• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী

সোলার রেডিয়েশন মাপছে স্রেডা: এক নম্বরে পঞ্চগড়, দ্বিতীয় পাবনা

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০২০  

সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে দেশের কোন এলাকা সবচেয়ে উপযোগী তা বের করার গবেষণা করছে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা)। সোলার রেডিয়েশন রিসোর্স অ্যাসেসমেন্ট নামের ওই সমীক্ষায় তা জানা সম্ভব হবে।

দেশে সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন শুরু হলেও রেডিয়েশন রিসোর্স অ্যাসেসমেন্ট না থাকায় কোথায় প্রকল্প নির্মাণ লাভজনক তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি। সূর্যালোকের বিকিরণ থেকেই সৌর প্যানেলে বিদ্যুৎ তৈরি হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ হাজার হাজার মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। জীবাশ্ম জ্বালানি ছাড়া উৎপাদিত এ বিদ্যুতে শুধু বাসাবাড়ির বাতি বা পাখাই চলছে না, চলছে ভারী শিল্প কারখানাও।

স্রেডা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, ‘আমরা স্রেডার পক্ষ থেকে সোলার রেডিয়েশন রিসোর্স অ্যাসেসমেন্ট করার উদ্যোগ নিয়েছি। এতে কোন এলাকার রেডিয়েশন কেমন তা জানা যাবে।’

জানা গেছে রেডিয়েশন বা বিকিরণ মাত্রা এক এক জেলায় একেক রকম। পঞ্চগড়ে বিকিরণ ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি। জেলায় এর পরিমাণ ১৬ থেকে ১৮ এর মধ্যে। তাই সেখানে সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন বেশি লাভজনক হবে। পঞ্চগড়ের পরেই আছে পাবনা। এখানে বিকিরণের সূচক ১৫ থেকে ১৬-এর মধ্যে।

বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য যেমন বাতাসের গতিবেগ জানা প্রয়োজন, তেমনি সৌর বিদ্যুতের জন্য রেডিয়েশনের পরিমাণ জানা জরুরি। সরকারি উদ্যোগে ২০১৭ সালে দেশের ১০টি স্থানে উইন্ড ম্যাপিং করা হলেও সোলার রেডিয়েশন রিসোর্স অ্যাসেসমেন্ট এখনও হয়নি। তবে যে কোম্পানিগুলো প্রকল্প গ্রহণ করছে তারা নিজেরা আলাদাভাবে রেডিয়েশনের মাত্রা বের করে নিচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের আগেই এ ধরনের অ্যাসেসমেন্ট করা উচিত ছিল। কিন্তু সেটি না করেই দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রকল্পের কাজ দেওয়া হয়েছে। এতে কোনও এলাকার রেডিয়েশনের মাত্রা কম হলে সেখান থেকে কম বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। বিদ্যুতের দাম বাড়বে তাতে। দীর্ঘমেয়াদে বিদ্যুৎ উৎপাদনে এটি একটি বড় ক্ষতিরও কারণ হবে।

দেশে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো দেখলে দেখা যায় বেসরকারি উদ্যোক্তারা যেখানেই জমির সংস্থান করতে পারবেন বলে সরকারকে জানাচ্ছে সেখানেই প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। সেখানে বিকিরণ কেমন তা দেখা হচ্ছে না। তবে গ্রহণ করা প্রায় সকল প্রকল্পই এখনও ঝুলে আছে।