আত্মস্বীকৃত ১০১ ইয়াবা কারবারির মামলার রায় আজ
শরীয়তপুর বার্তা
প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০২২

কক্সবাজারের টেকনাফে প্রথম দফায় আত্মসমর্পণকারী ১০১ জনের বিরুদ্ধে করা পুলিশের দুটি মামলার রায় বুধবার (২৩ নভেম্বর) ঘোষণা করবেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল। সব ঠিক থাকলে দুপুরে মামলা দুটির রায় ঘোষণা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম।
এ মামলায় এরই মধ্যে ১৭ জন কারাগারে থাকলেও পলাতক ৮৪ জন। পলাতকদের মধ্যে মোহাম্মদ হোছাইন নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
টেকনাফ থানার ওসি আবদুল হালিম জানিয়েছেন, মোহাম্মদ হোছাইন আত্মসমর্পণকারীদের একজন। তার বিরুদ্ধে অন্য একটি হত্যা মামলা থাকায় তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে আত্মসমর্পণকারীদের যাদের জামিন বাতিল হয়েছে–এ সংক্রান্ত আদালতের আদেশ হাতে পাননি তিনি। আদেশ পাওয়ার পর তাদের গ্রেফতার করা হবে।
তবে আদালতের সবশেষ ধার্য দিন অনুপস্থিত থাকায় ৮৪ জনের জামিন বাতিল ঘোষণা করেন আদালত। এর মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হলেও এখনও পলাতক ৮৩ জন। পলাতকদের মধ্যে অনেক জনপ্রতিনিধিসহ প্রভাবশালী রয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছেন: সাবেক সংসদ সদস্য আব্দু রহমান বদির চার ভাই আব্দুল আমিন, আব্দু শুক্কুর, শফিকুল ইসলাম, ফয়সাল রহমান, ভাগিনা সাহেদ রহমান নিপু, চাচাতো ভাই মোহাম্মদ আলম, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিহাদ ও বড় ভাই আব্দু রহমান, বর্তমান জেলা পরিষদ সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমেদের ছেলে দিদার মিয়া, টেকনাফ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল বশর নুরশাদ, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের এনামুল হক এনাম মেম্বার প্রমুখ।
টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সরওয়ার কামাল বলেন, গত ১৭ নভেম্বর থেকে চেয়ারম্যান অনুপস্থিত রয়েছেন। এ কারণে তিনি যতদিন অনুপস্থিত থাকবেন, ততদিন প্যানেল চেয়ারম্যান জহির আহমেদ দায়িত্ব পালন করবেন। তবে এক মাসের অধিক সময় যদি অনুপস্থিত থাকেন তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম জানান, ধার্য দিনেই এ মামলার রায় ঘোষণা করবেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল। ওই দিন কারাগারে থাকা আসামিদের আদালতে হাজির করা হবে। তাদের উপস্থিতিতে ঘোষণা করা হবে রায়। ইয়াবা কারবারি হিসেবে এরা সবাই আত্মসমর্পণ করেছিলেন।
এজাহারের বিবরণমতে, ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ সৈকতের নিকটবর্তী এলাকায় ইয়াবা ও অস্ত্রসহ একদল ইয়াবা কারবারি অবস্থান নেয়ার খবরে পুলিশ অভিযান চালায়। ওই সময় ১০২ জন মাদক কারবারি আত্মসমর্পণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ওইদিন টেকনাফ সদরের টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের উপস্থিতিতে ১০২ জন আত্মস্বীকৃত ইয়াবা কারবারি ও গডফাদার সাড়ে ৩ লাখ পিস ইয়াবা, ৩০টি দেশীয় বন্দুক ও ৭০ রাউন্ড গুলিসহ আত্মসমর্পণ করেন। ওইদিনই আত্মসমর্পণকারী ১০২ জনকে আসামি করে টেকনাফ মডেল থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা করা হয়। বাদী হয়ে মামলাটি করেন টেকনাফ থানার তৎকালীন পরিদর্শক (অপারেশন) শরীফ ইবনে আলম। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় পরিদর্শক এবিএমএস দোহাকে। মামলা করার দিনই আদালতের মাধ্যমে সব আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়ে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। ১০২ জন আসামির মধ্যে মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলাকালে ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট মোহাম্মদ রাসেল নামে এক আসামি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্ন ফারাহর আদালতে ১০১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরবর্তী সময়ে মামলাটি বিচারের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। একই বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল সব আসামির উপস্থিতিতে শুনানি শেষে মামলার চার্জ গঠন করেন। বিচার শেষে ১৫ নভেম্বর মামলার রায় ঘোষণার জন্য ২৩ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
এর মধ্যে মামলায় সাজা হওয়ার খবরে পলাতক হন ৮৪ জন। এ পরিস্থিতি মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল।
কক্সবাজার পিপলস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল জানান, এই ১০১ জন ইয়াবা কারবারির সর্বোচ্চ সাজা হওয়া জরুরি। এরা সবাই চিহ্নিত ইয়াবা গডফাদার এবং আত্মস্বীকৃত। এদের যাবজ্জীবন বা মৃত্যুদণ্ড না দিলে ইয়াবা কারবারিরা উৎসাহ পাবে।
কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী জানান, ইয়াবা কারবারিদের জন্য এ মামলার রায় হতে পারে শিক্ষণীয়। কেননা, এরা সবাই আত্মস্বীকৃত ইয়াবা কারবারি। তাদের সবার প্রচলিত আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া জরুরি।
এদিকে এ মামলায় ৮৩ জন পলাতক থাকলেও বুধবার রায় ঘোষণা সময় অনেকেই উপস্থিত থাকতে আইনজীবীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করার তথ্য পাওয়া গেছে।
কারাগারে থাকা ১৮ আসামি হলেন: নুরুল হুদা, শাহ আলম, আব্দুর রহমান, ফরিদ আলম, মাহবুব আলম, রশিদ আহমেদ, মোহাম্মদ তৈয়ব, জাফর আলম, মোহাম্মদ হাশেম ওরফে আংকু, আবু তৈয়ব, আলী নেওয়াজ, মোহাম্মদ আইয়ুব, কামাল হোসেন, নুরুল বশর ওরফে কালাভাই, আব্দুল করিম ওরফে করিম মাঝি, দিল মোহাম্মদ, মো. সাকের মিয়া ওরফে সাকের মাঝি ও মোহাম্মদ হোছাইন।
এ ছাড়া পলাতক ৮৩ আসামি হলেন- সাবেক এমপি বদির ভাই আব্দুর শুক্কুর, বদির ভাই আমিনুর রহমান ওরফে আব্দুল আমিন, দিদার মিয়া, বদির ভাগনে মো. সাহেদ রহমান নিপু, আব্দুল আমিন, নুরুল আমিন, বদির ভাই শফিকুল ইসলাম ওরফে শফিক, বদির ভাই ফয়সাল রহমান, এনামুল হক ওরফে এনাম মেম্বার, একরাম হোসেন, ছৈয়দ হোসেন, বদির বেয়াই সাহেদ কামাল ওরফে সাহেদ, মৌলভী বশির আহমদ, আব্দুর রহমান, মোজাম্মেল হক, জোবাইর হোসেন, নুরুল বশর ওরফে কাউন্সিলার নুরশাদ, বদির ফুপাত ভাই কামরুল হাসান রাসেল, বর্তমানে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান ওরফে জিহাদ, মোহাম্মদ শাহ, নুরুল কবির, মারুফ বিন খলিল ওরফে বাবু, মোহাম্মদ ইউনুচ, ছৈয়দ হোসেন ওরফে ছৈয়দু, মোহাম্মদ জামাল ওরফে জামাল মেম্বার, মো. হাসান আব্দুল্লাহ, রেজাউল করিম ওরফে রেজাউল মেম্বার, মো. আবু তাহের, রমজান আলী, মোহাম্মদ আফছার, হাবিবুর রহমান ওরফে নুর হাবিব, শামসুল আলম ওরফে শামশু মেম্বার, মোহাম্মদ ইসমাঈল, আব্দুল গনি, মোহাম্মদ আলী, জামাল হোসেন, আব্দুল হামিদ, নজরুল ইসলাম, মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে দানু, মোহাম্মদ সিরাজ, মোহাম্মদ আলম, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, হোসেন আলী, নুরুল কবির মিঝি, শাহ আজম, জাফর আহমেদ ওরফে জাফর, রুস্তম আলী, নুরুল আলম, শফি উল্লাহ, মো. জহুর আলম, মোহাম্মদ হুসাইন, মোহাম্মদ সিদ্দিক, রবিউল আলম, মঞ্জুর আলী, হামিদ হোসেন, মোহাম্মদ আলম, নুরুল আমিন, বোরহান উদ্দিন, ইমান হোসেন, মোহাম্মদ হারুন, শওকত আলম, হোছাইন আহম্মদ, মোহাম্মদ আইয়ুব, মো. আবু ছৈয়দ, মো. রহিম উল্লাহ, মোহাম্মদ রফিক, মোহাম্মদ সেলিম, নুর মোহাম্মদ, বদির খালাত ভাই মং অং থেইন ওরফে মমচি, মোহাম্মদ হেলাল, বদিউর রহমান ওরফে বদুরান, ছৈয়দ আলী, মোহাম্মদ হাছন, নুরুল আলম, আব্দুল কুদ্দুস, আলী আহম্মেদ, আলমগীর ফয়সাল ওরফে লিটন, জাহাঙ্গীর আলম, নুরুল আলম, সামছুল আলম শামীম, মোহাম্মদ ইউনুচ, নুরুল আফসার ওরফে আফসার উদ্দিন ও মোহাম্মদ শাহজাহান আনছারী।
- বিএনপিই ভোট চুরি করে: মির্জা আজম
- বিএনপির ভবিষ্যৎ নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- বাড়িতে অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিকা দেখে পালালেন প্রেমিক
- আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যাই বিএনপির মূল উদ্দেশ্য: চসিক মেয়র
- বিএনপির কর্মসূচির উদ্দেশ্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি: তথ্যমন্ত্রী
- টেকনাফে বিদেশি মদ-বিয়ারসহ নারী আটক
- মঞ্চের সামনে দাঁড়ানো নিয়ে বিএনপির মারামারি
- রমজানে বিনা মূল্যে চাল পাবে ১ কোটি পরিবার
- ক্ষমা আল্লাহ প্রদত্ত গুণ
- শেখ হাসিনা মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করে চলছেন
- কমিশন অবাধ সুষ্ঠ গ্রহন যোগ্য নির্বাচন করবে
- যে পাঁচ কারণে পাইলস হতে পারে
- মাছ না মাংস, দ্রুত ওজন কমে কী খেলে
- মুগ পাকন পিঠা
- ফেসবুক ব্যবহারে দ্রুত শেষ হচ্ছে ফোনের চার্জ!
- ‘অ্যাভাটার ৩’-এ থাকছে চার্লি চ্যাপলিনের ছায়া! ব্যাপারটা কী?
- বিপিএল প্লে অফের চার দল চূড়ান্ত
- আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভা মঙ্গলবার
- এপ্রিলেই মিলবে ক্ষতিপূরণের ১২০ কোটি টাকা
- জাতিসংঘ শান্তিবিনির্মাণ কমিশনের সহ-সভাপতি হলো বাংলাদেশ
- ‘অ্যাডভোকেট-ক্লার্ক’ আইন হচ্ছে
- নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ
- রোজা উপলক্ষে ভারত থেকে ৩৮০০ মেট্রিক টন মসুর ডাল আমদানি
- ২৮ জেলায় বিশেষ সতর্কতা
- বাংলাদেশ-ভারত অকৃত্রিম বন্ধু: প্রণয় ভার্মা
- দেশের জিন্সের বাজারে ৮৫% চাহিদা মেটাচ্ছে
- গণতন্ত্র সূচকে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ
- সমৃদ্ধ রাজস্ব ভাণ্ডার গড়ে তোলার ওপর প্রাধান্য দিচ্ছে সরকার
- সময়সূচিতে আসছে পরিবর্তন সুবর্ণ, সোনার বাংলা ও তূর্ণার
- পিন ছাড়াই কার্ডে লেনদেন ৫ হাজার টাকা
- ক্যান্সারের এই সাধারণ লক্ষণ অনেকেই চিনতে পারেন না, সতর্ক হন এখনই
- কাশির সঙ্গে কফ উঠছে? শরীরে বাসা বাঁধতে পারে যে রোগ
- জুনে মেসিদের ঢাকায় আসা নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি!
- ওষুধ ছাড়াই কমবে কৃমি
- ডায়াবেটিসের যে লক্ষণ ফুটে ওঠে চোখে
- এই সাত লক্ষণ অবহেলা করলেই সর্বনাশ
- দেশে প্রথম মৃত মানুষের কিডনি দুজনের দেহে সফল প্রতিস্থাপন
- জনগণের পয়সায় সুযোগ-সুবিধা, তাদের সেবা করুন
- অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখে হাসাহাসি করায় স্কুলছাত্রকে হত্যা
- পাকস্থলী ক্যানসার: এই লক্ষণগুলো কি আপনার আছে?
- জাজিরায় অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় নিহতদের দাফনে সরকারি সহায়তা দান
- রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘে রেজুলেশন পাস
- ক্যান্সার কি, শুরু হয় কিভাবে, কত প্রকার?
- দেড় লক্ষাধিক মানুষকে শীতবস্ত্র দিলো যুবলীগ
- শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি মেটাতে রইল ৬ টিপস
- ভেদরগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত
- যেসব খাবারে পাবেন ভিটামিন ই
- উন্নয়ন চাইলে নৌকার পক্ষে ঐক্যবধ্য থাকুন
- নির্বাচন পর্যন্ত সতর্ক এবং মাঠে সক্রিয় থাকার নির্দেশ
- উন্নয়ন অগ্রযাত্রা চলমান রাখতে আগামী নির্বাচনে নৌকার থাকতে হবে