• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

শতভাগ বিদ্যুতায়নের সুফল মিলছে সেচে

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩  

শতভাগ বিদ্যুতায়নের সুফল মিলছে সেচে। ডিজেলে ব্যয়বহুল সেচ ছেড়ে বিদ্যুৎ সুবিধার সেচে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে কৃষক। সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, দেশের শতভাগ এলাকায় বিদ্যুতায়নের ফলেই এটি সম্ভব হয়েছে। এতে কৃষিতে সেচের জন্য খরচ এক তৃতীয়াংশ কমে এসেছে।

পাওয়ার সেলের হিসেব বলছে, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত হিসেবে সেচে গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ১০২ শতাংশ। ২০০৯ সালে দেশে মোট সেচ গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৩৪ হাজার এখন যা বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ৭৩ হাজার।

বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেন, সুবিধা বেশি এবং খরচ কম হওয়াতে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে বিদ্যুৎ সেচ । তবে এর চাইতে কম খরচে কৃষক সৌর বিদ্যুতের সেচ দিতে পারে। সরকার এক্ষেত্রে শুরুতেই সৌর সেচ পাম্প স্থাপনে অর্ধেক প্রণোদনা দিয়ে থাকে। বাকি অর্ধেক অর্থ কৃষককে লগ্নি করতে হয়। এজন্য অনেক কৃষক আগ্রহ দেখায় না। তবে ধীরে হলেও কৃষিতে সোলার সেচ পাম্পের সংখ্যা বাড়ছে।

কৃষি সেচের সংখ্যা সব চাইতে বেশি রয়েছে আরইবিতে। সম্মিলিত ভাবে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সেচ গ্রাহক সংখ্যা তিন লাখ ৯৩ হাজার ৮ ৯৫টি। নতুন করে আরও ১১ হাজার ৫০০ সেচ সংযোগের আবেদন জমা পড়েছে।

এছাড়া পিডিবির ৩৬ হাজার ৩৮৪টি এবং ওজোপাডিকোর ২৫ হাজার ৮২১টি এবং নেসকোর ৯ হাজার আটটি সেচ সংযোগ রয়েছে।

পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, সরকারের অনেক বড় অর্জন সারা দেশে বিদ্যুৎ সুবিধা সম্প্রসারণ। এর ফলে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে গেছে। বিদ্যুৎ শুধু মানুষের বাসা বাড়িকে আলোকিত করছে না বরং গ্রামীণ জনপদে কৃষি এবং শিল্পর জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করছে। এতে উৎপাদন খরচ কমে আসছে। মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র বলছে, দেশে ২০০৯ সালে ৪৭ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় ছিল। এখন তা বেড়ে হয়েছে ১০০ ভাগ। সেই সঙ্গে সেচের গ্রাহক সংখ্যাও বেড়েছে।

সেচের আরেকটি বড় সুবিধা হচ্ছে সর্বোচ্চ চাহিদার সময় গ্রামীণ জনপদে ডিজেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হয়। কিছু দুর্গম এলাকায় সরাসরি সরকার হস্তক্ষেপ না করতে পারায় কৃষকের কাছ থেকে এক শ্রেণির ফড়িয়া অতিরিক্ত দাম আদায় করে। কিন্তু সেচ মৌসুমে বিদ্যুৎ সরবরাহর বিষয়টি কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করা হয়। এতে সংকট সৃষ্টির আশঙ্কা সৃষ্টি হয় না।