• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

শরীয়তপুর বার্তা

চোখ দিয়ে পানি পড়ে? সমস্যা সমাধানে কয়েকটি টিপস

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

চোখ মানবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এই অঙ্গটির খেয়াল রাখা দরকার। তবে এই অঙ্গে এমন কিছু অসুখ হতে পারে যা বিরাট সমস্যা তৈরি করে। এমনই একটি অসুখের নাম হল ওয়াটারি আই বা এপিপফোরা। সহজে বললে, চোখ দিয়ে পানি পড়া।
এই অসুখ খুবই সমস্যায় ফেলে দেয়। আক্রান্তের চোখ দিয়ে নিয়মিত পানি গড়াতে থাকে। দেখে মনে হতে পারে তিনি কাঁদছেন। এই রোগের পেছনে মূলত দুটি কারণ থাকে। প্রথমত, চোখে বেশি পরিমাণে টিয়ার বা চোখের পানি তৈরি হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, চোখের পানি স্বাভাবিক পরিমাণে তৈরি হলেও তা বেরিয়ে যাওয়ার পথ পাচ্ছে না। এছাড়াও কেরাটাইটিস, কর্নিয়াল আলসার, ড্রাই আইজ, অ্যালার্জি ইত্যাদি কারণে এমন সমস্য়া হতে পারে।

এই রোগকে আপাতদৃষ্টিতে নিরীহ মনে হলেও, আদতে তা নয়। বরং চোখ থেকে নিয়মিত পানি পড়লে কিছু সমস্যা আমাদের জাপটে ধরে। চোখ ধোঁয়াসা দেখায়, সামনের কিছু দেখতে সমস্যা হয়। এমনকি এই কারণে আক্রান্ত ব্যক্তি গাড়ি চালাতেও অক্ষম হন। আর চালালেও দুর্ঘটনার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।

এই অসুখ থাকলে প্রথমেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। কারণ ভেতরে কী সমস্যা বাসা বেঁধেছে তা আপনি বুঝবেন না। তবে এর পাশাপাশি কয়েকটি ঘরোয়া উপায়ও ব্যবহার করতে পারেন।

টিভি, কম্পিউটার, ফোন থেকে চোখ সরান: দেখা গেছে, যত বেশি নীল আলো চোখে প্রবেশ করে, তত এই সমস্যা বৃদ্ধি পায়। তাই চেষ্টা করুন স্ক্রিন থেকে চোখ সরানোর। এই যন্ত্রগুলোর স্ক্রিন থেকে নীল আলো বের হয় যা চোখের জন্য খারাপ।

লুব্রিকেটিং আই ড্রপ: কিছু কিছু ওষুধ রয়েছে যা কিনতে পাওয়া যায় প্রেশক্রিপশন ছাড়াই। এই ওষুধগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া প্রায় নেই বললেই চলে। এমনই একটি ওষুধ হল লুব্রিকেটিং আই ড্রপ। এই ড্রপ চোখে দুই ফোঁটা করে দিন চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগে পর্যন্ত।

সেক দিন: চোখের ড্রেনেজ সিস্টেম বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে সেই জায়গাটা খোলার কাজ করতে পারে গরম সেক। একটি কাপড় গরম করুন। তারপর নির্দিষ্ট চোখের উপর ধরুন। চোখের পানি বেরিয়ে আসবে।

আলতো করে ধুয়ে নিন: মাঝে মাঝে চোখ কট কট করে উঠলে অবশ্যই আলতো করে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। বেশি জোরে ঝাপটা দেবেন না। এছাড়া চোখে হাত দেওয়ার অভ্যাস ছাড়ুন। এতে সংক্রমণের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। মনে রাখবেন, এই সমস্যা ফেলে না রেখে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া প্রয়োজন।