• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

‘ইভিএমে ভোট কারচুপির সুযোগ নেই’

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২২  

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট কারচুপির কোনো সুযোগ নেই। ভোটাররা একবার একটি প্রতীকে ভোট দিলে তা অন্য প্রতীকে যুক্ত হবে–এমন দাবিকে অপপ্রচার আর গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন এক প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। এসব অভিযোগ যে ভিত্তিহীন, তা প্রমাণে অভিযোগকারী রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীর সঙ্গে বসে প্রমাণের দায়িত্ব কমিশনকেই নিতে হবে বলে মনে করেন সাবেক এক নির্বাচন কমিশনার।

এক যুগ পেরিয়ে গেলেও এখনো ইভিএম নিয়ে আসেনি রাজনৈতিক ঐকমত্য। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এ প্রক্রিয়ায় আস্থা রাখলেও বরাবরই বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর এর বিপক্ষে অবস্থান। তাদের অভিযোগ, যে প্রতীকেই বাটন প্রেস করা হোক না কেন, নির্দিষ্ট প্রতীকে পড়বে ভোট। আবার দিন শেষে ফলাফলও কারচুপি করা যায়–এমন কথাও বলছেন কেউ কেউ।

তবে এসব অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন ইভিএম টেকনিক্যাল কমিটির সাবেক সদস্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী।

তিনি বলেন, ‘ইভিএমে চাইলেই এক প্রতীকের ভোট অন্য প্রতীকে যাওয়ার সুযোগ নেই। ধরুন, কোনো ভোটার ইভিএমের একটি বাটনে চাপ দেবেন, আর সেটি যাবে অন্য বাটনে–এটি হতে পারে না। এটি অসম্ভব। আপনি যেটিতে চাপ দেবেন, সেটিই আপনাকে দেখাবে। ইভিমে একটায় চাপ দিয়ে আরেকটিতে ভোট যাবে–এটা ভাবাই যায় না।’
 
আর এ মেশিনে একজনের ভোট অন্যজনে দেওয়া সম্ভব নয় বলে জোর দাবি এ প্রযুক্তিবিদের।
 
এ প্রযুক্তিবিদ আরও বলেন, ‘ওয়ান পারসেন্ট বলেন আর ফাইভ পারসেন্ট বলেন, ওটা যেহেতু আমাদের নাগরিকদের অধিকার ভোট দেওয়ার; ধরুন, যার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেই অথবা তার ফিঙ্গার মিলছে না, তার ভোট দেওয়ার অধিকার আছে। তখন আগের নিয়মে ভোট দেবেন। এ জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সবাইকে কেন্দ্রে আসতে হবে।’
 

এদিকে, এমন বিভ্রান্তি এড়াতে নির্বাচন কমিশনকেই এগিয়ে আসতে হবে বলে মনে করেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ।
 
তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তির সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে এবং এ প্রযুক্তিকে গ্রহণ করার জন্য যে যে অসুবিধা আছে, সেটা দূরীকরণের জন্য সবাই মিলে বসে আলাপ-আলোচনায়  ঠিক করা উচিত। কারও যদি আপত্তি থাকে, তাহলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে পারে। আমার মনে হয়, নির্বাচন কমিশন তাদের বারণ করবে না। সেই ক্ষেত্রে আমার মনে হয়, ইভিএমকে সরাসরি না করে অন্তত চেষ্টা করে দেখা যেতে পারে।’
   
সবশেষ জাতীয় নির্বাচনে ছটি আসনে হয় ইভিএমএ ব্যবহার। আসছে নির্বাচনে এ সংখ্যা সক্ষমতা অনুযায়ী বাড়বে বলেই আভাস দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
 
এদিকে গত ৫ মে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সারা দেশে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এরপর থেকে এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ঝড় বইছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনে ইভিএমে ভোট চায় তারা। আর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম গ্রহণযোগ্য হবে না।
 
এর আগে মঙ্গলবার (১০ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচির প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নির্বাচন করার মতো প্রস্তুতি নেই।