• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী

সেনাবাহিনী কতদিন মাঠে থাকবে সরকার বিবেচনা করবে: সেনাপ্রধান

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১ এপ্রিল ২০২০  

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস প্রকোপের বর্তমান পরিস্থিতিতে যতদিন প্রয়োজন হবে ততেদিন সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। 

তিনি বলেন, সেনাবাহিনী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ করে যাচ্ছে। পরিস্থিতির আলোকে কতদিন সেনাবাহিনী কাজ করবে তা সরকার বিবেচনা করবে।

বুধবার (১ এপ্রিল) সচিবালয়ে করোনার কারণে দেশের সার্বিক ব্যবসা-বাণিজ্য পরিস্থিতি নিয়ে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানান। 

বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত রয়েছেন।

জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, সেনাবাহিনী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ করে যাচ্ছে। পরিস্থিতির আলোকে কতদিন সেনাবাহিনী কাজ করবে তা সরকার বিবেচনা করবে। যতদিন প্রয়োজন হবে ততদিন। সরকার যতদিন চাইবে ততদিন সেনাবাহনী থাকবে। এটা তো সরকার নির্ধারণ করবে। সরকার যেদিন বলবে আমরা চলে আসবো।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব নির্ধারিত তেমন কোনো এজেন্ডা নেই। তবে করোনা ভাইরাসে অর্থনীতির প্রেক্ষাপট এসব নিয়েই আলোচনা হবে। এজেন্ডা একটাই করোনার প্রভাবে অর্থনীতিতে যে ক্ষতি হচ্ছে এখান থেকে উত্তরণের উপায় খুঁজে বের করা।

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে অনেক দেশই অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। তাই বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, যার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। এ পরিস্থিতি আরও দীর্ঘ হলে কর্মসংস্থান, রপ্তানি, প্রবাসী আয়সহ অভ্যন্তরীণ বাজারেও সৃষ্টি হবে বড় সঙ্কট।

গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম ওই ভাইরাস শনাক্ত করা হয়। এরপর থেকে রাজধানীবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ পর্যন্ত দেশে মোট আক্রান্ত ৫১ জন, মৃত্যুবরণ করেছে ৫ ও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৫ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৬ জন। আর কোয়ারেন্টিনে রয়েছে ৬ হাজার ৪৪৪ জন। এ পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৬০২ জনের। তবে ওই ভাইরাস মোকাবিলায় সরকার গত ২৬ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে। বন্ধ করা হয়েছে গণপরিবহনও। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকেও বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে। এছাড়াও সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ রয়েছে।