• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

বিএনপির আন্দোলন আগেও বিফলে গেছে, আবারও বিফলে যাবে

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০২৩  

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া দল। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ক্ষমতায় আছি। এই সরকারের পতন ঘটানোর শক্তি বিএনপি জামায়াত বা একাত্তরের পরাজিত শক্তিদের নেই। তাদের আন্দোলন আগেও বিফলে গেছে, আবারো বিফলে যাবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে সরকারি অনুদানে নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য শিশুতোষ চলচ্চিত্র 'মাইক' এর বিশেষ প্রদর্শনী অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হবে, বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এখন অনেক সচেতন। তারা ইতিহাস জানে। তারা জানে এই বিএনপি একাত্তরের পরাজিত শক্তি পাকিস্তানের দোসর হিসেবে কাজ করছে। এরা স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করে না, দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির বিরুদ্ধে। আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান করে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানো যাবে না। তারা সরকারের পতন ঘটানোর ক্ষমতা রাখে না।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে কেন্দ্র করে নির্মিত 'মাইক' সিনেমার প্রশংসা করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, সিনেমাটি অসাধারণ হয়েছে। পঁচাত্তরের পরে ইতিহাসকে উল্টা পথে চলানোর চেষ্টা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নাম নিশানা মুছে দেয়ার চেষ্টা হয়েছিল। যার কারণে প্রজন্ম ভুল ইতিহাস জানত, সঠিক ইতিহাস জানত না। মাইক সিনেমায় সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। সিনেমাটি ইতিহাসের মাইলফলক, ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

হানিফ বলেন, জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণই মূলত স্বাধীনতার ডাক বা ঘোষণা। কারণ ভাষণের পরই গোটা বাঙালি জাতি যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছিল। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল জাতি, দেশ সৃষ্টি করার ভাষণ। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণা। বিশ্বখ্যাত এ ভাষণের সঙ্গে অন্য ভাষণের তুলনা হতে পারে না। এই ভাষণ পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণগুলোর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে বিবেচিত হবে।

আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর একাত্তরের পরাজিত শক্তি জাতির পিতার সমস্ত স্মৃতি মুছে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। জয় বাংলা নিষিদ্ধ ছিল, ৭ মার্চের ভাষণ ও বঙ্গবন্ধুর ছবি নিষিদ্ধ ছিল। আজকে তারাই সকাল-বিকাল গণতন্ত্রের কথা বলে, গণতন্ত্রের সবক দেয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম প্রমুখ।