• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

১১ সংস্থাকে এক ছাতার নিচে আনার পরিকল্পনা করছে সরকার

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯  

 

আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সহজীকরণে অবশেষে সরকারি সবগুলো সংস্থাকে এক ছাতার নিচে আনার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এখনো ব্যবসায়িক নানা কাজের সনদ নিতে ব্যবসায়ীদের ছুটতে হচ্ছে বিভিন্ন দপ্তরের দ্বারে দ্বারে। এ অবস্থায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হবে গভমেন্ট টু বিজনেস সলিউশন শীর্ষক ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেম। এর আওতায় অন্তত ১১টি সংস্থাকে ওয়ান স্টপ সেন্টারে আনা হবে। 

দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দরের অবস্থান চট্টগ্রামে হলেও আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের সাথে সম্পৃক্ত গুরুত্বপূর্ণ সবগুলো দপ্তরের প্রধান কার্যালয় রাজধানী ঢাকায়। যে কারণে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের ক্ষেত্রে বন্দর, কাস্টমস, শিপিংয়ের মতো ১১ থেকে ১৪টি সংস্থার সনদ প্রয়োজন। এসব সনদ সংগ্রহের পর পণ্য ছাড় নেয়া কিংবা রপ্তানি করতে গিয়ে পেরিয়ে যাচ্ছে এক সপ্তাহের বেশি সময়।

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, সব জায়গায় যদি ওয়ান স্টপ সার্ভিস করে এবং গ্রিন চ্যানেলে যদি মাল ডেলিভারি দেয়, তাহলে ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি কমবে। 

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বিশ্ব বাজারে বর্তমানে বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যগুলোকে নানা ধরনের প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হচ্ছে। এর মধ্যে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে নানা জটিলতায় সময় ক্ষেপণ। বিশেষ করে নির্ধারিত সময়ে কাঁচামাল বুঝে পাওয়া কিংবা উৎপাদিত পণ্য জাহাজীকরণ বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিজিএমইএ সহ-সভাপতি এ এম চৌধুরী সেলিম বলেন, এ বিষয়টাকে যদি সরকার ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মতো করে করতে পারে, তাহলে সময় যেমন বাঁচবে, সঙ্গে ইকোনোমি ও বাড়বে। 

চট্টগ্রাম সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন বাচ্চু বলেন, পণ্য দ্রুত খালাস হবে এবং পণ্য খালাসের ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, তা দূর হবে। 


এ অবস্থায় সরকারি অন্তত ১১টি সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠানকে এক ছাতার নিচে আনার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রথম পর্যায়ে প্রকল্পটি হবে গভমেন্ট টু বিজনেস সলিউশন।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সদস্য মোহাম্মদ জাফর আলম বলেন, এটিতে বড় ধরনের সংস্কার হবে। এর ফলে ব্যবসা অনেক সহজ হবে, খরচ কমবে ও বন্দর আরও গতিশীল হবে। 

দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ৯২ শতাংশ সম্পন্ন হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। কন্টেইনারে যে সংখ্যা ৩০ লাখের বেশি এবং কার্গো পণ্যে অন্তত ৯ কোটি মেট্রিক টন।