• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

সর্বাধিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি নিয়ে ফিরলেন বঙ্গবন্ধু

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০২১  

জাপান বাংলাদেশকে সহজতম শর্তে ২৫ কোটি টাকা ঋণ দেবে। জাপানে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছয় দিনব্যাপী সরকারি সফর শেষে প্রকাশিত এক যুক্ত ইশতেহারে এ কথা জানানো হয়। ইশতেহারে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাংলাদেশ পুনর্বাসন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে যেসব সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে সেগুলোর ব্যাখ্যা করেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রী সহানুভূতির সঙ্গে সমস্যা উপলব্ধি করেছেন বলে জানান তিনি।

দৃষ্টান্তমূলক ঐকান্তিক প্রচেষ্টা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান জাপানের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, জাপান সরকার এই প্রচেষ্টাকে সাহায্য করার জন্য যত বেশি সম্ভব সহযোগিতা দিয়ে যাবে। বাংলাদেশ এবং জাপানের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের ব্যাপারে আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে।

দৈনিক বাংলা, ২৫ অক্টোবর ১৯৭৩

দৈনিক বাংলা, ২৫ অক্টোবর ১৯৭৩

বঙ্গবন্ধুর ঢাকা প্রত্যাবর্তন

প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, জাপান সরকারের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। জাপান সরকার আমাদের প্রথম যোজনা সম্পর্কে উৎসাহ দেখিয়েছে। সপ্তাহব্যাপী জাপান সফর শেষে এদিন রাতে ঢাকায় ফিরে বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন। রাত ১১টা ১০ মিনিটে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বাংলাদেশ বিমান ৭০৭ তেজগাঁও বিমানবন্দরে অবতরণ করে। অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বদেশের মাটিতে স্বাগত জানান। এসময় মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ জাতীয় সংসদ সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

ডেইলি অবজারভার, ২৫ অক্টোবর ১৯৭৩

ডেইলি অবজারভার, ২৫ অক্টোবর ১৯৭৩

শান্তির মূল্য আমাদের কাছে অপরিসীম

প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ব কংগ্রেসের কাছে পাঠানো এক বাণীতে বলেন, বিশ্বে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে নিপীড়িত জনগণকে অবশ্যই শোষণ থেকে নিজেদের মুক্ত করতে হবে এবং মানুষের প্রতি মানুষের অধিকারের অবসান ঘটাতে হবে। মস্কোয় শক্তিসমূহের বিশ্ব কংগ্রেসের অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ, বঙ্গবন্ধু বিশ্ব কংগ্রেসকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের জনগণ যখন সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ ও বর্ণবৈষম্যবাদের বিরুদ্ধে এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য লড়ছে তখন এই কংগ্রেস সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে।

বাণীতে তিনি বলেন শান্তির প্রয়োজনীয়তাকে বাংলাদেশ অপরিসীম মনে করে। তাই একমাত্র শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আমাদের জনগণ নিজেদের জাতীয় আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণের প্রচেষ্টাকে কেন্দ্রীভূত করতে সক্ষম। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হলো জোট নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। সকল দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার পক্ষে। আগ্রাসনের যারা শিকার হয়েছে সেই আরব দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের সংহতি প্রকাশ এশিয়া আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার নিপীড়িত জাতিসমূহের প্রতি এবং মোজাম্বিক, নামিবিয়া অন্যান্য অঞ্চলের জাতীয় মুক্তির জন্য সংগ্রামের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন হচ্ছে এই নীতির বাস্তব অভিব্যক্তি।