• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী

খুললো দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নভোথিয়েটার

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০২৩  

দীর্ঘ অপেক্ষার পর খুলে দেওয়া হলো দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নভোথিয়েটার। শিক্ষানগরী রাজশাহীতে নির্মিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার’ মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের আওতাধীন তিনটি প্রকল্পের অধীন ১২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন উদ্বোধন ও রাজশাহী মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (রামেবি) প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেছেন তিনি। বেলা ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো আনিসুর রহমান, মহানগর পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার ও পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুর রহমান।

অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারে যান মেয়র। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে নভোথিয়েটারের ফলক উন্মোচন করেন মেয়র ও সংশ্লিষ্টরা।

এ সময় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘সারাদেশে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে রাজশাহীতে আমাদের বহুল কাঙ্ক্ষিত বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটারের উদ্বোধন করলেন। উত্তরাঞ্চলের নতুন প্রজন্ম, যারা মহাকাশ গবেষণা নিয়ে আগ্রহী, বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা এখান থেকে অনেক কিছু জানতে পারবে এবং উপকৃত হবে। এছাড়া শহরের বাইরে জেলা-উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এখানে দলে দলে আসবে এবং জ্ঞান অর্জন করবে।’

 

রাজধানী ঢাকার পর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার’ তৈরি করা হয়েছে রাজশাহীতে। ২০১২ সালের ৯ জানুয়ারি রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহীতে নভোথিয়েটার স্থাপনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে ডিও দেন। এরপর থেকেই শুরু হয় নভোথিয়েটারের স্বপ্নযাত্রা। নভোথিয়েটার স্থাপনে ভূমি অধিগ্রহণের বরাদ্দ না থাকায় শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানার ভেতরে নভোথিয়েটার স্থাপনের প্রস্তাব দেন মেয়র লিটন। এরপর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান সম্মতি দিলে ২০১৮ সালে ২৩২ কেটি টাকা ব্যয়ে নভোথিয়েটারের নির্মাণকাজ শুরু হয়। করোনা মহামারী এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে কাজ কিছুটা বিলম্বিত হয়। অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হলো বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার।

 

এই নভোথিয়েটারে রয়েছে ১৫ মিটার ব্যাসের ১৬০ আসন বিশিষ্ট অত্যাধুনিক প্লানেটারি, ডিজিটাল সায়েন্টিফিক এক্সিবিট, রোবট, সৌরজগতের তথ্যসহ গ্রহগুলোর মডেল, ফাইভ-ডি সিমুলেশন থিয়েটার, ইমারসিভ রাইড সিমুলেটর, অবজারভেটরি টেলিস্কোপ, বঙ্গবন্ধু কর্নার, শেখ রাসেল এক্সিবিট গ্যালারি, দুইশ আসনের মাল্টিপারপাস হল, অত্যাধুনিক পার্ক ও ৮০ আসনের ক্যাফেটেরিয়া, ৮৫টি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা, ২০০০ কেভিএ সাবস্টেশন, ৫০০ কেভিএ জেনারেটর, স্পিংকলার টাইপ অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা, সিসিটিভি পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা, কনফারেন্স হল, তিনটি অশ্বশক্তির সাবমার্সিবল পাম্প, ২০০ টনের তিনটি চিল্ড ওয়াটার, কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, দুটি চলন্ত সিঁড়ি, ১২৫০ কেজি উত্তোলনের ক্ষমতাবিশিষ্ট তিনটি লিফট ও চারটি সিঁড়ি। অত্যাধুনিক স্থাপত্যশৈলীর এই স্থাপনা রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হয়েছে।

গত ১১ নভেম্বর একনেক সভায় রামেবির ভূমি অধিগ্রহণ ও অবকাঠামে নির্মাণ খাতে দুই হাজার ২৫৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকার প্রথম সংশোধিত ডিপিপির অনুমোদন দেওয়া হয়। মহানগরীর বড় বনগ্রাম এবং পবা উপজেলার বারইপাড়া ও বাজে সিলিন্দা মৌজার প্রায় ৬৮ একর জায়গায় রাজশাহী মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করা হবে। রাজশাহী অঞ্চলের মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকবে ১২০০ শয্যার বিশেষায়িত হাসপাতাল। ১১টি চিকিৎসা অনুষদের অধীনে ৬৯টি বিভাগে প্রতি বছর ৭৮০ জন শিক্ষার্থী পোস্ট-গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি অর্জনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন।

এছাড়া চিকিৎসাসেবার মানকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে গবেষণা কার্যক্রম চলবে। প্রথম ধাপে জমি অধিগ্রহণসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতাল, নন-ক্লিনিক্যাল ফ্যাকাল্টি ভবন, ডরমেটরি ভবন, উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য ভবন, সিনেট হল, স্কুল ও ডে-কেয়ার সেন্টার, ডাক্তার ও নার্সিং হোস্টেল, মসজিদ, মর্গ ভবন. এন্ট্রি-এক্সিট গেট ও সীমানাপ্রাচীরসহ গুরুত্বপূর্ণ ২০টি স্থাপনা নির্মাণ করা হবে।