• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

জাজিরার পদ্মরচরে ফসলের আহবান

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর ২০২২  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃশরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় নাওডোবায় পদ্মা সেতু–সংলগ্ন চরে বিভিন্ন ফসলের আবাদ করছেন স্থানীয় কৃষকেরা। সেখানে বাদাম, সরিষা, বোরো ধান, বীজতলা, শীতকালীন শাক-সবজির আবাদ হচ্ছে।

জাজিরা উপজেলা কৃষি বিভাগ ও পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজের জন্য জাজিরার বিভিন্ন এলাকায় জমি অধিগ্রহণ করে সেতু বিভাগ। জাজিরার নাওডোবা এলাকায় ৪২ নম্বর পিয়ার (খুঁটি) হতে ২২ নম্বর পিয়ার পর্যন্ত ছিল ফসলি জমি। ওই জমির ওপর ৫০০ মিটার প্রশস্ত একটি চ্যানেল খনন করা হয়। পরে নদীর স্রোত ও ভাঙনে চ্যানেলটি আরও দেড় কিলোমিটার প্রশস্ত হয়। তখন সেখান দিয়ে নৌযান চলাচল শুরু করে। গত বর্ষার পর ওই স্থানটিতে বালু জমে ভরাট হয়ে গেছে। নভেম্বর থেকে সেখানে ফসলের আবাদ করতে থাকেন কৃষক।

জাজিরার নাওডোবায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৪২ নম্বর পিয়ার থেকে ৩৮ নম্বর পিয়ার পর্যন্ত পদ্মায় পানি রয়েছে। সেখান দিয়ে নৌযান চলাচল করছে। আর ৩৮ নম্বর পিয়ার থেকে ২২ নম্বর পিয়ার পর্যন্ত অন্তত আড়াই কিলোমিটারব্যাপী চর পড়েছে। সেখানে বাদাম, সরিষা, বোরো ধান, বীজতলা, লালশাক, পালংশাক ও মেথির আবাদ করেছেন কৃষক।

নাওডোবা ইউনিয়নের ফকিরকান্দি গ্রামের মোস্তফা চৌকিদারের ২০ বিঘা জমি জেগে উঠেছে। সেই জমিতে তিনি সরিষা ও বোরো ধানের আবাদ করেছেন। তিনি বলেন, এ বছর বর্ষার পর ওই জমিতে বালু জমে চর জাগে। সেই চরে আবার ফসল করতে পারব ভাবতেই পারেননি। আমরা দীর্ঘ আট বছর পর আমার আবাদ শুরু করলাম।

নদীবেষ্টিত বিভিন্ন চরের অনাবাদি ও পরিত্যক্ত জমিতে ফসল আবাদের জন্য জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের উদ্যোগে নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে জাজিরায় কৃষি সমাবেশ করেন জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান। পরে কৃষকদের কৃষি যন্ত্র, বীজ ও সার দেওয়া হয়।

পাইনপাড়া এলাকার ঠান্ডু মাদবর পদ্মা সেতুর নিচের জমিতে  সরিষা ও লালশাকের আবাদ করেছেন। তিনি তিন শিশুসন্তান নিয়ে  উৎপাদিত লালশাক তুলছিলেন  বাজারে নেয়ার জন্য। ঠান্ডু মাদবর বলেন, পদ্মা সেতুর জন্য তাঁদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। বাকি যা ছিল, তাও ভাঙনে পদ্মায় বিলীন হয়েছে। এখন এ চর তাঁদের নতুন আশা দেখাচ্ছে।

 জাজিরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জামাল হোসেন বলেন, জাজিরার পদ্মা সেতুর-সংলগ্ন পাইনপাড়া চরটিতে ৩০০ হেক্টর জমি রয়েছে। তাঁরা পুরোটাই আবাদের আওতায় আনতে চান। এরই ধারাবাহিকতায় পদ্মা সেতুর নিচে অন্তত ৫০ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে কৃষিতে উৎপাদন বাড়াতে তাঁরা মনোযোগী হয়েছেন। কৃষি বিভাগের পাশাপাশি জেলা প্রশাসন ফসল উৎপাদনে অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে। বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে কৃষকদের পাশে দাঁড়াচ্ছে। পদ্মা সেতুর পাশে যে চর জেগে উঠেছে সেই জমির মালিকেরাই সেখানে আবাদ করছেন।