• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি ১৬ আগস্ট

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৭ জুলাই ২০২২  

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৪২৬ কোটি টাকার সম্পদ অর্জন ও বিভিন্ন ব্যাংকে প্রায় ৬ হাজার ৮০ কোটি টাকা অবৈধ লেনদেনের মামলায় প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ১৬ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ শুনানির এ দিন ধার্য করেন।

এ মামলার পলাতক ১০ আসামিকে হাজিরে গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিন ধার্য ছিল। সেই বিজ্ঞপ্তির কপি আদালতে দাখিল করা হয়। এরপর অভিযোগ গঠনের জন্য এদিন আগে করা হয়৷

বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়া অপর আসামিরা হলেন- পি কে হালদারের মা লিলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।

চার্জশিটভূক্ত অপর চার আসামি গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। এদিন তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এ চার আসামি হলেন- পি কে হালদারের বান্ধবী অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা। এসব তথ্য জানান- দুদকের কোর্ট ইন্সপেক্টর (সহকারি পরিচালক) আমিনুল ইসলাম।

২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।

মামলার এজাহারে বলা হয়, পি কে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। যা দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

ওই অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ উৎস, প্রকৃতি, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ, উৎস গোপন বা আড়াল করতে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করে মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ করেছেন।

এরপর মামলাটি তদন্ত করে চার্জশিট দাখিল করে দুদক৷ চার্জশিটে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে প্রায় এক কোটি ১৭ লাখ কানাডিয়ান ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশটিতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।