• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

বাংলাদেশে অবকাঠামো ঋণ ব্যয় হ্রাস পাবে : এআইআইবি

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারি ২০১৯  

মুদ্রাস্ফীতি ও সম্ভাব্য মুদ্রার মান হ্রাস নিয়ে অবকাঠামো খাতের অংশীদারদের উদ্বেগ সত্ত্বেও এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) বাংলাদেশকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার হিসেবে অগ্রাধিকার দিয়ে যাবে। 
এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স (এআইএফ) এর রিপোর্ট অনুসারে, বর্তমান বাজার অনিশ্চয়তা এবং স্বল্পমেয়াদী চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও, বাংলাদেশ সহ এশিয়া জুড়ে অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।রিপোর্টে উল্লেখিত অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতে আগামী ১২ মাসে প্রতিযোগিতামূলক দেশীয় অর্থায়ন পরিবেশের কারণে অবকাঠামোগত ঋণ ব্যয় হ্রাস পাবে। দীর্ঘমেয়াদী ঋণগ্রহীতাদের বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আর্থিক খাত শক্তিশালী হওয়ায় ঋণ প্রদানের হার কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।   
মুদ্রা অস্থিতিশীলতায় প্রকল্প অর্থায়ন প্রভাবিত হতে পারে, যদিও বহুমুখী উন্নয়ন ব্যাংকগুলো যেকোনো প্রতিবন্ধক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।  
এআইআইবি এর পলিসি অ্যান্ড স্ট্রাটেজি ভাইস প্রেসিডেন্ট জোয়াচিম ভন আমসবার্গ বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি এবং বিদ্যমান অর্থনৈতিক উন্নয়ন ধারায় অবকাঠামো খাতের ঘাতটি মোকাবিলার এখনই সুযোগ।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আর্থিকভাবে ফলপ্রসু এবং উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রভাব রাখতে সক্ষম অবকাঠামোগত প্রকল্প চিহ্নিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও অন্যান্য অংশীদারদের সাথে কাজ করার ক্ষেত্রে অঙ্গীকারবদ্ধ।’
এআইআইবি বর্তমানে পরিবহন, জ্বালানী, এবং পানি উন্নয়ন খাতে বেশ কয়েকটি প্রকল্প পর্যলোচনা করছে। এ প্রকল্পের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ময়মনসিংহ কেওয়াটখালি ব্রীজ প্রকল্প এবং সিলেট-তামাবিল সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প। এআইআইবি বোর্ড অব ডিরেক্টরস এখন পর্যন্ত জ্বালানি খাতের তিনটি প্রকল্পের জন্য ২৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদন করেছে। 
সরকার ক্রমবর্ধমান চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রাখতে বৃহত্তর অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অবকাঠামোগত প্রকল্প বাস্তবায়নে বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে।সদস্যদের অবকাঠামোগত উন্নয়নে স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়তার জন্য এআইআইবি কৌশল প্রণয়ন করছে। 
এআইআইবি এর প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জ্যাং পিং থিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘নির্মাণ ব্যয় এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে উন্নতি বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকে ত্বরান্বিত করবে।’