বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের জরিমানার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেন
শরীয়তপুর বার্তা
প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০২৩

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা তাদের দাবি আদায়ে ধর্মঘট ঘোষণা করলে মুজিব সমর্থন জানান। কর্মচারীদের এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে ২৯ মার্চ কর্তৃপক্ষ তাকে জরিমানা করে। এ নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়।
শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৯ সালে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ২য় বর্ষের ছাত্র তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিম্ন বেতনভোগী ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ চলছিল। দাবি-দাওয়া নিয়ে তাদের মধ্যে পেশাগত আন্দোলন শুরু হয়। সে-সময় কর্মচারীদের বেতন ছিল ১১ থেকে ১৪ টাকা। চাকরির শুরুতে কর্মচারীদের অধিকাংশই কোন নিয়োগপত্র পেত না। চাকরিতে স্থায়ী হতে তাদের নানা ভোগান্তি তো ছিলই, ছিল অকারণে চাকরিচ্যুতির হুমকি। কর্মচারীদের জন্য থাকার কোনো স্থায়ী/অস্থায়ী বাসস্থান কিংবা আবাসিক ব্যবস্থা ছিল না।
কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের ন্যায্য দাবি-দাওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন দেন- দরবার চালিয়ে আসা সত্ত্বেও তাদের প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায়, ন্যায্যতা আদায়ের জন্য ১৯৪৯ সালের ৩ মার্চ থেকে থেকে কর্মচারীরা ধর্মঘটে চলে যান। বঞ্চনা আর ক্ষোভ থেকে সে বছর ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা আন্দোলন গড়ে তোলেন। কর্মচারীদের ধর্মঘটের সমর্থনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজও সহায়ক শক্তি হিসেবে এগিয়ে আসে।
৩ মার্চ সংগ্রামী ছাত্র সমাজ ক্লাস বর্জন করে পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের আহ্বানে ৫ মার্চ পূর্ণ ছাত্র ধর্মঘটের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অপরাহ্নে অনুষ্ঠিত হয় একটি ছাত্রসভা। এই সভায় ছাত্ররা স্থির করে যে কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া যতক্ষণ না আদায় হবে, কর্তৃপক্ষ যতদিন না স্বীকার করবেন তাদের দুর্দশার প্রতিকার, ততদিন পর্যন্ত তারা সহানুভূতি সূচক ধর্মঘট অব্যাহত রাখবে। ধর্মঘটের প্রস্তুতি পর্যায়ে বিশ্বদ্যিালয়ের মুসলিম ছাত্রলীগ ছাড়াও অন্যান্য কয়েকটি ছাত্র সংগঠনের কর্মীদের সঙ্গে কর্মচারীরা ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন। এই আন্দোলনের কর্মসূচির প্রতি ছাত্রদের সমর্থনে এবং সহযোগিতা কর্মচারীদের মধ্যে সাহস জোগায়, আত্মবিশ্বাস প্রদান করে, হতাশা থেকে আত্মপ্রত্যয় ফিরে আসে।
শেখ মুজিব ছাত্র নেতা এবং একজন যুবকর্মী হিসেবে এই আন্দোলনকে শুধু সমর্থনই করেননি, এক সময় তিনি এই আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নিয়ে নেতৃত্ব দিতে শুরু করেন। শেখ মুজিবের নেতৃত্বে সে সময় অন্যান্যের মধ্যে নাঈম উদ্দিন আহমেদ, মোল্লা জালাল উদ্দিন, আবদুস সামাদ, আবদুর রহমান চৌধুরী, কল্যাণ দাশগুপ্ত, নাদেরা বেগম, অলি আহাদ, দবিরুল ইসলাম প্রমুখ ছাত্রনেতাও এই আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ছাত্র নেতাদের নেতৃত্বে ও পরিচালনায় কর্মচারীদের আন্দোলন তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান সরকার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের জন্য চ্যালেঞ্জের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
সরকারের নির্দেশানুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই আন্দোলন মোকাবিলা করতে গিয়ে নেতিবাচক পন্থায় দমন করার উদ্দেশ্যে ১১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। শুধু তাই নয় আন্দোলন অনুসারী ও নেতৃত্বে যুক্ত ২৭ জন ছাত্রছাত্রীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এদের মধ্যে ৬ জনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার বছরের জন্য এবং ১৫ জনকে বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক হল থেকে বহিষ্কার করা হয়। একজনকে ১০ টাকা জরিমানা করা হয়। শেখ মুজিবুর রহমানসহ ৫ জনকে ১৫/- টাকা করে জরিমানা করা হয় এবং মুচলেকা প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ১৯৪৯ সালের ২০ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক হরতাল ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করা হয়। শাস্তিপ্রাপ্ত অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের শর্ত মেনে জরিমানা পরিশোধ করে ছাত্রত্ব বজায় রাখেন কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের শর্ত মেনে ১৫ টাকা জরিমানা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র হিসেবে ফিরে আসার প্রস্তাব শেখ মুজিব প্রত্যাখান করেন।
শেখ মুজিব প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন এই বলে যে, তিনি ফিরে আসবেন দেশকর্মী হিসেবে- ছাত্র হিসেবে নয়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার-তিরস্কারের পর তিনি কারান্তরালে চলে গেলেও মানুষের অন্তরে স্থান করে নেন। দু/আড়াই বছর পর ফিরে আসেন ভাষা আন্দোলনে জাতিগত চেতনার স্ফূরণ ছড়িয়ে দিতে। এসেছিলেন জাতীয় নেতৃত্বের এক আলোকরশ্মি ছড়িয়ে দিতে। শেখ মুজিবের জাতীয়তাবাদী নেতা হিসেবে এবং বাঙালির জাতির পিতা হিসেবে প্রতিষ্ঠার পেছনে প্রধানত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারীদের আন্দোলন আর ভাষা আন্দোলনের দিক নির্দেশনামূলক ভূমিকা ছিলো এক মাইলফলক।
- যে লক্ষণগুলোতে বুঝবেন আপনার ভিটামিনের অভাব
- কয়লা সংকটে সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র
- ‘আম খেলে ঘুম পায়’, কারণ...
- গরমের দুপুরে রাঁধুন ‘লাউ-শোলের ঝোল’
- দেখা মিলছে ‘স্ট্রবেরি মুন’
- রোহিঙ্গাদের বাইরে কাজের সুযোগ দেবে না বাংলাদেশ
- সবাইকে ৩টি করে গাছ লাগানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- ‘পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গুজব ছড়াচ্ছে একটি চক্র’
- আ.লীগ দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে: শেখ হাসিনা
- ফারুকের আসনে নির্বাচন করবেন হিরো আলম
- আজ ঢাকায় আসছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান মনোজ পান্ডে
- এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পরও কৃষিতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখার আহ্বান
- পটুয়াখালীতে ৫ মণ নিষিদ্ধ হাঙ্গর জব্দ
- ভারতে প্রশিক্ষণ নেবেন বাংলাদেশের আরও ১৮০০ সরকারি কর্মকর্তা
- লোডশেডিংয়ে ভুগছে দেশের মানুষ: প্রধানমন্ত্রীর আক্ষেপ
- ভূমির যেসব সুবিধা পাওয়া যায় অনলাইনে
- ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিখোঁজ ১০ বাংলাদেশির সবাইকে পাওয়া গেছে
- সূচক বেড়ে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে
- আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে খোকন সেরনিয়াবাতকে জয়যুক্ত করতে হবে
- গৌরনদীতে মাটি খুঁড়ে বিদেশী পিস্তলসহ একজন গ্রেফতার
- প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের অপেক্ষায় দ্বিতীয় পাতাল রেল নির্মাণ
- সিসিকের প্রধান প্রকৌশলীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
- স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য তরুণ শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান
- বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে প্রচেষ্টা অব্যাহত: প্রধানমন্ত্রী
- ঘরে বসে মিলছে আইনি সেবা, সন্তুষ্ট বিচারপ্রার্থীরা
- এরকম পরিস্থিতি আর হয়েছিল কিনা জানি না
- বিশ্বের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে: প্রধানমন্ত্রী
- বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন (১৯৫৫)
- ভিসা জটিলতা: ৯০ হজ এজেন্সিকে শোকজ
- অস্বস্তিকর এই গরম আরও পাঁচ-ছয়দিন
- এই লক্ষণগুলো দেখা দিচ্ছে? হতে পারে তা কিডনি নষ্ট হওয়ার ইঙ্গিত
- দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব আটকে রাখেন? দেখা দিতে পারে যেসব সমস্যা
- দুজন বাহকের মধ্যে বিয়ে বন্ধ করা গেলেই থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধ সম্ভব
- হাঁপানি থেকে রেহাই পেতে নতুন চিকিৎসা
- শরীরে প্রতিদিন কতটুকু ক্যালসিয়াম প্রয়োজন?
- ডায়াবেটিসে চোখের যে ক্ষতি হয়
- লোডশেডিং পরিস্থিতির উন্নতি দুই সপ্তাহের মধ্যে
- ভূমি সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে ভেদরগঞ্জে আলোচনা সভা
- আম খেলে আমাদের শরীরে যা ঘটে
- ডামুড্যায় ধান ও চাল সংগ্রহ ২০২৩ উদ্বোধন
- ঘন ঘন বায়ুত্যাগের সমস্যা? দূর করতে করণীয়
- সরকার সকল হজযাত্রীকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনছে
- মন্ত্রিসভায় প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন
- গরমে হতে পারে হিটস্ট্রোক, যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা
- সবক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে : শামীম
- ধূমপানের কুফল...
- গ্রীষ্মের এই গরমে শিশুর যত্নে করণীয়
- শিশুর জ্বর হলে ভুলেও যে কাজগুলো করা যাবে না
- দুপুরে খাওয়ার পর ঘুম, আদৌ স্বাস্থ্যকর কি?
- বাসায় ডেকে নিয়ে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করলেন শিক্ষক