সমকামিতায় জোরাজুরি, নিজ বাসায় লাদেনের হাতে খুন হন ডায়না
শরীয়তপুর বার্তা
প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২৪
মাকসুদুর রহমান ওরফে মেঘনা ডায়নার (৪৮) পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। তাদের সবারই রয়েছে বাংলাদেশ-আমেরিকার দ্বৈত নাগরিকত্ব। মাকসুদুর ওরফে ডায়না নিজেও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে তারও। তবে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী হলেও তিনি বেশিরভাগ সময় বাংলাদেশেই থাকতেন। ঢাকার যাত্রাবাড়ীর গোলাপবাগ এলাকায় নিজের একতলা বাড়িতে একার বসবাস ছিল তার।
মাকসুদুর ওরফে ডায়না জন্মগতভাবে পুরুষ হলেও আধুনিক চিকিৎসার মাধ্যমে নিজেকে শারীরিকভাবে পরিবর্তন করেন। এরপর এই রূপান্তরকামী নারী ধীরে ধীরে আসক্ত হয়ে পড়েন সমকামিতায়। তিনি যে বাসায় থাকতেন এর কাছাকাছিই ছিল তার বোন মরিয়মের বাসা। সেই বাসায় গৃহপরিচারকের কাজ করতেন শোয়েব আক্তার লাদেন নামের এক যুবক। এক পর্যায়ে বোনের বাসার গৃহপরিচারক লাদেনের সঙ্গে জোরপূর্বক সমকামিতায় জড়াতে চান ডায়না। পরে তিনি লাদেনের হাতেই খুন হন।
জানা যায়, ছোটবেলা থেকেই মরিয়মের বাসায় গৃহপরিচারকের কাজ করতেন গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বালাশিঘাটের বাসিন্দা জাহেদ আলীর ছেলে লাদেন। ওই বাসায় কাজ করার পাশাপাশি পড়াশোনাটাও চালিয়ে যেতেন তিনি। এক দশক আগে সেখানেই বাড়ির মালিক মরিয়মের ভাই মাকসুদুর রহমান ওরফে মেঘনা ডায়নার সঙ্গে পরিচয় হয় তার। ডায়না তখন বোনের বাসার পাশেই গোলাপবাগের একতলা বিশিষ্ট নিজ বাড়িতে একা বসবাস করতেন।
ডায়নার বাসায় পানির সমস্যা ছিল। সে কারণে পানি দিয়ে আসতে মাঝেমধ্যেই সেই বাসায় যাওয়া-আসা করতে হতো লাদেনকে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে চান ডায়না। তিনি বিভিন্ন সময়ে বোনের বাসা থেকে লাদেনকে ডেকে এনে সমকামিতায় বাধ্য করতেন। লাদেনের নগ্ন ভিডিও ধারণও করতেন। সমকামিতা থেকে বাঁচতে একপর্যায়ে মরিয়মের বাসার কাজ ছেড়ে দেন লাদেন। চলে যান কদমতলী থানার সাদ্দাম মার্কেট এলাকায়। এরপর বিয়ে করে স্ত্রীসহ সেই এলাকায় বসবাস শুরু করেন।
গোলাপবাগে মরিয়মের বাসার কাজ ছেড়ে আসার পর নতুন পেশা হিসেবে ইলেক্ট্রিশিয়ানের কাজ বেছে নেন লাদেন। কিন্তু তখনও তার পিছু ছাড়েননি ডায়না। হঠাৎ একদিন ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট বিকেল ৪টার দিকে লাদেনকে গোলাপবাগের নিজ বাসায় ডেকে নেন ডায়না। এরপর সমকামিতার জন্য জোরাজুরি শুরু করেন। এরই একপর্যায়ে সেখানেই তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন শোয়েব আক্তার লাদেন।
হত্যার ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন নিহত ডায়নার মামাতো ভাই কাজী জামাল হোসেন (৫৮)। মামলার তদন্ত শেষে সম্প্রতি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মুকিত হাসান। চার্জশিটেই হত্যার নেপথ্যের চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য উঠে এসেছে।
তবে ডায়না সমকামিতায় আসক্ত ছিলেন তা মানকে নারাজ মামলার বাদী কাজী জামাল হোসেন। তিনি বলেন, আমার ভাই মুসলিম পরিবারের সন্তান। সে আমেরিকায় একটি স্কুলের শিক্ষক ছিল। ছোটবেলায় আমি তাকে সুন্নতে খতনার সময় ধরে রেখেছিলাম। সে বিয়ে করেছিল। কিছুদিন সংসারও করে। তার চলাফেরা কিছুটা মেয়েলি স্বভাবের হওয়ায় তাকে ক্লীব (পুরুষত্বহীন) লিঙ্গ বলছে পুলিশ। আমার ভাই কখনোই ক্লীব ছিল না। আমি চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজি দেবো।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আই.ও) মুকিত হাসান বলেন, মামলায় আসামি শোয়েব আক্তার লাদেন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। মাকসুদুর রহমান ওরফে মেঘনা ডায়না যে সমকামিতায় আসক্ত ছিলেন আসামির জবানবন্দিতে সে তথ্য উঠে এসেছে। ঘটনার সত্যতা পেয়ে আসামি লাদেনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
চার্জশিটে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, নিহত মাকসুদ ওরফে ডায়নার ভাই-বোনসহ পরিবারের লোকজন আমেরিকা প্রবাসী হওয়ায় মামাতো ভাই মামলার বাদী জামাল হোসেন তার ভাইবোনদের সম্পত্তি দেখাশুনা করতেন। ঘটনার দিন, অর্থাৎ ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট জামালের সঙ্গে মাকসুদের সৎ বড় বোন হাসিনা বানুর মোবাইল ফোনে কথা হয়। তখন হাসিনা বানু মাকসুদকে দেখাশোনা করে রাখতে বলেন জামালকে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার ১১ দিন পর ২৭ আগস্ট দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে বাদী মাকসুদের বাসায় গিয়ে দরোজায় নক করেন। কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে তিনি চলে যান। ওইদিনই বাদী নিজে ও এলাকার স্থানীয় লোকজন বিকেল ৩টার দিকে কক্ষের দরোজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে মাকসুদুর ওরফে ডায়নার অর্ধগলিত মরদেহ দেখতে পান। এরপর পুলিশ সেখানে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত হাতুড়ি উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশের চার্জশিটে আরও উঠে আসে, ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট আনুমানিক বিকেল ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে মাকসুদ ওরফে ডায়না আসামি লাদেনকে ফোন করে তার বাসায় যেতে বলেন। ডায়নার জোরাজুরিতে লাদেন সেই বাসায় যেতে বাধ্য হন। লাদেন বাসায় প্রবেশ করলে ডায়না তাকে রুমে নিয়ে ভেতর থেকে দরোজা বন্ধ করে দেন এবং লাদেনকে জোরপূর্বক খাটের ওপর শুইয়ে দেন। তখন খাটের মাঝ অংশের কাঠ ভেঙে যায়। লাদেন সমকামিতায় রাজি না হলে ডায়না তার অণ্ডকোষ চেপে ধরেন।
এরই এক পর্যায়ে লাদেন খাটের পাশে টেবিলের ওপর রাখা হাতুড়ি দিয়ে ডায়নাকে আঘাত করলে তিনি তাকে ছেড়ে দেন। তখন আসামি কক্ষ থেকে বের হতে চাইলে ডায়না আবারও তাকে খাটের ওপর শুইয়ে অণ্ডকোষে কামড় দেন। তখন আসামি হাতুড়ি দিয়ে ডায়নার মাথায় ও নাকে-মুখে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করে তাকে মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত ও জখম করেন।
এক পর্যায়ে ডায়না অজ্ঞান হয়ে খাটের ওপর পরে গেলে আসামি লাদেন ভিকটিমের পকেটে থাকা নগদ তিন হাজার টাকা এবং ঘরে থাকা ইমিটেশনের দুটি চুড়ি ও দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যান। পরদিন ১৭ আগস্ট সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে আসামি পুনরায় ডায়নার বাসায় যান এবং তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখে পালিয়ে যান। আসামি শোয়েব আক্তার লাদেন কর্তৃক হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাতের ফলে মাকসুদ ওরফে ডায়না মারা যান বলে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
চার্জশিটে আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২, ৩৮০ ও ৪১১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এদিকে, ঘটনার পর গ্রেফতার হয়ে ওই বছরের ৩০ আগস্ট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আসামি শোয়েব আক্তার লাদেন। সেখানে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেন।
- হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে কী করবেন, কী করবেন না?
- গরমে চোখের যত্ন নেবেন যেভাবে
- গরমে স্বস্তি দেবে এক গ্লাস গোলাপ শরবত
- এই গরমে মুঠোফোন ঠান্ডা রাখতে করণীয়
- আগামী ৬ জুন নতুন সরকারের প্রথম বাজেট
- আগামী মাসে বাংলাদেশ-চীন সামরিক মহড়া, নজর রাখবে ভারত
- শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ছিলেন গণমানুষের নেতা: রাষ্ট্রপতি
- শেরে বাংলার কর্মপ্রচেষ্টা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে
- বেনজীরের সম্পদের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে দুদকের চিঠি
- কোটি টাকার মাদকসহ সংগীত শিল্পী এনামুল কবির আটক
- আবহাওয়া বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে
- বাংলাদেশের উন্নয়ন-সহযোগী হিসেবে দ্রুত জায়গা করে নিচ্ছে ফ্রান্স
- মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে ভিত্তিহীন তথ্য রয়েছে
- মাদারীপুরে মামলা করায় বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ।। আহত ১৫
- আজ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু
- সড়ক নির্মাণ ও ড্রেন সংস্কার কাজের উদ্বোধন করলেন মেয়র খোকন
- দেশের মানুষের প্রধান চাওয়া সুষ্ঠু নির্বাচন-ইসি
- উজিরপুর গাড়ী পোড়া মামলার আসামী ছাত্রদলনেতা সহ ৫জন গ্রেফতার
- নিষিদ্ধ শাপলাপাতা, হাঙ্গর ও পিতম্বরী মাছ সহ ট্রলার জব্দ
- কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্টেশন বন্ধ
- ভোলায় ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালিত
- তাপমাত্রার সঙ্গে বাড়তে পারে ভ্যাপসা গরমও
- একসঙ্গে ৭৩ নেতাকে বহিষ্কার করলো বিএনপি
- দেশে এই প্রথম চোয়াল প্রতিস্থাপন, বিশ্বে নজিরবিহীন
- ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে প্রেমিকের হাতে তুলে দেন স্ত্রী, অতঃপর..
- মাহিনকে ধাক্কা দেওয়া গাড়িটি চালাচ্ছিলেন ভাড়া করা চালক: মেয়র তাপস
- গাজায় ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারে লাগতে পারে ১৪ বছর : জাতিসংঘ
- টানা তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ, ভাঙল ৭৬ বছরের রেকর্ড
- দেশি-বিদেশি প্রতিক্রিয়াশীল চক্র গণতন্ত্রবিরোধী অপপ্রচার চালাচ্ছে
- তালাক দেওয়া স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখায় ছেলের হাতে বাবা খুন
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- বুয়েটের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে:সাদ্দম
- কমবয়সীদেরও কেন হয় হার্নিয়া, এর চিকিৎসা কী?
- শরীয়তপুরে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত
- শেখ হাসিনা সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করে যাচ্ছেন
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- সাধারণ জ্বর-সর্দি নাকি করোনা বুঝবেন যে লক্ষণে
- এসির বাতাসে বাড়ছে ঠাণ্ডা-কাশি, ঘরোয়া উপায়ে সমাধান
- গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে খান এই ৫ পানীয়
- ইরানের নজিরবিহীন হামলা, নজর এখন ইসরায়েলের দিকে
- ইরানে সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করল ইসরায়েলি বিমান বাহিনী
- ছুটি শেষে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু বেনাপোল বন্দরে
- পায়ের পাতায় ব্যথা, হতে পারে যে রোগের লক্ষণ
- গরমে কেন বেড়ে যায় অ্যাজমা? শ্বাসকষ্ট হলে কী করবেন?
- ছুটিতে সরকারি হাসপাতালের সেবায় সন্তুষ্ট স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- বিয়েতে দাওয়াত না দেয়ায় ইউপি সদস্যর কান্ড
- শরীয়তপুরে মুজিব নগর দিবস পালিত
- মুজিব নগর সরকার গঠনের পরই বিশ্বের স্বীকৃতি পায়