• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
প্রতিজ্ঞা করেছিলাম ফিরে আসবোই: শেখ হাসিনা জনগণের শক্তি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি: শেখ হাসিনা আজ হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

রাজধানীর পূর্ব-পশ্চিমে হচ্ছে উড়াল সড়ক

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

যানজট কমানোর লক্ষ্যে  ‘ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে রাজধানীর পূর্ব-পশ্চিমে উড়াল সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার।  এই এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে ঢাকা-আরিচা, ঢাকা-মাওয়া, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট জাতীয় মহাসড়ক। এর ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে আসা যানবাহন পদ্মাসেতু হয়ে ঢাকা শহরে প্রবেশ না করেই দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এবং চট্টগ্রাম-সিলেটসহ পূর্বাঞ্চলে চলাচল করতে পারবে।

সম্প্রতি সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সেতু বিভাগের সচিব বেলায়েত হোসেন।

তিনি জানান, ‘ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্প নির্মাণ করবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বে (পিপিপি) প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিইএ) কাছে  প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

সেতু বিভাগের সচিব বেলায়েত হোসেন  প্রকল্পটি পিপিপির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। এর জন্য আমাদের বেইজিংস্থ দূতাবাসের মাধ্যমে চীনা একটি সংস্থা প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা সেই প্রস্তাব যাচাই-বাছাই করতে আলোচনা করব।

সেতু বিভাগ জানায়,  প্রস্তাবিত ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি জাতীয় মহাসড়ক এনফাইভ (ঢাকা-আরিচা), এনএইট (ঢাকা-মাওয়া) এবং এনওয়ান (ঢাকা-চট্টগ্রাম) এর সঙ্গে সংযুক্ত হবে। এটি বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম-সিলেটসহ পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাসমূহের যানবহনসমূহ ঢাকা শহরে প্রবেশ না করে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ২০টি জেলায় সরাসরি চলাচল করতে পারবে। এর ফলে ঢাকা ও এর পাশ্ববর্তী এলাকার যানজট অনেকাংশে কমে যাবে। এটি এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গেও সংযুক্ত হবে।

প্রস্তাবিত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে স্ট্রাটেজিক ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানে বর্ণিত মিডিল/আউটার রিং রোডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রয়েছে। প্রকল্পের অ্যালাইনমেন্টটি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের হেমায়েতপুর হতে শুরু হয়ে নিমতলী-ফতুল্লা-ইকুরিয়া-বন্দর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে মিলিত হবে।

সেতু বিভাগ আরো জানায়, ২০১৭ সালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের বালিয়াপুর থেকে নিমতলী-কেরানিগঞ্জ-ফতুল্লা-বন্দর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দ পর্যন্ত ৩৯ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। সে সময় প্রকল্পটি জিটুজি পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয় সরকার। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সাড়া না পেয়ে এবার পিপিপির ভিত্তিতে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। সমীক্ষার সময় চার লেনের এ উড়ালসড়ক নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৩২৮ কোটি টাকা। এ প্রকল্পের আওতায় মোট ৩৯ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং ২৪ দশমিক ৯৭ কিলোমিটার দীর্ঘ র‌্যাম্প করা হবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ৩৪০ দশমিক ৭৩৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। জমির দাম, স্থাপনা ও অন্যান্য ক্ষতিপূরণ  নিজস্ব বাজেট থেকে বহন করবে সরকার।