• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী

আবে হায়াত বলতে পৃথিবীতে আসলেই কি কিছু আছে?

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল ২০২৪  

আব অর্থ পানি আর হায়াত অর্থ জীবন। এর পূর্ণাঙ্গ অর্থ হল জীবনবারি বা অমৃতবারি। অর্থাৎ এমন পানি যা মানুষ পান করলে চিরজীবী হবে। আমাদের সমাজে এ পানির কথা ও একটি গল্পের বেশ প্রচলন রয়েছে। বিশেষত হযরত খিজির আ. ও বাদশাহ জুলকারনাইনের সাথে এ পানির সংশ্লিষ্ট গল্প বেশী পাওয়া যায়।

হযরত খিজির আ. একজন মহান পণ্ডিত ছিলেন। কোরআনে হযরত মুসা আ. এর সাথে মিলিত হয়ে তার নাম অনেকবার এসেছে। তবে তিনি নবী ছিলেন কিনা তা নিয়ে পণ্ডিতদের বিতর্ক আছে। তবে তিনি একজন ওলি ছিলেন এ ব্যাপারে নিশ্চিত।

বাদশাহ জুলকারনাইন একজন খ্যাতিমান শাসক ছিলেন। তিনি কুরআনে উল্লিখিত একজন ব্যক্তি। তার নাম সুরা কাহ্ফে উল্লেখ করা হয়েছে। কেউ কেউ বলেন, জুলকারনাইন ছিলেন খিজির আ.এর  খালাতো ভাই।

একবার বাদশাহ জুলকারনাইনের দরবারে আলোচনা চলছিল। আলোচনার এক পর্যায়ে  হযরত খিজির আ. এর আগমন ঘটে। তিনি তখন কথায় কথায় বাদশাহ জুলকারনাইনকে বললেন সাগরের ওপারে একটি অন্ধকার দেশ আছে। যেখানে কোন মানুষের আনাগোনা হয় না। সেখানে আবে হায়াত নামে একটি অন্ধকূপ রয়েছে। কেউ যদি ঐ পানি পান করে তাহলে সে হবে চিরঞ্জীব!

আবে হায়াত নামক কূপের কোন সত্যতা নাই। কুরআন- হাদিসের নির্ভরযোগ্য বর্ণনা মতে আবে হায়াত, খিজির আ. ও জুলকারনাইন সংশ্লিষ্ট ঘটনা কোথাও বর্ণিত নাই। কেননা পৃথিবীতে আগত প্রত্যেক প্রাণীরই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আল্লাহ বলেন ‘জীবমাত্রকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আমি পরীক্ষা করার জন্য তোমাদের মন্দ ও ভালোতে লিপ্ত করি, এবং তোমাদের সবাইকে আমারই কাছে ফিরিয়ে আনা হবে।’ ( সুরা আম্বিয়া:৩৫)

আল্লাহ তাআলা বলেন, যখন তাদের মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে আসবে তারা এটাকে এক মুহূর্তও আগ পিছু করতে পারবে না। (৭-সূরা আল আরাফ ৩৪)

অন্য এক আয়াতে আল্লাহ নবীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন ‘(হে নবী!) আমি তোমার আগেও কোনো মানুষের জন্য চিরদিন বেঁচে থাকার ফায়সালা করিনি। সুতরাং তোমার মৃত্যু হলে তারা কি চিরজীবী হয়ে থাকবে?’ (সুরা আম্বিয়া:৩৪)