• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

শরীয়তপুর বার্তা

প্রতি জেলে পরিবার পাচ্ছে ২৫ কেজি চাল

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০২৩  

শরীয়তপুর প্রতিনিধি : আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন শরীয়তপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশ মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এসময় ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম।  এদিকে মৎস্য বিভাগ ও প্রশাসন বলছেন, অভিযানের সময় নদীতে মাছ ধরা থেকে বিরত রাখতে জেলেদের প্রতি পরিবারকে ২৫ কেজি করে ভিজিএফ চাল দেয়া হচ্ছে এবং বিভিন্নভাবে করা হচ্ছে সচেতন।

জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্র জানায়, শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা থেকে গোসাইরহাট মাঝেরচর পর্যন্ত প্রায় ৮০ কিলোমিটার পদ্মা-মেঘনার বিভিন্ন পয়েন্টে ইলিশ শিকার করে থাকেন জেলেরা। ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম হওয়ায় পদ্মা-মেঘনা এসব নদীতে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ আহরণ, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয়, বিনিময় নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ আইন অমান্যকারীকে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা  জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করা হবে।  এদিকে মা ইলিশ রক্ষায় জেলা মৎস্য বিভাগ, জেলা-উপজেলা প্রশাসন সভা সেমিনার, ব্যানার-ফেস্টুন স্থাপন, লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করে নদীতে মা ইলিশ ধরা থেকে বিরত থাকতে সচেতন করছেন জেলেদের। অভিযানের সময় যেন জেলেরা নদীতে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকেন এজন্য তালিকাভুক্ত জেলে প্রতি পরিবারকে মানবিক সহায়তা অংশ হিসেবে ২৫ কেজি করে ভিজিএফ চাল বিতরণ করছেন মৎস্য বিভাগ। আগামী ১১ অক্টোবর শেষ হবে চাল বিতরণ কার্যক্রম। জেলায় ২৮ হাজার ১৪৮ জন কার্ডধারী জেলে আছেন। এদের মধ্যে ২০ হাজার জেলেকে ৫০০ টন চাল দেওয়া হচ্ছে।

শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার ঠান্ডার বাজারের আড়ৎদার মো. সুরুজ ফকির বলেন, সরকারের অভিযান দিলে তারা আড়তে মাছ কেনা-বেচা বন্ধ রাখেন। জেলেদের মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে বলেন। তবুও কিছু অসাধু  জেলে ও মাছ ব্যবসায়ী আছে তারা অভিযান মানেন না। তাই তাদের আইনের আওতায় আনার দাবী তাঁর।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, ওই ২২ দিন যেন জেলেরা নদীতে মাছ ধরতে না পারে এজন্য জেলা প্রশাসক বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন। অভিযানের সময় জেলার ছয়টি উপজেলায় আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। জেলেরা যাতে অভিযানের সময় নদীতে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকে তাই বাউল গান, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করবো।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনূল হক বলেন, হাট-বাজার, আড়ৎ, জেলে পল্লীসহ বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ, ব্যানার-ফেস্টুন স্থাপন, মাইকিং, উদ্ভুদ্ধ করণ সভা, সেমিনার চলমান রয়েছে। জেলায় ২৮ হাজার ১৪৮ জন কার্ডধারী জেলের মধ্যে ২০ হাজার জেলেকে ৫০০ টন ভিজিএফ চাল দেওয়া চলমান রয়েছে। আজ ১১ অক্টোবর পর্যন্ত এই চাল বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।