• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

সমালোচকদের নাক কেটে শেখ হাসিনার জয়

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৮ জুন ২০২২  

আগামী ২৫ জুন উদ্বোধন হতে যাচ্ছে পদ্মা সেতু। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠন করার পর সেতুটি নির্মাণের চিন্তাভাবনা শুরু হয়। নানা আলোচনা-সমালোচনার পথ পেরিয়ে পদ্মা সেতু আজ দৃশ্যমান বাস্তবতা।

সেতু নির্মাণ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে শুরু করে নানা গুজব মোকাবিলা করতে হয়েছে সরকারকে। একই সঙ্গে সরকারের মন্ত্রী, সচিব ও প্রকৌশলীকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। তবে সকল বাধা ও অভিযোগ পেরিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে, যা দেশবাসীকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে।

পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ নিয়ে দেশের রাজনীতিতেও অনেক আলোচনা সমালোচনা হয়েছে। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে পদ্মা সেতু থেকে বিশ্বব্যাংকের সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে একজন নোবেল বিজয়ী ও একটি পত্রিকার সম্পাদককে দায়ী করে অভিযোগ তোলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ নিয়ে দেশের রাজনীতিতেও অনেক আলোচনা সমালোচনা হয়েছে। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে পদ্মা সেতু থেকে বিশ্বব্যাংকের সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে একজন নোবেল বিজয়ী ও একটি পত্রিকার সম্পাদককে দায়ী করে অভিযোগ তোলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে পদ্মা সেতু নির্মাণের সমালোচনা করায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ারও সমালোচনা করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন বিএনপি নেতারা। বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারা।

সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করে বলেছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ ঠেকাতে না পেরে বিএনপি এখন সেতু উদ্বোধনের আগে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে লাশ ফেলার ষড়যন্ত্র করছে।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ক্ষমতায় আসার পর মাওয়া-জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পের দরপত্রে প্রাক্-যোগ্যতার ক্ষেত্রে অংশ নিয়েছিল ১১ প্রতিষ্ঠান। ২০১০ সালের ২০ জুলাই প্রাক্-যোগ্য বিবেচনায় পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের তালিকা বিশ্বব্যাংকের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছিল সেতু বিভাগ। অনুমোদন না দিয়ে বিশ্বব্যাংক তিন মাস পর আবার প্রাক্-যোগ্যতা যাচাইয়ের পরামর্শ দেয়।

 

দ্বিতীয় দফা প্রাক-যোগ্যতার জন্য আবেদন আহ্বান করা দরপত্রে অংশ নেয় ১০টি প্রতিষ্ঠান। দ্বিতীয় দফায়ও প্রথমবারে মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশ করা পাঁচটি প্রতিষ্ঠানই যোগ্য বিবেচিত হয়। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ওই তালিকা বিশ্বব্যাংকের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু বিশ্বব্যাংক একই বছরের ২৯ মার্চ বিশেষজ্ঞদের যাচাই-বাছাইয়ে অযোগ্য বিবেচিত চায়না রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন কোম্পানি-সিআরসিসিকে প্রাক-যোগ্য বিবেচনা করার সুপারিশ করে।

 

কাগজপত্র পুনরায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রতিষ্ঠানটিকে প্রাক-যোগ্য বিবেচনা করা যায় না উল্লেখ করে ২০১১ সালের ৩০ মার্চ প্রতিবেদন দাখিল করে সেতু বিভাগ। ডিজাইন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি বিশ্বব্যাংক মনোনীত প্রতিষ্ঠানের রেকিং পাইলের অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র পর্যালোচনায় দেখতে পায়, অন্য প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ করা সেতুর ছবি পরিবর্তন করে সিআরসিসি নিজের নামে জমা দিয়েছে।

ওরা এসে আমাকে বলল, আমাকে দায়িত্ব ত্যাগ করতে হবে, দেশও ত্যাগ করতে হবে। দেশ ত্যাগের শর্ত হলো, তারা আমাকে বিদেশে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকে বা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে বা কোথাও আমাকে একটা কনসালটেন্সির কাজ জোগাড় করে দেবে এবং আমি যে বেতন চাই তাইই ব্যবস্থা করে দেবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার কিছু কাজ ঠিক করে দেবে এবং আমাকে তারা টাকা দেওয়ার বন্দোবস্ত করে দেবে। আমার উত্তর ছিল, দেখো, আমার যদি টাকা করার ইচ্ছা থাকত তাহলে এখানেই তো টাকা করতে পারতাম।

২০১১ সালের ৭ মে ডিজাইন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, সিআরসিসি মিথ্যা তথ্য দাখিল করেছে। এ অবস্থায় ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের ইকোনমিক কাউন্সেলরকে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের অফিসে ডেকে নিয়ে সিআরসিসির চিঠি দেখানো হলে তিনি জানান, চিঠিতে উল্লিখিত স্বাক্ষর চীনা ভাষায় নকল করা। ২০১১ সালের ৯ মে সিআরসিসি বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে মূল সেতুর প্রস্তাব প্রত্যাহার করে।

প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকসহ চারটি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা অর্থায়নে সহযোগিতার জন্য ঋণচুক্তি করেছিল সরকারের সঙ্গে। তাদের মধ্যে বিশ্বব্যাংক ১২০ কোটি ডলার ঋণ দিতে চুক্তি করে ২০১১ সালের ২৮ এপ্রিল। ঋণচুক্তির ছয় মাসের ব্যবধানে ওই বছরই অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক ঋণচুক্তি স্থগিত করে।

মিথ্যা প্রমাণিত হয় বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ

সমালোচনার মুখে ২০১১ সালের ৫ ডিসেম্বর পদ থেকে সরানো হয় যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, সেতুসচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা এবং সেতু বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদৌসকে। এদের মধ্যে মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা, কাজী ফেরদৌসকে গ্রেপ্তার এবং সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছিল। মোশাররাফ, কাজী ফেরদৌস এবং এসএনসি-লাভালিনের কর্মকর্তাসহ সাতজনকে অভিযুক্ত করে ২০১২ সালের ১৭ ডিসেম্বর বনানী থানায় মামলা করে দুদক।

ওই ঘটনায় তদন্তে নেমেছিল দুদকও। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের জবানবন্দি নিয়ে এবং যাচাই-বাছাই করে তদন্ত শেষ করে দুদক। ২০১৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মামলার সাত আসামির সবাইকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে উপস্থাপনের জন্য চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুমোদন করে দুদক।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর তৎকালীন অর্থ উপদেষ্টা মসিউর রহমান অভিযোগ করে বলেন, যখন পদ্মা সেতুর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় তখন বিশ্ব ব্যাংক ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক-কে এই প্রকল্পে সম্পৃক্ত হতে অনুরোধ করি। দুই সংস্থাই এই প্রস্তাবে অনিচ্ছা জানায়। এ সময় জাপানের কাছে বিনিয়োগ আহ্বান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাপান সরকারের কাছে কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগ আহ্বান করা হলে তারা যেকোনো একটি বেছে নিতে বলে। প্রধানমন্ত্রী দেশের দক্ষিণ-পশিমাঞ্চলের মানুষের কথা ভেবে পদ্মা সেতুকে বেছে নেন। এর পরেই বিশ্বব্যাংক ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক প্রকল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী হয়।

বিশ্বব্যাংকের উত্থাপিত দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক এই অর্থনৈতিক উপদেষ্টা বলেন, সংস্থাটি শুরু থেকেই প্রকল্পে দুর্নীতি হচ্ছে এমন নানা ধরনের নালিশ করতে থাকে। পদ্মা সেতুর নামে ইমেইল আইডি খুলে নানাজনের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করে, যেগুলো বেশিরভাগই ব্যক্তিগত আক্রমণ ও কুরুচিপূর্ণ

বিশ্বব্যাংকের উত্থাপিত দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক এই অর্থনৈতিক উপদেষ্টা বলেন, সংস্থাটি শুরু থেকেই প্রকল্পে দুর্নীতি হচ্ছে এমন নানা ধরনের নালিশ করতে থাকে। পদ্মা সেতুর নামে ইমেইল আইডি খুলে নানাজনের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করে, যেগুলো বেশিরভাগই ব্যক্তিগত আক্রমণ ও কুরুচিপূর্ণ। এমনকি একজন নারী কর্মকর্তার একাত্তর এর মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হওয়ার বিষয়টিকেও তারা সামনে নিয়ে আসে যা সম্পুর্ণ অপ্রাসঙ্গিক।

তিনি বলেন, আমার ওপর প্রচণ্ড চাপ ছিল। কেবল ইসলামি ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বাদে অন্য যারা এখানে অর্থায়ন করেছে, বিশ্বব্যাংক এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং জাইকা- এরা একদিন সকালে আগে সময় ঠিক করে আমার সাথে দেখা করতে চাইল। প্রথমে তারা বলল জাপানি অ্যাম্বাসি অফিসে। আমি বললাম সেখানে আমি যাব না। আমার যে যুক্তি ছিল যে মানুষের ধারণা হবে বা প্রচার হবে আমি তাদের কাছে নত হয়ে কোনো সুবিধা চাচ্ছি। আমি বললাম, তোমরা আমাদের এখানে আসো। জাপানি অ্যাম্বাসেডর বলল, তোমার ওখানে গেলে জার্নালিস্টদের ফেস করতে হবে। আমি বললাম, জার্নালিস্টদের আমি ফেস করব।

ওরা এসে আমাকে বলল, আমাকে দায়িত্ব ত্যাগ করতে হবে, দেশও ত্যাগ করতে হবে। দেশ ত্যাগের শর্ত হলো, তারা আমাকে বিদেশে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকে বা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে বা কোথাও আমাকে একটা কনসালটেন্সির কাজ জোগাড় করে দেবে এবং আমি যে বেতন চাই তাইই ব্যবস্থা করে দেবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার কিছু কাজ ঠিক করে দেবে এবং আমাকে তারা টাকা দেওয়ার বন্দোবস্ত করে দেবে। আমার উত্তর ছিল, দেখো, আমার যদি টাকা করার ইচ্ছা থাকত তাহলে এখানেই তো টাকা করতে পারতাম।

২০১২ সালের জুনে বিশ্বব্যাংকের ওই ঋণচুক্তি বাতিল করা হয়। পরে প্রকল্প থেকে একে একে সরে দাঁড়িয়েছিল এডিবি, জাইকা, আইডিবি। দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্পে ঘুষ লেনদেনের ওই অভিযোগের পর একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণ করার উদ্যোগ নেন।

তারই দৃঢ় মনোবলের কারণে শেষ পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী মূল সেতুর পাইলিং ও নদীশাসনের কাজ উদ্বোধন করেন। এরপর একে একে সব ধাপ পেরিয়ে পদ্মার বুকে গড়ে ওঠে স্বপ্নের সেতু।

যারা বাধা দিয়েছে তাদেরও দেওয়া হবে দাওয়াত

গত ২৪ মে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের তারিখ অনুমোদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা আমন্ত্রণ জানাব সবাইকে। যারা বেশি বিরোধিতা করেছে, তাদেরকে আগে আমন্ত্রণ জানাব।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, পদ্মা সেতু ২৫ তারিখে উদ্বোধন হচ্ছে। সবাইকে আনন্দের সাথে দিনটি উদযাপনের অনুরোধ করছি।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, সমস্ত বাধা অতিক্রম করে, সমস্ত অভিযোগ অতিক্রম করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন শেখ হাসিনা সরকার যে পদ্মা সেতু করতে পেরেছে এটা আমাদের সবচেয়ে বড় বিজয় এবং অর্জন। আমরা বলতে পারি যে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে অনেক কিছু করতে পারি। এই মনোবল আমাদের সৃষ্টি হয়েছে পদ্মা সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে। শেখ হাসিনার উইল ফোর্স এবং আমাদের দেশবাসীর উইল ফোর্স বেড়ে গেছে। শেখ হাসিনার উইল ফোর্সের ফসল হচ্ছে পদ্মা সেতু।
 

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে আমরা যথেষ্ট প্রতিকূলতার মধ্যে পড়েছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠে তার মনোবল, তার মেধা, তার সাহস, শক্তি, অভিজ্ঞতা- সব কিছু কাজে লাগিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছেন। পদ্মা সেতু এটা শুধু আমাদের দক্ষিণাঞ্চল নয়, আমাদের গোটা দেশের অর্থনীতিতেও একটা বিরাট অবদান রাখবে। বাংলাদেশের জিডিপি বেড়ে যাবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের দক্ষিণের ২২ জেলার জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। যখন এই কাজ হাতে নেওয়া হয় তখন একটা অভিযোগ এসেছিল বিশ্বব্যাংক থেকে যে দুর্নীতি করছে সরকার। যে কারণে তারা তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত নিলো এই পদ্মা সেতুতে তারা কোনো সহায়তা করবে না বা টাকা দেবে না। সেই মুহূর্তে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত একটা যুগোপোযোগী সিদ্ধান্ত নিলেন। তিনি বললেন বিশ্ব ব্যাংক যখন দিবে না আমরা নিজস্ব অর্থায়নে করব। সেই স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন উদ্বোধন হতে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, এখানে বড় বা ছোট করে দেখার কিছু নেই। খুবই সুন্দর সেতু। এই সেতু উদ্বোধনের পর মানুষ অনেক উপকৃত হবে। আমরা আশা করি জিডিপি ১ দশমিক ২ থেকে ১ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।