• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী

ছয় দফা আদায়ে সৃষ্টি হয় গণজোয়ার

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৭ জুন ২০২১  

জাতির পিতার ৬ দফাই ছিলো মূলত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। ছয় দফা ছিলো বাঙালির বাঁচার দাবি। পাকিস্তানিদের বৈষম্যের হাত থেকে বাঁচতে স্বায়ত্তশাসন চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৬৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দফা উপস্থাপনের পর একাত্ম হয় বাঙালি। ছয় দফা আদায়ে সৃষ্টি হয় গণজোয়ার। ৭ জুনের হরতালে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মনু মিয়া, শফিক, শামসুল হকসহ ১১ জন। ছয় দফার পথে জাতির পিতা বাঙালিকে নিয়ে যান মুক্তির যুদ্ধে।

১৯৬৬ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি, লাহোরে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মেলনে পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের দাবিসহ ‘ছয় দফা’ পেশ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ২৩ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দফা উপস্থাপনের পর ১৮ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে জনগণের সামনে ছয় দফা তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধু।

বাঁচার দাবি ছয় দফার পক্ষে সৃষ্টি হয় গণজোয়ার। সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে মুক্তির আন্দোলন। ৭ জুন হরতাল কর্মসূচিতে তেঁজগাও শিল্প এলাকায় পুলিশের গুলিতে প্রথম শহীদ হন মনু মিয়া। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, টঙ্গীতে গুলি চলে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়।

তৎকালীণ পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষার অধিকার আদায়ের দাবি পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর কপালে চিন্তার ভাজ ফেলে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসনে আমু বলেন, মূলত শোষণের হাতিয়ারগুলো ভাঙ্গা এবং দেশ রক্ষার স্বার্থে প্যারামিলিশিয়া গঠন, নৌবাহিনীর হেডকোয়ার্টার নিয়ে আসা- এগুলো পাকিস্তানীরা কিছুতেই মেনে নিতে পারে না। তার কারণ, তারা মনে করে এই দাবিগুলো হচ্ছে বিচ্ছিন্নবাদীদের দাবি। ৬ দফা দিয়েই বঙ্গবন্ধু স্পষ্ট করেছিলেন স্বাধীনতার দাবি।
 
আমির হোসনে আমু আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর এই ছয় দফা কর্মসূচি, আগরতলা মামলা, আন্দোলন-সংগ্রাম এসমস্ত ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের পটভূমি এবং এর মধ্য দিয়েই স্বাধীনতা বীজ বপন হয়। সেই সঙ্গে স্বাধীনতার চেতনায় মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে।

ছয় দফার পথেই জাতির পিতা বাঙালিকে নিয়ে যান যুদ্ধের ময়দানে। নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে আসে মুক্তি, আসে স্বাধীনতা, লাল সবুজের বাংলাদেশ।