• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

ঢ্যাঁড়শের ভালো ফলন ও দাম পেয়ে ঈশ্বরদীর কৃষকরা খুশি

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৭ নভেম্বর ২০২২  

ঈশ্বরদীতে ঢ্যাঁড়শের উচ্চ ফলন ও বাজারে দ্বিগুণ বিক্রি হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে খুশির আমেজ বিরাজ করছে। আষাঢ়ি ঢ্যাঁড়শের এবারে ফলন হয়েছে খুব ভালো। আর অন্য বছরের তুলনায় এবারে বাজারমূল্য প্রায় দ্বিগুণ হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। ঢ্যাঁড়শের আবাদ এলাকা ঈশ্বরদীর মুলাডুলি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে কৃষকদের মধ্যে খুশির আমেজ দেখা গেছে।

মুলাডুলি ইউনিয়নের পতিরাজপুর ও নিকরহাটা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শত শত হেক্টর জমিতে ঢ্যাঁড়শের আবাদ হয়েছে। ফলন হয়ে বেশ ভালো। প্রতি মণ ১৫০ টাকা চুক্তিতে নারী-পুরুষ ও শিক্ষার্থীরা জমি থেকে ঢ্যাঁড়শ তুলে বিক্রির জন্য বস্তা বোঝাই করছেন। নিকরহাটার মোর্শেদ আলী জানান, ১৬ বিঘা জমিতে ঢ্যাঁড়শ আবাদে বিঘায় খরচ হয়েছে ২০-২২ হাজার টাকা। ৫০-৬০ হাজার টাকার ঢ্যাঁড়শ বিক্রি হবে বলে তিনি আশা করছেন। সার, বীজ ও কীটনাশকের দাম না বাড়লে চাষিরা আরও লাভবান হতো বলে জানান তিনি।

চাষি মোজাম্মেল জানান, ডিজেল-সার-কীটনাশকের দাম বেড়ে যাওয়ায় কোনো ফসলেই লাভবান হতে পারছেন না। এবারে ঢ্যাঁড়শের বাজারদর বেশি হওয়ায় কৃষকরা লাভবান হতে পারবেন। এর আগে পাইকারি বাজারে ঢ্যাঁড়শ প্রতি কেজি ২০ টাকার বেশি বিক্রি হয়নি। কিন্তু এবারে ৩৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এখনও ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

পতিরাজপুরের আরজু মালিথা জানান, ঢ্যাঁড়শের দাম এবারে বেশ ওঠানামা করেছে। কোরবানি ঈদের পর টানা একমাস ঢ্যাঁড়শ ৫-৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এসময় কেউ কেউ গরু-মহিষকে দিয়ে ঢ্যাঁড়শ খাইয়েছে। গত এক মাসে ঢ্যাঁড়শ কেজিতে ২৫-৩৮ টাকা পর্যন্ত  বিক্রি হয়েছে। এরআগে এতো বেশি দামে ঢ্যাঁড়শ চাষিরা বিক্রি করতে পারেননি।

মুলাডুলি আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক জানান, কাঁচামালের বাজারদর প্রতিদিনই ওঠানামা করে। তবে গত ১৫ দিনে ঢ্যাঁড়শ আড়তে ২৮-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। খুচরা বাজারে দাম ৪০ টাকা।

মুলাডুলির উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলিউজ্জামান জিয়া জানান, এবারে আষাঢ়ি ঢ্যাঁড়শের ফলন ভালো হয়েছে। এটি উঁচু জমিতে আবাদ করা হয়। আষাঢ় মাসে ফলন শুরু হয় বলে কৃষকদের কাছে আষাঢ়ি ঢ্যাঁড়শ হিসেবে পরিচিত। এবারে ঢ্যাঁড়শের দাম ভালো পাওয়ায় এবার চাষিরা লাভবান হচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিতা সরকার বলেন,  মৌসুমে উপজেলায় ৫৩০ হেক্টর জমিতে ঢ্যাঁড়শ আবাদ হয়েছে। মুলাডুলি, সাঁড়া ও সাহাপুর ইউনিয়নে ঢ্যাঁড়শের বেশি চাষ হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে এবং কৃষকরা অন্য বছরের তুলনায় ভালো দামে বিক্রি করছেন।