• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

শরীয়তপুর বার্তা

ইউএফও নিয়ে নাসা’র প্রতিবেদন, খোলসা হলো অনেক কিছুই

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

আকাশে ভিনগ্রহের প্রাণীদের চালানো নভোযান বা ইউএফও উড়ে বেড়ানোর বিষয়ে গুজব ও জল্পনা কল্পনা চলছে। এ বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করার পর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বেশিরভাগ ইউএফওর ঘটনাগুলো ব্যাখ্যা করা সম্ভব হয়েছে। তবে বেশ কিছু ব্যাপার রয়েছে যেগুলো মানুষের দ্বারা সৃষ্টি করা নয়, আবার প্রাকৃতিকও নয়। মহাজাগতিক উৎস থেকে ইউএফও আসছে, এমন ধারণার এখন পর্যন্ত কোনো ভিত্তি নেই। তবে এই সম্ভাবনা উড়িয়েও দেওয়া যায় না।

সংস্থাটি বলছে, ভবিষ্যতে এসংক্রান্ত অনুসন্ধানের জন্য তারা একটি কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করতে চায়। এ ছাড়া তাদের লক্ষ্য বিজ্ঞানকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য তৈরির পরিস্থিতি থেকে বের হতে চান তারা।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কীভাবে ইউএফওসংক্রান্ত গবেষণায় কাজে লাগানো যায়, তা ওই প্রতিবেদনে পরিষ্কারভাবে তুলে ধরা হয়। ইউএফওর রহস্য উদঘাটনকে আকাশপথে যোগাযোগব্যবস্থা ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে তুলে ধরা হয়।

এর আগে চলতি বছরের মে মাসে ১৬ জন গবেষকের একটি দল তাদের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের ফলাফলে জানান যে তাদের কাছে প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানসহ যতটুকু তথ্য রয়েছে, তা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য যথেষ্ট নয়। তাদের আরো বিস্তারিত ও স্বচ্ছ তথ্য-প্রমাণ প্রয়োজন।

গবেষকদলের সদস্য নাদিয়া ড্রেক বলেন, ‘ঘটনাগুলোকে এমন কিছু হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে যেগুলো কোনো অপারেটর বা সেন্সর দ্বারা সহজে বোধগম্য নয় কিংবা এগুলো এমন কিছু যা অদ্ভুত কিছু করছে।’

ইউএফও বা ভিনগ্রহী যানের অস্তিত্ব আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে গত বছরের জুন মাসে গবেষণা শুরু করে নাসা। জ্যোতির্বিজ্ঞানী ডেভিড স্পারগেলের নেতৃত্বে ১৬ জন বিজ্ঞানী, পাইলট ও ডেটা বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে ২০২২ সালে নাসার ইউএফও গবেষণার একটি দল গঠিত হয়। এরপর চলতি বছরের ৩১ মে  ইউএফও নিয়ে প্রথমবার উন্মুক্ত সংলাপের আয়োজন করে নাসা।

সংলাপে জানা যায়, গত এক বছরে ৮০০ ঘটনা বিচার-বিশ্লেষণ করেছেন তারা। তবে এখনো এলিয়েন বা ভীনগ্রহের কোনো বুদ্ধিমান প্রাণীর অস্তিত্ব এখনও পাওয়া যায়নি। তবে ভিন্ন গ্রহবাসীদের থাকার সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। আর এ বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রয়োজন উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন গবেষণা সরঞ্জাম।