• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

ভেদরগঞ্জে জেলেদের মাঝে ৮৮ বকনা বাছুর বিতরণ

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১ জুন ২০২৩  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ ভেদরগঞ্জ উপজেলা মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে জেলেদের মাঝে গরুর বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়েছে।সরকারের ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আওতায় গরুর বকনা বাছুর   বিতরণ করা হয়।
বুধবার (৩১ মে)সকাল  ১০ টায়, ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন। ভেদরগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন একাডেমিক সুপার ভাইজার মোহাম্মদ মস্তফা কামাল, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার মোফাজ্জল হোসেন, সহকারী উপজেলা যুবউন্নয়ন অফিসার  মোঃ আবদুস সাত্তার,উপজেলা নির্বাহী অফিসার সজকারী মোঃ জাকির হোসেন খান।
সরকারের ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আওতায় আজ উপজেলার ১৮ জনকে একটি করে গাভী দেয়া হয়।এ নিয়ে ১ শ গরুর মধ্যে এ পর্যন্ত ৮৮ টি গাভী  বিতরণ করা হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমদের ভেদরগঞ্জ উপজেলা পদ্মা- মেঘনা  অববাহিকায় ২০ কিলোমিটার নদী। উপজেলা ১৯ হাজার নিবন্ধনকৃত জাটকা জেলে রয়েছে।সরকার ইলিশ সম্পদ রক্ষা এ উন্নয়নে জেলেদের বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করছে। ইলিশ সম্পদ রক্ষায় জাটকা ও মা ইলিশ মাছ রক্ষার জন্য মাছ ধরার নিষিদ্ধ  সময়ে জেলেদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও তাদের অর্থিক ভাবে সাবলম্বি করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার কন্যা ঐকান্তিক ইচ্ছায়।এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধিসহ নানান কারনে দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক  হারিয়ে যাচ্ছে। বিলুপ্ত প্রায় দেশীয় প্রজাতির মাছ  রক্ষায় ও সরকার উদ্যোগ গ্রহন করেছে। তারই অংশ হিসেবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলায় দেশীয় প্রজাতির মাছ, শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে মৎস্য বিভাগ।
সেই প্রকল্প থেকে সকারের অর্থায়নে জেলেদের পুর্নবাসনে এ সহায়তা দেয়া হলো। তিনি আরো বলেন,কৃষি উৎপাদন ঠিক রেখে মৎস্য বিভাগ প্রকল্প এলাকায় ১ লাখ ৮ হাজার ৮৪৭ জন সুফলভোগীর দক্ষতা উন্নয়নে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলেও তিনি জানান।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নড়াইল জেলাসহ গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, বরিশাল, ঝালকাঠি, বরগুনা, পিরোজপুর, বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের প্রাথমিক মেয়াদকাল হচ্ছে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন,আমরা এ প্রকল্পের আওতায়  ১ শ জনের  জেলের জন্য একশত বকনা বাছুর বরাদ্দ  পেয়েছি। যার মধ্যে এ পর্যন্ত ৮৮ জনকে বকনা বাছুর দেয়া হয়েছে। বাকী ১২ টি বাছুর আগামী সপ্তাহের মধ্যে দিয়ে দিতে পারবো ইনশাআল্লাহ।