• বুধবার ০১ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

  • || ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

কাস্টমস কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়েই আইন করার সুপারিশ

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

 


কাস্টমস কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়েই সংসদে উত্থাপিত ‘কাস্টমস বিল, ২০১৯’ পাসের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

জানা যায়, ‘কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯’ এ কাস্টমস কর্মকর্তাদের প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রদান সংক্রান্ত ১৫৮ (ক) ধারাটি ছিল না। রাজস্ব আদায়ে নির্বিঘ্নে আইনটি যেন প্রয়োগ করতে পারেন সে লক্ষ্যে ২০০০ সালে শুধু রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে কাস্টমস কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রদান করা হয়। এটি বলবৎ রেখে এই নতুন আইন পাসের সুপারিশ করেছে কমিটি।

রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির পঞ্চম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, কমিটিতে প্রেরিত ‘কাস্টমস বিল, ২০১৯’ এ পর্যালোচনা শেষে কাস্টমস কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রদানসহ বিলটি হুবহু সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত বৈঠকে গৃহীত হয়। এছাড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে লাভের হার যেন কোনোভাবে কমে না যায় সে বিষয়ে যথাযথ পর্যালোচনা ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বৈঠকে সুপারিশ করা হয়।

তবে কাস্টমস আইনে কর্মকর্তাদের প্রথম শ্রেণির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয়ায় নাখোশ প্রশাসন সার্ভিস।

প্রসঙ্গত, কাস্টমস কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে ১১ সেপ্টেম্বর অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ‘কাস্টমস বিল-২০১৯’ সংসদে উত্থাপন করেন। পরে তা ৩০ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

এরপর ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিএএসএ) প্রস্তাবিত নতুন কাস্টমস আইনে কর্মকর্তাদের প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয়া ১৮৯ ধারাটি বাতিল করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানিয়েছে। চিঠির অনুলিপি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকেও দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, ১৯৬৯ সালের কাস্টমস আইনে কর্মকর্তাদের প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয়া হয়নি। পরে এ আইন সংশোধন করে নতুন ধারা (১৫৮-এ) যুক্তের মাধ্যমে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া হয়। এ ধারায় বলা আছে, কাস্টমস আইনের অধীনে সহকারী কাস্টমস কমিশনার পদমর্যাদার কর্মকর্তারা প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের মতো ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী যেকোনো স্থানে প্রবেশ, তল্লাশি, আটক এবং গ্রেফতার করতে পারবেন। প্রস্তাবিত নতুন কাস্টমস আইনের এ ক্ষমতা বহাল রাখা হয়েছে (১৮৯ ধারা)।

কমিটি সদস্য অর্থ মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, কাজী নাবিল আহমেদ, আহমেদ ফিরোজ কবির এবং রুমানা আলী বৈঠকে অংশ নেন। এছাড়াও বৈঠকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব, অর্থ সচিব, বিভিন্ন দফতর-সংস্থার প্রধানসহ মন্ত্রণালয় এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।