• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

আঙুলের ছাপে মিলল অজ্ঞাত লাশের পরিচয়

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৩ নভেম্বর ২০২২  

শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা নদীর চর থেকে এক অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার করে মাঝিরঘাট নৌ-পুলিশ। পরে একটি পরিবার লাশটি তাদের বলে দাবি করেন। তখন সিআইডি ক্রাইমসিন ফরিদপুর ইউনিট মৃতব্যক্তির আঙুলের ছাপ পরীক্ষা করলে পরিচয় শনাক্ত হয়।

আজ বুধবার (২ নভেম্বর) দুপুরে আঙুলের ছাপ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এরআগে ১ নভেম্বর
(মঙ্গলবার) রাত ১০টার দিকে উপজেলার পালেরচর এলাকার পদ্মা নদীর চর থেকে লাশটি উদ্ধার করে মাঝিরঘাট নৌ-পুলিশ সদস্যরা।

নৌ-পুলিশ, সিআইডি ক্রাইমসিন ফরিদপুর ইউনিট ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ২২ দিনের মা ইলিশ রক্ষা অভিযানের সময় নিখোঁজ হন জাজিরা উপজেলার পূর্বনাওডোবার আলমখাঁরকান্দি গ্রামের জেলে মজিবর ফকির। মঙ্গলবার রাতে অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধারের পর জাহানারা বেগম নামের এক নারী লাশ তাঁর স্বামী মজিবর ফকিরের বলে দাবি করেন। পরবর্তীতে নৌ-পুলিশ মৃতব্যক্তির পরিচয় সনাক্তর জন্য সিআইডি ক্রাইম সিন ফরিদপুর ইউনিটকে জানান। দুপুরে তারা এসে ডিভাইস সেন্সরের মাধ্যমে লাশের দুই হাতের চারটি আঙুলের ছাপ নেয়। পরে এনআইডি সার্ভারের সহযোগিতায় মৃতব্যক্তির বিস্তারিত পরিচয় জানতে পারে।

মৃত ওই ব্যাক্তির নাম মো. হানিফ (৩২)। তিনি
কিশোরগঞ্জ জেলার কাটিয়াদী থানার মুমুরদিয়া ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের মুমুরদিয়া গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে।

পদ্মা নদীতে নিখোঁজ মজিবরের স্ত্রী জাহানারা বেগম ও ভাতিজা সাগর হোসেন বলেন, গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে অভিযানের সময় ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে জাজিরা পূর্বনাওডোবার আলমখাঁরকান্দি এলাকায় পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হন মজিবর। মঙ্গলবার রাতে নৌ-পুলিশ একটি অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। তাই আমরা ভেবেছিলাম লাশটি আমাদের মজিবরের। তাকে জীবিত বা মৃত পাওয়ার দাবি তাদের।

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিখোঁজ হওয়া মজিবুরের বিষয়ে আমরা শুনেছি। তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

এদিকে সিআইডি ফরিদপুরের উপপরিদর্শক মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, আমরা মৃতব্যক্তির দুই হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল ও তর্জনী আঙ্গুল (ফিঙ্গারপ্রিন্ট  সেন্সর) ডিভাইসের মাধ্যমে ছাপ নিয়ে পরিক্ষা করি এবং  মৃতব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর বের করতে সক্ষম হয়েছি। মৃতব্যক্তির বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়।

জাজিরা মাঝিরঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তপন কুমার বিশ্বাস জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে জেনে পদ্মা নদীর চর থেকে লাশটি উদ্ধার করি। কিন্তু স্থানীয় জাহানারা বেগম নামের এক নারী দাবি করেন লাশটি তাঁর স্বামীর। তাই আমরা সিআইডি ক্রাইম সিন ফরিদপুর ইউনিটকে জানালে তাঁরা আঙুলের ছাপ নিয়ে মৃতের পরিচয় শনাক্ত করেন। ইতোমধ্যে তাঁর পরিবারকে এবিষয়ে জানানো হয়েছে। আজ বিকেলে হানিফের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে সিআইডি তাঁর মৃত্যুর বিস্তারিত বিষয় জানার পর পরিবারে হস্তান্তর করা হবে।