দালালের হাত ধরে মালয়েশিয়ায় গিয়ে বন্দী ক্যাম্পে, উদ্ধারের আবেদন
শরীয়তপুর বার্তা
প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
![](https://www.shariatpurbarta.com/media/imgAll/2024February/170766388712-2402121106.jpg)
গাংনী উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের যুবক তুহিন আলী। বিধবা মায়ের একমাত্র সন্তান। দেশে একটি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। তুহিনের আয়ের ওপরই চলতো তাদের সংসার। আর্থিক সচ্ছলতা আনতে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে স্থানীয় দালাল রাজুকে পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে দুই মাস আগে যান মালয়েশিয়া।
তাকে ভালো বেতনে কোম্পানির কাজ দেওয়ার কথা বলেছিলেন রাজু। কিন্তু সেখানে গিয়ে তুহিন পড়ে যান মহাবিপাকে। তুহিন আলী মোবাইল ফোনে জানান, মালেশিয়া আসার পর কয়েকজন লোক নিয়ে যায় রাজধানীর কুয়ালালামপুরের সালাক সালাতান নামের একটি ক্যাম্পে। সেখানে তার মত তিন শতাধিক যুবক বন্দী আছে।
মালয়েশিয়ায় আটকে থাকা ভুক্তভোগীদের কয়েকজন জানান, স্থানীয় গাংনী উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের কেএনএসএইচ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ান শিক্ষক মাজেদ মাস্টার, কাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম ওরফে ন্যাড়া, বালিয়াঘাট গ্রামের আনিসুল হক মাস্টারের ছেলে শোভন, সাহেবনগর গ্রামের সুরজ ও তার ভাই আওয়াল এবং ইঞ্জিনিয়ার মুসা কলিমের মাধ্যমে ঢাকায় নাভিরা ও মুসাকলি এন্টারপ্রাইজ এজেন্সির মাধ্যমে টাকা দিয়ে ভালো কাজের আশ্বাসে তারা মালয়েশিয়ায় আসেন। কিন্তু তিন থেকে ছয় মাসেও দালাল চক্রের সদস্যরা তাদের কোনো কাজ দিতে পারেনি। দালাল চক্রের পক্ষ থেকে প্রথমে খাবার ও পানি দেওয়া হলেও এখন সেটাও বন্ধ করে দিয়ে টাকা দাবি করা হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি।
ক্যাম্পে আটকে থাকা যুবকেরা বলেন, আমরা ৫/৬ মাস আগে এখানে এসেছি। আমাদেরও এই ক্যাম্পে আটক রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই এসব দালালের মাধ্যমে সহায় সম্বল বিক্রি করে চার মাস আগে মালয়েশিয়া এসে আটকা পড়ে আছে এই ক্যাম্পে।
কাজীপুর গ্রামের গোলাম বাজার এলাকার বজলুর ছেলে মাজেদ মাস্টারের হাতে পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে মালয়েশিয়া যান ওই গ্রামের কাদের হেলালের ছেলে আনারুল ইসলাম। তিনি বলেন, শুধু আমি নয়, মাজেদ মাস্টারের হাত ধরে এলাকার তিন শতাধিক যুবক মালয়েশিয়া এসেছেন। সবার ভাগ্যে জুটেছে একই অবস্থা।
মুজিবনগর উপজেলার পুরন্দরপুর গ্রামের বাহাদুর আলী বলেন, আমি গাংনী উপজেলার কাজীপুর গ্রামের আদম ব্যবসায়ী নাড়া মেম্বারের মাধ্যমে পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে মালয়েশিয়া এসেছি। আমরা প্রায় চার মাস এই ক্যাম্পে আটকা পড়ে আছি। এখানে পর্যাপ্ত খাবার দেওয়া হয় না। না খেয়ে মরে যাবো আমরা। আবার বাড়িতেও ঋণের কিস্তি। কথা বললে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এভাবেই চার মাস যাবত দুর্বিষহ জীবনযাপন করছি। প্রশাসনের কাছে আবেদন করি আমাদের এখানে থেকে উদ্ধার করেন।
শুধু তুহিন, বাহাদুর, আনারুল, জমিরুল বা লালচাদ ইসলাম নন, ওই ক্যাম্পে আটকা পড়ে আছেন প্রায় চার শতাধিক যুবক।
মালয়েশিয়াতে আটকে থাকা একাধিক ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, সন্তান ও পরিবারের সদস্যদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে কেউ দিয়েছেন জমি বন্ধক, কেউ সুদের ওপরে টাকা নিয়ে, কেউ বা তুলেছেন ঋণের কিস্তি। এখন যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন, তারা বাড়িতে এসে টাকার জন্য চাপ দিচ্ছেন।
কাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফারুক আহমেদ বলেন, আমার এলাকার অনেক যুবক দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন। সব হারিয়ে তিন মাস যাবত কাজ না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। আমরা তাদের পরিবারের পাশে আছি।
অবশ্য দালাল চক্রের সদস্য হিসেবে পরিচিত সাহেবনগর গ্রামের বাবলু বলেন, আমি চার জনের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা করে নিয়ে মুছা এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে মালয়েশিয়া পাঠিয়েছি। ৩/৪ মাস হলেও আমার লোকজনকে কোনো কাজ দেয়নি এজেন্সি। আজকে আমি তাদের জন্য কিছু টাকা পাঠিয়েছি।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রীতম সাহা বলেন, বিষয়টি প্রথম জানলাম। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা থানায় অথবা আমাদের কাছে অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেহেরপুর জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম নাজমুল হক বলেন, আমরা প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসক শামীম হাসান বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক থেকে বিষয়টি জানতে পেরেছি, পরিবারগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। তাদের মামলা দায়ের করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
- সাগরে লঘুচাপ, যেসব বিভাগে বৃষ্টির আভাস
- প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও বিচার হবে : কাদের
- রেমিট্যান্স ও প্রবাসীদের দেশে ফেরা নিয়ে অপপ্রচার হচ্ছে
- স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ
- নরসিংদী কারাগার থেকে পালানো ৪ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার
- টানা ৬ দিন পর বরিশাল-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু
- ৩০০ কক্ষ ভাঙা হয়েছে, মেরামতের আগে হল খোলা সম্ভব নয়: ঢাবি ভিসি
- বিজিবির পাহারায় সারা দেশে তেলবাহী ট্রেন চলাচল শুরু
- ১৬ কোটি টাকার সাপের বিষ জব্দ করল বিজিবি
- বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার আগে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ
- গুজব যাতে না ছড়ায়, চেষ্টা করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
- চারদিনে খান ইউনুসে বাস্তুচ্যুত ১৮০,০০০: জাতিসংঘ
- বৃষ্টিভেজা প্যারিস অলিম্পিকের চোখ ধাঁধানো উদ্বোধন
- রিমান্ড শেষে কারাগারে নুর
- পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে
- সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসা-রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার
- দেশের প্রতিটি আনাচে-কানাচে অপরাধীদের খুঁজে বের করুন
- সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৪তম জন্মদিন আজ
- জুলুম সমর্থনকারীদের হাশর হবে জালিমের সাথেই
- সারি সারি লাশের ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতা দখলের দুঃস্বপ্নে বিভোর বিএনপি
- কয়েকদিনের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- বরিশাল থেকে লঞ্চ ও বাস চলাচল শুরু
- বরিশালে কারফিউ শিথিলের সময় বাড়ল
- সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে: সেনাপ্রধান
- আধুনিক প্রযুক্তির মেট্রোরেল যেভাবে ধ্বংস করেছে, মানতে পারছি না
- যে ধ্বংসযজ্ঞ চলেছে, দেশবাসীকেই বিচার করতে হবে
- সরকার পতনের ‘ব্লু প্রিন্ট’: বিমানবন্দর ও বিটিভি দখল করতে চেয়েছিল সন্ত্রাসীরা
- আন্দোলন-সংঘাতে দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে ক্ষতি কত?
- একলাফে কাঁচা মরিচের দাম কমল ৯৫ টাকা!
- কোটা সংস্কার আন্দোলন: ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত হামলাকারীরা
- আইনমন্ত্রীর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বসেছেন আন্দোলনকারীরা
- বর্ষায় বাড়ে একজিমার সমস্যা, সমাধানে কী করবেন?
- বরিশালে জাল মুদ্রা-মোটরসাইকেলসহ প্রতারক চক্রের দুই সদস্য আটক
- বর্ষায় সর্দি-জ্বর থেকে বাঁচতে কী করবেন?
- বরিশালে হাইড্রোলিক হর্ন প্রতিরোধ সচেতনতায় র্যালি
- শরীরে ভিটামিন সি’র ঘাটতি হয়েছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- গর্ভাবস্থায় যেসব ভুলে ঘটতে পারে বিপদ
- প্রশিক্ষিত যুবারা চাকুরী প্রার্থী না দাতা হবে- সচিব ড. মহিউদ্দিন
- টাকা পাওনা বিষয় কেন্দ্র করে হত্যা করা হয় শরীয়তপুরের আকলিমাকে
- প্রধানমন্ত্রী দেশব্যাপী ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করেছে- নাহিম রাজ্জাক এমপি
- ডায়াবেটিস রোগীদের কতটুকু কাঁঠাল খাওয়া উচিত?
- মাদারীপুরে হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউট, খসড়া নীতিগত অনুমোদন
- আইফোনের স্ক্রিন ‘ফ্রিজ’ হয়ে গেলে দ্রুত কী করবেন?
- বিএনপি-জামায়াত এখনো অপপ্রচার চালাচ্ছে- শামীম
- ভিন্ন স্বাদের গরুর মাংসের ভর্তা
- ভুলে ফোন থেকে ডিলিট হওয়া নম্বর উদ্ধার করবেন যেভাবে
- যেসব ভুলে নষ্ট হতে পারে ফোনের ক্যামেরা
- দুই দফায় ঠিকাদার পরিবর্তন করেও সেতুটির নির্মান শেষ করতে পারেনি
- আশ্রয়কেন্দ্রে জন্ম নেওয়া শিশুর নাম রাখা হলো ‘বন্যা’
- এবার সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা