা বন্ধ রাখার বিষয়ে কিছু বলছি না। তবে ওই বারগুলোর ওপর আমাদের নজরদারি থাকবে। তিনদিনের মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান সম্পর্কে তিনি বলেন, মাদকবিরোধী অভিযান একটি চলমান অভিযান। তবে আমরা এই তিনদিনে আমাদের তৎপরতা আরও বাড়বে। যেখানেই মাদক পাব সেখনেই ধরব। স্পটগুলোতে অভিযান হবে।