• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

শরীয়তপুর বার্তা

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটানো কবিরা গুনাহ

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘আল্লাহর কাছে সবচেয়ে অপ্রিয় হালাল বিষয় হচ্ছে তালাক’। (আবু দাউদ, হাদিস: ২১৭৭)
ইসলামি শরিয়ত অতি প্রয়োজনে, যখন আর কোনোভাবেই সংসার টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়, তখন বিবাহবিচ্ছেদের অবকাশ দিয়েছে। তবু ইসলামের দৃষ্টিতে বিষয়টি অপছন্দনীয় ও অপ্রিয় বৈধ বস্তু।

তাই নারী-পুরুষ উভয়ের কর্তব্য হলো যথাসাধ্য বিবাহবিচ্ছেদ থেকে দূরে থাকা।

তালাক দেওয়ার ক্ষমতা যেহেতু পুরুষের, তাই পুরুষকে ক্ষমতা প্রয়োগের ব্যাপারে খুবই সংযমী হতে হবে এবং ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। অন্যদিকে নারীর ব্যাপারেও হাদিস শরিফে এসেছে, ‘যে নারী স্বামীর কাছে বিনা কারণে তালাক প্রার্থনা করে, তার জন্য জান্নাতের সুঘ্রাণ পর্যন্ত হারাম’। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২০৫৫)

অন্যদিকে অন্য কেউ যদি স্বামী-স্ত্রীর সংসার ভাঙার চেষ্টা করে এটা গর্হিত অপরাধ। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটানো কবিরা গুনাহ।

যদি পিতা-মাতাও দ্বিনি স্বার্থ ছাড়া নিছক দুনিয়ার স্বার্থে সন্তানের সংসার ভাঙেন, তাহলে তারাও কবিরা গুনাহগার হিসেবে সাব্যস্থ হবেন।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে, মালিকের বিরুদ্ধে কর্মচারীকে প্ররোচিত করে, ওই ব্যক্তি আমার দলভুক্ত নয়’। (আবু দাউদ, হাদিস : ২১৭৫)

যারা মানুষের সংসার ভাঙার কাজ করে, তারা মূলত শয়তানের প্রকাশ্য রূপ। বিবাহবিচ্ছেদ ঘটানোর মাধ্যমে শয়তানের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা হয়।

মহানবী (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই ইবলিস শয়তান তার সিংহাসন পানির ওপর স্থাপন করে। অতঃপর মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য তার নির্ধারিত সৈন্যদলকে পাঠায়। তাদের মধ্যে যে মানুষকে সবচেয়ে বেশি বিপথগামী করতে পারে, তাকে ইবলিস অতি আপন করে নেয়। তাদের কেউ যখন এসে বলে আমি এই এইভাবে বিভ্রান্ত করেছি, তখন ইবলিস বলে তুমি কিছুই করোনি। কিন্তু যখন তাদের কেউ এসে বলে যে আমি অমুক স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ না ঘটিয়ে ছাড়িনি। তখন তাকে সে বলে, তুমি অনেক বড় কাজ করেছ! এরপর সে তাকে কাছে টেনে নেয় ও বুকে জড়িয়ে ধরে’। (মুসলিম, হাদিস: ৬৯৯৯)
মহান আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।