• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

তিস্তা নিয়ে চিঠির বিষয়ে দিল্লির জবাবের অপেক্ষায় ঢাকা

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২৩  

অভিন্ন তিস্তা নদীর বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণের জন্য ভারতকে দেওয়া ভারবাল নোট বা কূটনৈতিক চিঠির জবাবের অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন।

তিনি বলেন, আমরা নয়াদিল্লি থেকে এখনো চিঠির কোনো জবাব পাইনি। জবাব পেলে তিস্তা বিষয়ে আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো।

সম্প্রতি পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, তিস্তায় প্রবাহ হ্রাস করার বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলোর ব্যাখ্যা চেয়ে বাংলাদেশ নয়াদিল্লিতে ভারবাল নোট পাঠিয়েছে। এর কয়েকদিন পর মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এ তথ্য করেছেন।

সেহেলি সাবরিন বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে পানির প্রবাহ হ্রাসের বিষয়ে ভারবাল নোট বা কূটনৈতিক চিঠি পাঠিয়েছে। একই সঙ্গে আন্তঃসীমান্ত অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের জন্য দীর্ঘ প্রত্যাশিত চুক্তি করতে বাংলাদেশের বিশেষ আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।

নিউইয়র্কে চলমান জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনে ঢাকা আন্তঃসীমান্ত নদীর পানি বণ্টনের বিষয়টি উত্থাপন করেছে কি না, জানতে চাইলে সাবরিন বলেন, বৈঠকে বাংলাদেশ পানিসম্পদের টেকসই উন্নয়নের বিষয়ে দেশের জাতীয় নীতি তুলে ধরেছে।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির বিষয়টি আলোচনায় রয়েছে। ২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরকালে ঢাকা এবং নয়াদিল্লি তিস্তা চুক্তি সই করার জন্য নির্ধারিত ছিল। তখন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিরও সে সফরে থাকার কথা ছিল। কিন্তু মমতা চুক্তির বিরোধিতা করে শেষ মুহূর্তে নিজের সফর বাতিল করেন। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও বাংলাদেশ চুক্তি স্বাক্ষরে সায় দিলেও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের বিরোধিতার মুখে তা আলোর মুখ দেখেনি।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলায় সেচের উদ্দেশে তিস্তার পানি সরানোর জন্য দুটি নতুন খাল খননের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার তিস্তার পানি ব্যবহার করে দুটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। যা বাংলাদেশের ভাটির দিকে পানি প্রবাহকে প্রভাবিত করবে।

কদিন আগেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল, চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ নয়াদিল্লির সঙ্গে যে কোনো বিরোধ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।

 

১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা আগের মেয়াদে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা দূর করে গঙ্গার পানি বণ্টনের বিষয়ে একটি যুগান্তকারী ৩০ বছরের চুক্তি সই করেছিলেন। তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়া এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন জ্যোতি বসু। চুক্তিটি শুষ্ক মৌসুমে গঙ্গা নদীতে ন্যূনতম পানি প্রবাহ নিশ্চিত করেছিল।