• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

শরীয়তপুর বার্তা

এক দশকেও ঘুচেনি কোহলি-গম্ভীর দ্বন্দ্ব!

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২ মে ২০২৩  

২০১৩ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) প্রথমবার প্রাকশ্যে এসেছিল বিরাট কোহলি-গৌতম গম্ভীর দ্বন্দ। এরপর গম্ভীর ক্রিকেট ছেড়েছেন, কোহলি ভারতের অধিনায়কত্ব করেছেন, কেটে গেছে প্রায় এক যুগ। অথচ একটুও উন্নতি হয়নি জাতীয় দলের সাবেক দুই সতীর্থের সম্পর্ক! বরং তাদের সম্পর্কে আরও ভাটা পড়েছে।

বছরের এই সময়টায় উপমহাদেশে গ্রীষ্মকাল। সূর্যের উত্তাপ খানিকটা বেশিই থাকে। গত সোমবার রাতে বেঙ্গালুরু-লক্ষ্মৌ ম্যাচের উত্তাপ বোধহয় সেটাকেও ছাড়িয়ে গেছে! লো স্কোরিং এই ম্যাচে ব্যাট-বলের লড়াই ছাপিয়ে কথার লড়াইয়ে নেমেছিলেন বিরাট কোহলি-গৌতম গম্ভীর।

তাদের এই দ্বন্দের শুরুটা হয়েছিল বেশ আগেই। ২০১৩ সালে আইপিএলের একটি ম্যাচে মাঠের মধ্যেই তর্কে জড়িয়েছিলেন তখনকার কলকাতা নাইট রাইডার্স অধিনায়ক গম্ভীর ও বেঙ্গালোর অধিনায়ক কোহলির মধ্যে। তখনও তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছিল ওই ঘটনা। এরপর থেকে আর এই দুজনের সুসম্পর্কের কথা শোনা যায়নি। খেলা শেষে ধারাভাষ্যকার ও বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করার পালায় গম্ভিরকে নানা সময়ে দেখা গেছে কোহলির তীব্র সমালোচনা করতে।

এখন কোহলি আর বেঙ্গালোরের অধিনায়ক নন। খেলোয়াড়ি জীবন বেশ আগেই চুকিয়ে গম্ভির এখন কাজ করছেন লক্ষ্ণৌ দলের ‘গ্লোবাল মেন্টর’ হিসেবে। তারপরও কোহলির সঙ্গে সেই পুরোনো দ্বন্দ ঘুচেনি।

অথচ কোহলির ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে এই দুইজনের মধ্যে সম্পর্ক ছিল মধুর! দলের অভিজ্ঞ সদস্য হিসেবে গম্ভীরের স্নেহ পেয়েছেন কোহলি। জাতীয় দলে শুরু দিকে তাদের সম্পর্ক কেমন ছিল, সেটা একটা গল্প বললেই অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।

ওয়ানডে ক্রিকেটে কোহলি নিজের অভিষেক সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে নিজের ১৪তম ম্যাচে। যেখানে শ্রীলঙ্কার ৩১৫ রান তাড়া করতে নেমে ১০৭ রান এসেছিল তার ব্যাট থেকে। একই ম্যাচে অপরাজিত ১৫০ রান করে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন গম্ভীর।

ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে 'ম্যান অব দ্য ম্যাচের' পুরস্কার গ্রহণ করার জন্য ডাকা হয় গম্ভীরকে। ভারতের সাবেক এই তারকা তখন নিজের পুরস্কার কোহলিকে দিয়ে দেন। সেই সময়ের তরুণ কোহলির জন্য এটা নিশ্চয়ই অনুপ্রেরণাদায়ক ছিল।