• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

ব্যাকটেরিয়া থেকে বাঁচার পদ্ধতি আবিষ্কারের দাবি বিজ্ঞানীদের

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩  

জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যব্যবস্থা হুমকির মধ্যে পড়েছে। তবে এরমধ্যে বিজ্ঞানীরা একটি নতুন উদ্ভিদ বিষক্রিয়া আবিষ্কারের দাবি করেছেন। এটি অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে সহায়ক হতে পারে।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি নেচার ক্যাটালাইসিস জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে ব্রিটিশ, জার্মান এবং পোলিশ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, একটি উদ্ভিদের বিষক্রিয়া বা একটি সম্ভাব্য নতুন অ্যান্টিবায়োটিক অ্যালবিসিডিন, অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের তুলনায় ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে বাঁচতে একটি ইউনিক পদ্ধতি রয়েছে।

নতুন আবিষ্কারটি স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক উন্নয়ন বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ বহু বছর ধরে অনেক ওষুধ-প্রতিরোধী রোগজীবাণু যেমন ই কোলাইয়ের ধারাবাহিক বৃদ্ধি পেয়েছে। এই প্যাথোজেনগুলো মানব স্বাস্থ্যের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি তৈরি করে।

নতুন গবেষণার ফলাফলকে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞানীরা এখন বিভিন্ন ধরণের ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগের মোকাবিলা করার কার্যকর উপায় খুঁজে বের করার আশা করছেন।

অ্যালবিসিডিন আসে জ্যান্থোমোনাস অ্যালবিলিনানস নামক ব্যাকটেরিয়া উদ্ভিদের প্যাথোজেন থেকে। যদিও এই রোগজীবাণু উদ্ভিদকে আক্রমণ করার জন্য অ্যালবিসিডিন ব্যবহার করে। তবে এই রোগজীবাণুটি ব্যাকটেরিয়া মারার ক্ষেত্রেও অত্যন্ত কার্যকর।

তবে এটি কীভাবে কাজ করে তা বোঝার জন্য বিজ্ঞানীদের অনেক পরীক্ষারে মুখে পড়তে হয়েছে। অ্যালবিসিডিন কীভাবে ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে তা উন্মোচন করতে উন্নত কৌশল ব্যবহার করেছে।

জার্মানির টেকনিশে ইউনিভার্সিটি বার্লিন এবং পোল্যান্ডের ক্রাকোতে জাগিলোনিয়ান ইউনিভার্সিটিতে বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কাজ করেছেন দিমিত্রি ঘিলারভ। তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের একটি কাঠামোগত বোঝাপড়া আছে, আমরা এর কার্যকারিতা এবং ফার্মাকোলজিক্যাল বৈশিষ্ট্যগুলোকে উন্নত করতে অ্যালবিসিডিনের পরিবর্তন করতে পারি।’

তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি অ্যান্টিবায়োটিকের জন্য এটির অত্যন্ত কার্যকারী হতে পারে। এটি প্যাথোজেনিক ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে অত্যন্ত শক্তিশালী। এমনকি ফ্লুরোকুইনোলোনসের মতো বহুল ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী।

এই ধরনের আবিষ্কার স্বাস্থ্যসেবার ওপর অনেক ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে বিশ্বে প্রতিদিন ৩ হাজার ৫০০ মানুষ প্রাণ হারায়। শুধুমাত্র ২০১৯ সালেই বিশ্বে ১২ লাখের বেশি মানুষ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে প্রাণ হারিয়েছে।