• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
প্রতিজ্ঞা করেছিলাম ফিরে আসবোই: শেখ হাসিনা জনগণের শক্তি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি: শেখ হাসিনা আজ হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

পানিতে ডুবে মারা গেলে শহীদ

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২০  

জীব মাত্রই মৃত্যু অপরিহার্য। তবে সুন্দর ও স্বাভাবিক মৃত্যুর প্রত্যাশা সব মানুষের। এর পরও কষ্টকর ও দুর্ঘটনাকবলিত মৃত্যুরও মুখোমুখি হয় কোনো কোনো মানুষ। মুমিন বিশ্বাস করে মানুষের মৃত্যু কিভাবে হবে তা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। তাই দুর্ঘটনায় কারো মৃত্যু হলে ইসলামে তাকে হেয় করার সুযোগ নেই; বরং আল্লাহর দরবারে বিশ্বাসী ব্যক্তির কষ্টকর মৃত্যুর বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘নবী (সা.) বলেছেন, পানিতে ডুবে, কলেরায়, প্লেগে ও ভূমিধসে বা চাপা পড়ে মৃত ব্যক্তিরা শহীদ।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭২০)

অপর বর্ণনায় এসেছে, ‘একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, তোমরা তোমাদের মধ্যে কোন কোন ব্যক্তিকে শহীদ বলে গণ্য করো? তারা বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আল্লাহর পথে যে নিহত হয়, সে-ই শহীদ। তিনি বললেন, তাহলে তো আমার উম্মতের মধ্যে শহীদ খুবই অল্প। লোকেরা বলল, তাহলে কারা শহীদ বলে গণ্য হবে, হে আল্লাহর রাসুল? তিনি বললেন, যে আল্লাহর পথে নিহত হয় সে শহীদ, যে আল্লাহর পথে মারা যায় সে শহীদ, যে প্লেগ রোগে মারা যায় সে শহীদ, যে পেটের রোগে প্রাণ হারায় সে শহীদ এবং যে পানিতে ডুবে মারা যায় সেও শহীদ।’ (রিয়াজুস সালিহিন, হাদিস : ১৩৬২)

 

কষ্টকর মৃত্যু থেকে বাঁচার প্রার্থনা

ইসলাম দুর্ঘটনায় কারো কষ্টকর মৃত্যু হলে তাকে শহীদের মর্যাদা দিয়েছে। তবে সেই মৃত্যু কখনোই প্রার্থিত নয়। বরং মুমিন কষ্টকর মৃত্যু থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে চাপা পড়ে মৃত্যু থেকে আশ্রয় চাই, আশ্রয় চাই গর্তে পড়ে মৃত্যু থেকে, আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই পানিতে ডুবে ও আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া থেকে এবং অতি বার্ধক্য থেকে। আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই মৃত্যুর সময় শয়তানের প্রভাব থেকে, আমি আশ্রয় চাই আপনার পথে জিহাদ থেকে পলায়নপর অবস্থায় মারা যাওয়া থেকে এবং আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই বিষাক্ত প্রাণীর দংশনে মৃত্যুবরণ থেকে।’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ১৫৫২)

শুধু তা-ই নয়, রাসুলুল্লাহ (সা.) স্বাভাবিক মৃত্যুর কষ্ট থেকেও আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতেন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁদের যেমন কোরআনের সুরা শিক্ষা দিতেন, তেমনি এই দোয়াও শিক্ষা দিতেন। তিনি বলতেন, ‘বলো! হে আল্লাহ! আমরা আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি জাহান্নামের শাস্তি থেকে, আমরা আপনার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি কবরের শাস্তি থেকে, আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি দাজ্জালের ফিতনা থেকে এবং আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে।’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ৫৫১২)