• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

২০২৫ সালের মধ্যে শরীয়তপুরের সকল নদী ভাঙ্গন রোধের কাজ শেষ হবে

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ সাবেক পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র সরকারের ধারাবাহিকতা আছে বলেই শরীয়তপুরে পদ্মার ভাঙন স্থায়ীভাবে রোধ করা সম্ভব হয়েছে।

তিনি শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে জেলার নড়িয়া উপজেলায় ৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে "জয় বাংলা এভিনিউ"-এর নদী তীর সংরক্ষণ শক্তিশালীকরন কাজের শুভ উদ্বোধন কালে এ কথা বলেন।

একেএম এনামুল হক শামীম এমপি আরো বলেন, মানবতার মা,জাতির পিতার কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ২০১৮ সালের এ অঞ্চলের  পদ্মার প্রলয়ংকারী ভাঙ্গনে তিনি সমব্যাথি ছিলেন। তাই তিনি শরীয়তপুরের নড়িয়ার  মানুষের দুর্দশা দেখে আমাদেরকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়ে ছিলেন। তারই ধারাবহিকতায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০১৯ সালে শুরু করে জয় বাংলা এভিনিউ  নদী তীররক্ষা বাঁধ বাস্তবায়নের কাজ। মহামারি করোনার মধ্যেও আমরা কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করতে সক্ষম হই। যেখানে ২০১৮ সালেই পদ্মার ভয়াবহ ভাঙ্গনে ৫ হাজারেরও বেশি পরিবার সর্বস্ব হারিয়েছিল সেখানে ২০১৮ সালের পর নড়িয়ায় আর একটি পরিবারও ভাঙ্গনের শিকার হয়নি। এরপর আমরা পর্যায়ক্রমে চরাত্রা-নওপাড়ায় স্বাধীন বাংলা এভিনিউ নামের রক্ষা বাঁধ বাস্তবায়ন করি। বর্তমানে সখিপুরের সোনার বাংলা এভিনিউ নামের রক্ষা বাঁধও বাস্তাবায়না করছি। মাননীয় ঐকান্তিক ইচ্ছায় আজ আমরা "জয় বাংলা এভিনিউ"-এর নদী তীর সংরক্ষণ শক্তিশালীকরন কাজের শুভ উদ্বোধন  করলাম।

এসময় সংসদ সদস্যের সাথে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফরিদপুর অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ শাহজাহান সিরাজ,নড়িয়া উপজেলা পরিষ চেয়ারম্যান একেএম ইসমাইল হক, নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী  অফিসার শংকর চন্দ্র বৈদ্য, শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবীবসহ উর্ধতন কর্মকর্তা , রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সাবেক পানি সম্পদ উপমন্ত্রী বিগত দিন থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বর্তমান চলমান কাজের বর্ননা দিয়ে বলেন, জাজিরার রুপসী বাংলা এভিনিউয় রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের কাজও এখন শুরুর চলছে। আশা করছি সেই  কাজ দ্রুত শেষ করতে পারব। রুপসী বাংলার কাজ শেষ হলে শরীয়তপুরের পদ্মার ভাঙ্গন কেবল বইয়ের পাতায় ইতিহাস হিসেবেই থাকবে। এ ছাড়াও পদ্মার শাখা কির্তীনাশা’র ভাঙ্গন রোধের কাজ চলমান রয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে শরীয়তপুরের সকল নদী ভাঙ্গন রোধের কাজ শেষ হবে ইনশাআল্লাহ।