চীনে বেকারত্ব বেড়ে ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ
শরীয়তপুর বার্তা
প্রকাশিত: ১১ মে ২০২০
করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে চীনে সৃষ্টি হওয়া অর্থনৈতিক সংকট দেশটির সামাজিক অগ্রগতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির এ দেশটিতে বেকারত্ব বেড়ে গত ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়েছে।
গত কয়েক বছরে সেবাখাতে কর্মসংস্থান বাড়ায় চীনে শ্রমবাজারে স্থিতিশীলতা আসে। এবার করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে বেকারত্ব বাড়ায় শ্রমবাজার অস্থিতিশীল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সোমবার (১১ মে) সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানায়, লকডাউন তুলে নেওয়া হলেও এখনো বন্ধ রয়েছে অনেক দোকান ও রেস্তোরাঁ কেননা আগের মতো ক্রেতা নেই। অভিবাসী কর্মীরা কারখানা ফের চালু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন কিন্তু পণ্যের বৈশ্বিক চাহিদা কমতে শুরু করায় সেটি পিছিয়ে যাচ্ছে।
মধ্য ফেব্রুয়ারি থেকে অর্থনৈতিক কার্যক্রম শুরুর চেষ্টা করছে চীন। কিন্তু বেশ কয়েকটি খাত পুনরুদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়েছে। গত কয়েক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো চীনের শ্রমবাজার বিভিন্ন দিক থেকে চাপে রয়েছে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে দেশটির অর্থনীতি গত ৪০ বছরের মধ্যে সর্বাধিক সঙ্কোচনের শিকার হয়েছে।
শ্রমবাজারে চলমান সংকটের কারণে বেইজিংয়ের সামাজিক উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, চলতি দশকে মাথাপিছু দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা এবং দারিদ্র্য দূর করার লক্ষ্য মুখ থুবড়ে পড়েছে।
গত মাসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সাউথওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি অব ফিন্যান্স অ্যান্ড ইকোনমিক্সের দুই অর্থনীতিবিদ উয়াংজুন এবং কিন ফ্যাং বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে বেইজিংয়ের অর্থনীতির ওপর চাপ আরও বেড়েছে। পাশাপাশি কর্মসংস্থান পরিস্থিতির ক্রমাগত আরও অবনতি ঘটছে।’
তবে চীনের বেকারত্ব পরিস্থিতির সঠিক চিত্র নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সরকার কোনো স্পষ্ট তথ্য দিচ্ছে না যাতে চাকরির বাজারের অবস্থা বোঝা যায়। এছাড়া, অধিকাংশ অর্থনীতিবিদ মনে করছেন, সরকারি তথ্যে বেকারত্বের সঠিক সংখ্যা কমিয়ে দেখানো হতে পারে।
চীনে ১৪ কোটি ৯০ লাখ মানুষের নিজস্ব ব্যবসা রয়েছে এবং অভিবাসী কর্মী আছেন ১৭ কোটি ৪০ লাখ, যারা নিজেদের অঞ্চল ছেড়ে শহরে আসেন কাজ করতে। বেকারত্বের হারে এই দুই ধরনের কর্মীর সঠিক তথ্য উঠে না আসার আশঙ্কা রয়েছে।
২০১৮ সালের আগে বেইজিং একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছিল, যেখানে শহরের সেসব কর্মীর তথ্য ছিল, যারা সরকারি তালিকায় ছিলেন এবং চাকরি হারিয়েছেন। শহরে কাজ করেন কিন্তু স্থানীয় নন, এমন অভিবাসী কর্মীরা চাকরি হারানোর পরও এ পরিসংখ্যানে স্থান পাননি এবং সরকারের সামাজিক সুরক্ষা সহায়তাও তারা পাননি। তাছাড়া, বেকার হিসেবে বিবেচিত হওয়ার জন্য একজন কর্মীর বয়স ১৬ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে হতে হয়।
ফলে সরকারি পরিসংখ্যানে শ্রমবাজারের সঠিক চিত্র উঠে আসে না। ২০০৮-২০০৯ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় ২ কোটিরও বেশি অভিবাসী কর্মী চাকরি হারালেও বেকারত্বের হার হিসাবে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
২০১৮ সাল থেকে প্রতি মাসে বেকারত্বের হার গণনায় জরিপ করে চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো (এনবিএস)। এ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ডিসেম্বরে বেকারত্বের হার ছিল ৫ দশমিক ২ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারি মাসে হয় ৬ দশমিক ২ শতাংশ। কিছু অর্থনৈতিক কার্যক্রম ফের শুরু হওয়ায় মার্চে বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছিল ৫ দশমিক ৯ শতাংশ।
১ জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত শহুরে কর্মসংস্থান কমেছে মোট ৬ শতাংশ। এর মানে প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ চাকরি হারিয়ে গেছে।
২০১৯ সালে শহুরে কর্মসংস্থান বেড়েছিল ৮৩ লাখ। কর্মসংস্থান কমার এ হার গত চার দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এনবিএসের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রায় ১৮ দশমিক ৩ শতাংশ কর্মী কম বেতন বা বিনা বেতনে ছুটি নিতে বাধ্য হয়েছে।
অন্যদিকে চীনের ১৪ কোটি ৯০ লাখ স্বনির্ভর ব্যবসায়ীর আয় কমেছে গড়ে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। শহর এলাকায় আয় কমার হার ১২ দশমিক ৬ শতাংশ।
চলতি বছরের শ্রমিক দিবসের ছুটিতে অভ্যন্তরীণ পর্যটন খাতে আয় গত বছরের তুলনায় কমেছে ৬০ শতাংশ। রেস্তরাঁগুলোর আয় অর্ধেক হয়ে গেছে।
অর্থনীতিবিদ ল্যারি হু বলেন, ‘চলতি বছরের শেষে বেকারত্বের হার বেড়ে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।’
২০১৯ এর শেষে চীনে শহরে চাকরি ছিল মোট ৪৪ কোটি ২০ লাখ। বেকারত্বের হার গত বছরের সমান রাখতে আরও ৮০ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হতো, যা এখন অসম্ভব।
- চলতি মাসের ২৬ দিনে এলো ১৬৮ কোটি ডলার
- বাজেট হবে জনবান্ধব, বাড়বে সামাজিক নিরাপত্তা, কমবে মূল্যস্ফীতি
- রুমায় সেনা অভিযানে দুই কেএনএ সন্ত্রাসী নিহত
- তাপদাহে দেশে লবণ উৎপাদনে রেকর্ড
- ঋণ কেলেঙ্কারি ঠেকাতে ব্যাংক পরিদর্শন বাড়ানোর তাগিদ আইএমএফের
- ফরিদপুরের ঘটনায় জড়িতদের ছাড় নেই- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
- দেশের মানুষ নির্বাচনকে উৎসব মনে করে: ইসি আলমগীর
- ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ, গ্রেপ্তার ৯০০
- ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী
- প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
- ভয়াল ২৯ এপ্রিল আজ
- দুনিয়াদারদের পরকালীন পরিণতি
- গরমে গর্ভবতী নারীরা সুস্থ থাকতে কী করবেন?
- আইস ফেশিয়াল করার নিয়ম
- কাঁচা আম দিয়ে যেভাবে তৈরি করবেন আমসত্ত্ব
- ঘরে এসি ও ফ্যান একসঙ্গে চালালে কী হয়?
- দেশে ফরেনসিক বিশ্ববিদ্যালয় সময়ের দাবি: সিআইডি প্রধান
- বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে ডেমরায় বাসে আগুন
- মালয়েশিয়ায় ১৩২ জন বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
- উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্র-গুলিসহ আটক ৫
- রংপুর মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী
- ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
- কালো চশমা পরা বিএনপি দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না: ওবায়দুল কাদের
- ইমোতে প্রতারণার ফাঁদ, বিবস্ত্র ভিডিও দিয়ে করা হতো ব্ল্যাকমেইল
- এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহারে যে সতর্কবার্তা মন্ত্রণালয়ের
- মে মাসের শেষে জোড়া লাগবে সিঙ্গাপুরে ছিঁড়ে যাওয়া সাবমেরিন ক্যাবল
- চট্টগ্রামে ৬০০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ
- পটুয়াখালীর দুই ইউপিতে ভোটগ্রহণ চলছে
- নাতির হাত ধরে ভোটকেন্দ্রে ১০৫ বছরের বৃদ্ধ আব্দুল মজিদ
- এ বছরই শাকিবের বিয়ে, পাত্রী খুঁজছে পরিবার
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- বুয়েটের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে:সাদ্দম
- কমবয়সীদেরও কেন হয় হার্নিয়া, এর চিকিৎসা কী?
- শরীয়তপুরে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত
- শেখ হাসিনা সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করে যাচ্ছেন
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- সাধারণ জ্বর-সর্দি নাকি করোনা বুঝবেন যে লক্ষণে
- ইরানের নজিরবিহীন হামলা, নজর এখন ইসরায়েলের দিকে
- এসির বাতাসে বাড়ছে ঠাণ্ডা-কাশি, ঘরোয়া উপায়ে সমাধান
- গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে খান এই ৫ পানীয়
- ইরানে সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করল ইসরায়েলি বিমান বাহিনী
- ছুটি শেষে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু বেনাপোল বন্দরে
- পায়ের পাতায় ব্যথা, হতে পারে যে রোগের লক্ষণ
- গরমে কেন বেড়ে যায় অ্যাজমা? শ্বাসকষ্ট হলে কী করবেন?
- ছুটিতে সরকারি হাসপাতালের সেবায় সন্তুষ্ট স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- শরীয়তপুরে মুজিব নগর দিবস পালিত
- বিয়েতে দাওয়াত না দেয়ায় ইউপি সদস্যর কান্ড
- গাজা নীতির বিরোধিতা করে মার্কিন পররাষ্ট্র মুখপাত্রের পদত্যাগ
- মুজিব নগর সরকার গঠনের পরই বিশ্বের স্বীকৃতি পায়