মৎস্য অফিসের উদ্যোগে বকনা বাছুর বিতরণ

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে জাটকা ও মা ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধের সময়ে জেলেদের  সরকারি প্রনোদনার সরূপ বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়েছে।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা মৎস্য অফিসের ব্যবস্থাপনায়।  মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে  ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নিবন্ধিত ৩২ জেলের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) সকাল১০ টায়  উপজেলা পরিষদ  চত্বরে উপজেলা মৎস্য দপ্তরের আয়োজনে জেলেদের মাঝে এ বকনা বাছুর (গরু) বিতরণ করা হয়।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম এর  সভাপতিত্বে বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভেদরগঞ্জ  উপজেলা নির্বাহী  অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন। এসময় উপস্তিত ছিলেন  উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার তানবীন হাসান শুভ, সমবায় কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন, সহকারি যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা  আব্দুস সাত্তার উপজেলা মৎস্য দপ্তরের কর্মকর্তা - কর্মচারী ও উপকার ভোগী জেলেরা উপস্থিত ছিলেন।
 প্রধান অতিথির বক্তব্য উপজেলা নির্বাহী  অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন  বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে নিয়ে ভাবেন বলেই, জাটকা ইলিশ রক্ষা মৌশুমে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান ও তাদের জীবন মান উন্নয়নের জন্য তিনি বরাদ্দ দিয়েছেন। সঠিক জেলে যেন বাছুর পায় এবং সঠিক ভাবে লালন পালন করে নিজেদের ভাগ্য উন্নয়ন করতে পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি  রাখার জন্য মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি আহবান জানান।তিনি আরো বলেন, ইলিশ সম্পাদ রক্ষার জন্য সরকার আপনাদের সহায়তা দিচ্ছে। সরকারের দেয়া সহায়তার সঠিক ব্যবহার করে আপনারা ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে ভুমিকা রাখবে। যারা সরকারি বিধান অমান্য করে জাটকা  ধরবেন তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত পদক্ষেপ নিব। আর মনে রাখবেন এ গরু দেয়া হচ্ছে আপনার ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কোন ভাবেই বিক্রি করা যাবেনা।
আলোচনা শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে জেলেদের হাতে বকনা বাছুর তুলে দেন অতিথিগণ। উল্লেখ্য ভেদরগঞ্জ উপজেলায় নিবন্ধিত ১৪ হাজার ১ জন জেলের মধ্যে এই প্রকল্পের আওতায় পর্যায়ক্রমে বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান ও উপকরণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। যার ধারাবাহিকতায়  এ পর্যন্ত ১শ ৩২টি বকনা বাছুর, ২০০ টি ছাগল ও ৮০ জনের মাঝে ১৬ সেট জাল বিতরণ করা হয়েছে।