• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

শীতের পিঠার ঐতিহ্য ফিরাতে ভেদরগঞ্জে শুরু হয়েছে পিঠা মেলা

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৫ জানুয়ারি ২০২১  

শরীয়তপুর  প্রতিনিধিঃ ভেদরগঞ্জের রূপনগরে বিলুপ্ত প্রায় ঐতিহ্যবাহী শীতকালিন গ্রামীন পিঠার জৌলুশ ফিরাতে শুরু হয়েছে সপ্তাহ ব্যাপি পিঠা মেলা। ৫ জানুয়ারী মঙ্গলবার সকাল থেকে ভেদরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় উপজেলার আর্শিনগর ইউনিয়নের রূপনগর বাজারে বাজারে এ পিঠা মেলা উদ্ধোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আল নাসীফ।

স্থানীয় সিআইজি পুরুষ ও মহিলা গ্রুপের অংশগ্রহণে এ মেলায় পিঠার মোট ৮টি স্টলে বসেছে। এবারের মেলায় বিলুপ্ত প্রায় ৩০ প্রকারের শীতকালিন গ্রামীন পিঠার পসরা সাজানো হয়েছে। স্থানীয় কৃষক গ্রুপের পুরুষ সিআইজি সমিতির সভাপতি হাজি বুলবুল সরকারের সভাপতিত্বে মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার ফাতেমা ইসলাম, আর্শিনগর ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি অফিসার কায়সার আহমেদ রানা, ডিএম খালী ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি অফিসার মামুনুর রশিদ হাসিব প্রমূখ।

পিঠা উৎসবে হরেক রকমের পিঠার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য ছিল পাটিসাপটা, ভাপা পিঠা, ঝাল পিঠা, চিতই পিঠা, পোয়া পিঠা, তেলের পিঠা, ঝিনুক পিঠা, মাংস পিঠা ও রস পিঠাসহ ৩০ রকমের পিঠা।

পিঠা মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আল নাসীফ বলেন, আমাদের বর্তমান সভ্যতার সাথে তাল মিলাতে গিয়ে গ্রামীন ঐতিহ্যের বাহারী পিঠা হারিয়ে  যেতে বসেছে। বাংলার ঘরে ঘরে পৌষ মাসে গ্রামীন পিঠার যে উৎসব বসতো তা বর্তমান প্রজন্মের কাছে কল্পনা। নতুন প্রজন্মের সামনে আমাদের পিঠার হারানো গৌরব তুলে ধরতেই সরকারি সিদ্ধান্তে আমাদের উপজেলা কৃষি বিভাগ এ পিঠা  মেলার আয়োজন করেছ। আমি আনন্দিত এ জন্য যে আমাদের মা বোনেরা এখনো রকমারি পিঠা তৈরী করতে ভুলে যায়নি। আমি ব্যক্তিগত ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ  থেকে এ  মেলার ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্য সর্বাক্ত সহযোগিতা করবো।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ও উপজেলা কৃষি অফিসার ফাতেমা ইসলাম বলেন, ফসল কাটা পরে ঘরে তোলা, গোলাজাত করার সাথে সাথে আপনজন তথা জামাইদের আপ্যায়নে গ্রাম বাংলায় পিঠার  যে উৎসব পরে যেতো। আজ তা শুদুর অতীত আমাদের পিঠার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার ঐকান্তিক ইচ্ছায় কৃষি বিভাগ গত কয়েক বছর ধরে গ্রামীণ পিঠা মেলার আয়োজন করে আসছে। তারই ধারা বাহিকতায় আজকের এ পিঠা উৎসবে ও পিঠা  মেলার আয়োজন। সরকারে এ প্রচেষ্টার ফলে আমাদের নতুন প্রজন্ম রকমারি ও বাহারি পিঠার রূপ রং ও স্বাদ অনুভব করতে সক্ষম হবে।