• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

নড়িয়ায় খাল উদ্ধারে অভিযান, দখলমুক্ত হলে কৃষিতে ঘটবে বিপ্লব

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

শরীয়তপুরের নড়িয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পাইকপাড়া খাল অবৈধ দখলমুক্ত অভিযান শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন। শনিবার সকালে নড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উপস্থিতিতে খননযন্ত্রের মাধ্যমে খালের ওপর মাটির বাঁধসহ বিভিন্ন স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন জানায়, পদ্মা নদীতে মিলিত হওয়া নড়িয়া পাইকপাড়া খালের দৈর্ঘ্য প্রায় আড়াই কিলোমিটার। এ খালের অধিকাংশ দখল করে ভূমিদস্যুরা মাটির বাঁধসহ অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলেছে। খাল দখলের কারণে ওই এলাকায় প্রায় ৬০০ একর ফসলি জমি চাষ করতে স্থানীয় কৃষকদের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। শনিবার সকাল থেকে পাইকপাড়া এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। পাশাপাশি সরকারি জমি দখলকারীদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানকালে নড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. পারভেজ উপস্থিত ছিলেন।

মো. পারভেজ বলেন, কৃষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আমরা পাইকপাড়া খালে উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম শুরু করেছি। এ অভিযানের অংশ হিসেবে আমরা দখলদারদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছি। পরবর্তীতে দখলদারদের ব্যক্তিগত খরচে স্থানীয় কাউন্সিল ও আমাদের উপস্থিতিতে খালের ভরাটকৃত অংশ ভরাট করা হচ্ছে। এই খালের সঙ্গে এলাকার ৬০০ একর ফসলি জমির সম্পৃক্ততা রয়েছে। এই খালটি যদি আমরা ঠিক করতে পারি তাহলে এই ৬০০ একর জায়গা ফসলি জমিতে পরিণত হবে। এখানে একটি কৃষি বিপ্লব ঘটবে।

চুন্নু খলিফাসহ এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে সরকারি পাইকপাড়া খালটি দখল করে আছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। খালটি দখল করে মাটির বাঁধ ও বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করেছে। স্থানীয় এলাকাবাসী প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করলে দখলমুক্ত শুরু হয়। আড়াই কিলোমিটার খালটি সম্পূর্ণ দখলমুক্ত হলে পানি নিষ্কাশনসহ এই এলাকায় কৃষি বিপ্লব ঘটবে। পাশাপাশি দুই ফসলি জমির চাষ হবে।

নড়িয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার মল্লিক বলেন, আহাম্মেদ জুলহাস মাঝিসহ স্থানীয় কয়েকজন মিলে সম্প্রতি খাল দখল করে রেখেছিল। উপজেলা প্রশাসন খালটি দখলমুক্ত করছে। দখলমুক্ত হলে এলাকার জলাবদ্ধতা দূর হবে এবং কৃষিতেও বিপ্লব ঘটবে। তাই প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।