• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

শরীয়তপুর বার্তা

ভেদরগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১০ জানুয়ারি ২০২৩  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ সকালে ভেদরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের পাশে উপজেলা ডাকবাংলো মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার তোফাজ্জল হোসেন মোড়ল ও সাধারণ সম্পাদক(ভারঃ) হাজি আব্দুল মান্নান হাওলাদারের নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর  প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
এ ছারাও বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বীর মুক্তিযোদ্বারা।
 এছাড়া র‌্যালি, দলীয় কার্যালয়ে আলোচনাসভা ও উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার তোফাজ্জল হোসেন মোড়ল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক (ভার) হাজি আব্দুর মান্নান হাওলাদার, জেলা আওয়ামীলী উপজেষ্টা যুদ্ধকালিন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজি আব্দুল মান্নান রাড়ি, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আক্কাস মোল্যা, দপ্তর সম্পাদক মুজাহিদুর রহমান মাঝি, প্রচার সম্পাদক মোছাদ্দেকুর রহমান মারুফ শেখ.উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আসাদুজ্জামান রাড়ি, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ বেপারী, কৃষকলীগ সভাপতি সোয়েব আকন্দ স্বেচ্ছা সেবক লীগ নেতা মুন্না সিকদার,ছাত্রনেতা হিরু, সুজনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সভায় বক্তারা বলেন,১০ জানুয়ারী বাঙালির জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে আলোর পথে যাত্রার দিন।দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্দের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের পর পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশে ফিরে আসার দিন।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে পাকিস্তানি হানাদার সামরিকবাহিনী শান্তিপ্রিয় নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসকগোষ্ঠীর পরাধীনতার শৃঙ্খল ছিন্ন করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
বঙ্গবন্ধুর এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের। তিনি সর্বস্তরের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ঐক্যবদ্ধ বাঙালি জাতি ঝাঁপিয়ে পড়ে সশস্ত্র সংগ্রামে।স্বাধীনতা ঘোষণার অব্যবহিত পর পাকিস্তানের দখলদার সামরিক জান্তা বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে আটক রাখে।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময়ে পাকিস্তানের কারাগারে গোপন বিচারের মাধ্যমে তাঁর ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছিল এবং কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠের সামনেই তাঁর জন্য কবর পর্যন্ত খোড়া হয়েছিল। কিন্তু বাঙালির স্বাধীনতার প্রশ্নে তিনি ছিলেন দৃঢ় অবিচল। এই অবিচলতার মূলে ছিল বাংলাদেশের মানুষের প্রতি তাঁর অকুণ্ঠ ভালবাসা ও শ্রদ্ধা।
মুক্তিকামী বাঙালির সকল আবেগ উচ্ছ্বাসকে নিজের হৃদয়পটে ঠাঁই দিয়ে তিনি ছিলেন এক আপোসহীন লক্ষে স্থির মুক্তির দিশারী। বাঙালি জাতির প্রতি বঙ্গবন্ধুর সীমাহীন আস্থা এবং তাঁর প্রতি মানুষের ভালবাসা ও শ্রদ্ধা বঙ্গবন্ধুকে সর্বদাই রেখেছে দৃঢ়চিত্ত, উন্নতশির, অসীম সাহসী ও জনবৎসল।

বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নেতা শেখ মুজিব বাঙালির ভালোবাসার গ-ি ছাড়িয়ে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মুক্তিকামী মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেন। বিশ্ববাসীর ভয়ে নির্যাতিত মানুষের এই অবিসংবাদিত নেতার ফাঁসি কার্যকর করা থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হয় পাকিস্তানি সামরিক জান্তারা।
১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করে পিআইয়ের একটি বিশেষ বিমানে লন্ডনে পৌঁছান।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি ব্রিটেনের রাজকীয় বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ বিমানে নয়াদিলি¬র পালাম বিমান বন্দরে পৌঁছে ভারতের তদানীন্তন রাষ্ট্রপতি ভিভি গিরি ও প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাথে সাক্ষাত করেন।
একই দিন  ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিশেষ বিমানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর স্বপ্নের স্বাধীন স্বদেশ ভূমিতে ফিরে এসে তদানীন্তন রেসকোর্স ময়দানে ভাষণ দেন।