রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে জাতিসংঘকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান
শরীয়তপুর বার্তা
প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

টেকসই প্রত্যাবর্তন নিশ্চিতের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে জাতিসংঘকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় বিকেলে (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
বরাবরের মতো এবারও তিনি বাংলায় ভাষণ দেন। এটি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে শেখ হাসিনার ১৯তম ভাষণ।
রোহিঙ্গা ইস্যুর দিকে জাতিসংঘ মহাসচিবসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি এখন আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করবো মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দিকে। গত মাসে ২০১৭ সালে স্বদেশ থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে তাদের গণহারে বাংলাদেশে প্রবেশের পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে। ’
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে প্রত্যাবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরিতে দ্বিপাক্ষিক, ত্রিপাক্ষিক এবং জাতিসংঘসহ অন্যান্য অংশীজনদের নিয়ে আলোচনা সত্ত্বেও একজন রোহিঙ্গাকেও তাদের মাতৃভূমিতে ফেরত পাঠানো যায়নি। মিয়ানমারে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সশস্ত্র সংঘাত বাস্তচ্যূত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনকে আরও দুরূহ করে তুলেছে। আশা করি, এ বিষয়ে জাতিসংঘ কার্যকর ভূমিকা রাখবে। ’
দীর্ঘায়িত রোহিঙ্গা সংকট আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকী জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘায়িত উপস্থিতি বাংলাদেশের অর্থনীতি, পরিবেশ, নিরাপত্তা এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। তাদের প্রত্যাবাসনের অনিশ্চয়তা সর্বস্তরে ব্যাপক হতাশার সৃষ্টি করেছে। মানবপাচার ও মাদক চোরাচালানসহ আন্তঃসীমান্ত অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ’
‘এমনকি এ পরিস্থিতি উগ্রবাদকেও ইন্ধন দিতে পারে। এ সঙ্কট প্রলম্বিত হতে থাকলে তা এই উপমহাদেশসহ বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। ’
‘অভিভাসীরা অনিশ্চিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভাষণে অভিবাসীদের সমস্যার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘অভিবাসীরা এখনও তাঁদের অভিবাসন যাত্রায় অনিশ্চিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন। তাঁরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটাতে আমাদের অবশ্যই বিশ্বব্যাপী অংশীদারিত্ব এবং সংহতি বাড়াতে হবে। এ বিষয়ে ‘গ্লোবাল কমপ্যাক্ট অন মাইগ্রেশন’ এবং এর “অগ্রগতি ঘোষণা” আমাদের এ বিষয়ে একটি চমৎকার রোডম্যাপ দিয়েছে। ’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে, এসব জটিল বৈশ্বিক সঙ্কট অনেক উন্নয়নশীল দেশের বিগত কয়েক দশকের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে স্থবির করে দিচ্ছে। এই মুহূর্তে ২০৩০-এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা তাদের অনেকের কাছেই একটি অধরা স্বপ্ন বলে মনে হচ্ছে। তাদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং কৃষিসহ মারাত্মভাবে প্রভাবিত ক্ষেত্রগুলোতে সুনির্দিষ্ট সহায়তা প্রয়োজন। এখন বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। ’
বিশ্বকে এখনই জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকী থেকে বের করে আনার ওপর তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানবজাতির জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হলো জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব। জলবায়ু নিয়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়া আর ভাঙার একটি দুষ্টচক্র আমরা অতীতে দেখেছি। আমাদের এখনই এই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। ’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের সঙ্গে এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ঠ অর্জনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ অসংখ্য পদক্ষেপ নিয়েছে। ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের সভাপতি থাকাকালে আমরা ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রস্পারিটি প্লান’ গ্রহণ করি, যার লক্ষ্য হলো বাংলাদেশকে “ঝুঁকির পথ থেকে জলবায়ু সহনশীলতা ও জলবায়ু সমৃদ্ধির টেকসই পথের” দিকে নিয়ে যাওয়া। ’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কিত আমাদের জাতীয় পরিকল্পনা এবং নীতিগুলো জেন্ডার সংবেদনশীল করে তৈরি করা হয়েছে। ঝুঁকিতে থাকা অন্যান্য দেশগুলোকে তাদের নিজস্ব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা প্রণয়ণে সহায়তা করতে আমরা প্রস্তুত আছি। অন্তর্ভুক্তিমূলক জলবায়ু কার্যক্রমের প্রসারের জন্য আমি বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে আহ্বান জানাই। ’
- আন্তর্জাতিক রুটে যুক্ত হচ্ছে দেশ, বাড়ছে রেল নেটওয়ার্ক
- মিরপুরে বৃষ্টি, খেলা বন্ধ
- কৃষিঋণ আদায় বেড়েছে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা
- হাত-পায়ে ঝি ঝি কেন ধরে
- পোষা প্রাণীর কারণে হতে পারে এলার্জি
- চাওমিন তৈরির রেসিপি
- জিমেইল-ইউটিউবসহ একাধিক প্ল্যাটফর্মে ব্যবহার করা যাবে বার্ড এআই
- দুই মাসে ৪৬ হাজার ২৩৩ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়
- অক্টোবরে দেশে প্রথমবারের মতো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ মেলা’
- দাম নির্ধারণের পর হিমাগারগুলোতে আলু বিক্রি বন্ধ!
- বান্ধবীর ছবি এডিট করে আপত্তিকরভাবে ফেসবুকে পোস্ট, তরুণ গ্রেপ্তার
- ভুক্তভোগীকে দ্রুততম সময়ে সেবা দেবে ৯৯৯, ডিসেম্বরের মধ্যে চালু
- আইসল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয় পেশ
- আদিলুরের দণ্ডাদেশ নিয়ে ‘অপতৎপরতা’য় ১৫৫ নাগরিকের উদ্বেগ
- চট্টগ্রাম বন্দরকে মাতারবাড়ি চ্যানেল হস্তান্তর
- চুরির টাকায় কেনা গহনা নিয়ে বিয়ে করতে যাওয়ার আগে পুলিশের হাতে ধরা
- দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার সুপারিশ
- সুলভ মূল্য ও মান পরীক্ষা করে খাদ্যশস্য আমদানির সুপারিশ
- রাসায়নিক ঘোষণায় এলো গুঁড়াদুধ, কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা
- ঘুসের হার নির্ধারণ করা এসিল্যান্ড মাসুদুর সাময়িক বরখাস্ত
- ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে ক্যাপস্টোন কোর্সের সমাপনী
- ‘দ্য চকলেট রুম’ রেস্টুরেন্টকে দুই লাখ টাকা জরিমানা
- ভাতিজার হাত-পায়ের রগ কাটলেন চাচা
- ভারত থেকে ৫৩ হাজার ব্যাগ স্যালাইন এলো দেশে
- ৭ দিন পর বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ
- ডিজিটাল কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের সদস্য হলো বাংলাদেশ
- পুরোদমে চালু এনআইডি সেবা
- বিএসএমএমইউতে আলাদা হলো জোড়া লাগানো দুই শিশু
- বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০, আইসিইউতে ছাত্রদল নেতা
- জাতিসংঘের গভীর সমুদ্র বিষয়ক চুক্তিতে সই করলেন প্রধানমন্ত্রী
- শাহ আমানতে সোনার বারসহ শুল্ক গোয়েন্দা সদস্য আটক!
- এইচএসসি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে ধরা পড়ল ফুফাতো বোন
- নাতিকে দেশে ফেরাতে ভারতে বাংলাদেশি বৃদ্ধ
- বিএনপি নামক সংগঠনটির নিবন্ধন বাতিল করা হোক
- অনলাইনে প্রতিদিন ভূমি রাজস্ব আদায় হচ্ছে ৫ কোটি টাকার বেশি
- চিরকুটের রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা গ্রেফতার
- অভিষেকে ডাক মারলেন তানজিদ তামিম
- আওয়ামী লীগের কাছে সকল ধর্মের মানুষ নিরাপদ
- প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন শুরু
- কোমর ব্যথায় যেসব খাবার উপকারী
- প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে ৩ সমঝোতা স্মারক সই হবে
- গর্ভবতী স্ত্রীর চিকিৎসা খরচ মেটাতে ডাকাতি করেন স্বামী
- শিশুর হাম হওয়ার কারণ, উপসর্গ ও প্রতিরোধের উপায়
- স্বাধীনতা বিরোধীদের আন্দোলনে জনগনের সারা নাই
- ঘন ঘন জ্বর-সর্দি? বারবার ওষুধ খাবেন, নাকি এক টোটকাই নেবেন
- হেফাজতকাণ্ড: অধিকারের আদিলুর-এলানের ২ বছর কারাদণ্ড
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায়
- ঘুম ভাঙলেই মাথা ব্যথা? জেনে নিন দূর করার উপায়
- তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব, ফজিলত ও নিয়ম
- দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী