• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

বড়মাছুয়া-রায়েন্দা ফেরী উদ্বোধন করলেন দুই এমপি

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০২১  

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার বড়মাছুয়া এবং বাগেরহাটের শরণখোলা (রায়েন্দা) ফেরী উদ্বোধন করলে দুই এমপি। তবে বড়মাছুয়া অংশের অবকাঠামো এখনো অসম্পন্ন রয়েছে।

বুধবার সকালে রায়েন্দা ফেরী ঘাটে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ রুস্তুম আলী ফরাজি এবং বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন বলেশ্বরর নদীতে চলাচলের এ ফেরী যৌথ ভাবে উদ্বোধন করেন। এতে দুপারের মানুষের দীর্ঘ ৫০ বছর পর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হলো। এসময় উপস্থিত ছিলেন, মঠবাড়িযা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ, শরণখোলা উপজেলা চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাতুনে জান্নাত, মঠবাড়িয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান সিফাতসহ দু‘এলাকার  গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

জানা গেছে, দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ রুস্তুম আলী ফরাজি ও প্রায়াত বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন ২০১৮ সালের ১৭ জুন ফেরির দাবিতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ে ডিও লেটার (চাহিদা পত্র) প্রদান করেন। এই দুই সাংসদের ডিও লেটারের আলোকে মঠবাড়িয়ার আরেক কৃতি সন্তান রেলপথ মন্ত্রনালয়ের সাবেক সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন ২০১৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর স্ব-উদ্যোগে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব বরাবরে একটি চিঠি প্রেরণ করেন। তার তৎপরতায় ফেরি বাস্তবায়নের বিষয়টি আরও দ্রুত তরান্বিত হয়। সর্বশেষ পিরোজপুর-৩ আসনের সাংসদ ডাঃ রুস্তুম আলী ফরাজি ও বাগেরহাট-৪ আসনের বর্তমান সাংসদ অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলনের প্রচেষ্টায় আলোর মুখ দেখে বলেশ^রের দ‘পাড়ের মানুষ।

তবে বড়মাছুয়া ঘাট থেকে মঠবাড়িয়া উপজেলা সদরের দূরত্ব প্রায় সাত কিলোমিটার। সংযোগ সড়কের ১০০ মিটার পর থেকে বাকি সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ, অপ্রস্বস্থ ও ভাঙাচোরা। তিন-চারটি গার্ডার ব্রিজের অবস্থাও খুবই দুর্বল। এই সড়ক থেকে ভারী যানবাহন চলতে গিয়ে পড়তে হবে দুর্ভোগে। তাই এসব সমস্যা দ্রুত সমাধানের দাবি জানায় দুই পারের মানুষ।

বাগেরহাটের সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, বাগেরহাট এবং পিরোজপুর জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) ফেরী ও ফেরী ঘাট এর কাজ বাস্তবায়ন করছে। বলেশ্বরের এই ফেরির কারণে পায়রা থেকে মোংলা সমুদ্র বন্দরের দূরত্ব ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার কমে গেছে। ফেরির সার্বিক পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে পিরোজপুর সড়ক বিভাগ।

পিরোজপুর-৩ আসনের সাংসদ ডাঃ রুস্তুম আলী ফরাজি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে যোগাযোগ উন্নয়ণে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে এক রোল মডেল। তারই ধারবাহিকতায় বলেশ্বর নদের ফেরি যুক্ত হওয়ায় যোগাযোগে আরও এক নতুন দিগন্তের সূচনা হলো। এ ফেরি চালু হওয়ায় খুলনার সঙ্গে বরিশাল বিভাগ এবং মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরের মধ্যে তৈরী হবে এক সেতুবন্ধন। এই ফেরি দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।