• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীর নামে হিসাব খোলা যাবে না

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২৩  

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিভিন্ন রেজুলেশনের আওতায় সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসমূলক কাজে অর্থায়নে জড়িত সন্দেহে তালিকাভুক্ত কোনও ব্যক্তির নামে কোনও হিসাব খোলা যাবে না। এছাড়া বাংলাদেশ সরকারের তালিকাভুক্ত কোনও ব্যক্তি বা নিষিদ্ধ ঘোষিত সত্তার নামেও কোনও হিসাব খোলা যাবে না বা পরিচালনা করা যাবে না। মঙ্গলবার (৩০ মে) বাংলাদেশ বাংক এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, বেনামে, ছদ্মনামে বা কেবল সংখ্যাযুক্ত কোনও গ্রাহকের নামে হিসাব খোলা বা পরিচালনা করা যাবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নীতিমালা অনুযায়ী প্রত্যেক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে অঙ্গীকার করতে হবে যে- (ক) প্রতিটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ, সর্বোচ্চ নির্বাহী ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধে এই আইন ও বিধিমালায় বর্ণিত তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্যের আলোকে প্রাতিষ্ঠানিক পরিপালন ব্যবস্থা জোরদার করার বিষয়ে সচেষ্ট থাকবেন, (খ) আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী বার্ষিক ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা/কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধে সুস্পষ্ট ও কার্যকর অঙ্গীকার ঘোষণা করবেন; অঙ্গীকার বাস্তবায়নে যথাযথ নির্দেশনা প্রদান করবেন এবং পরিপালনীয় বিষয়াদির সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবেন।

এছাড়া প্রতিটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে একজন ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার’ নেতৃত্বে প্রধান কার্যালয়ে একটি ‘কেন্দ্রীয় পরিপালন ইউনিট' প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এই  ইউনিট সরাসরি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা’র কাছে রিপোর্ট করবে।

প্রধান মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তার ন্যূনতম সাত বছরের ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তার মধ্যে কমপক্ষে তিন বছর ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে কর্মরত হতে হবে। উপপ্রধান মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা (ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানে) থাকতে হবে।