• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

সাবিনা ইয়াসমিনের জন্মদিন আজ

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১  

বাংলাগানের জীবন্ত কিংবদন্তী শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের জন্মদিন আজ। পৈত্রিক বাড়ি সাতক্ষীরায় হলেও সাবিনা ইয়াসমিনের জন্ম হয় ঢাকায়। তার ৫ বোনের মাঝে ৪ বোনই গান করেছেন। তারা হলেন ফরিদা ইয়াসমিন, ফওজিয়া খান, নীলুফার ইয়াসমিন এবং সাবিনা ইয়াসমিন। তার বড় বোন ফরিদা ইয়াসমিন যখন গান শিখেন দুর্গাপ্রসাদ রায়ের কাছে তখন ছোট্ট সাবিনাও উপস্থিত থাকতেন। পরবর্তীতে ওস্তাদ পি সি গোমেজের কাছে একটানা ১৩ বছর তালিম নিয়েছেন। মাত্র ৭ বছর বয়সে স্টেজ প্রোগ্রামে অংশ নেন। ছোটদের সংগঠন খেলাঘরের সদস্য হিসেবে রেডিও ও টেলিভিশনে গান গান নিয়মিত।

১৯৬৭ সালে ‘আগুন নিয়ে খেলা’ এবং ‘মধুর জোছনা দীপালি’ গানটির মাধ্যমে তিনি প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে আত্ন প্রকাশ করেন। তবে ‘নতুন সুর’ সিনেমাতে শিশু শিল্পী হিসেবে প্রথম গান করেন তিনি।

সাবিনা ইয়াসমিন চার দশকেরও বেশি সময় ধরে গানের ভুবনে বিচরণ করছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে একমাত্র রুনা লায়লা ছাড়া তার সমকক্ষ হয়ে আর কেউ বোধ হয় এত লম্বা সময় ধরে আধিপত্য বজায় রেখে চলতে পারেননি। গত কয়েক দশকে তিনি সর্বমোট কত হাজার গান গেয়েছেন তার সঠিক হিসেব হয়তো সাবিনা নিজেও দিতে পারবেন না, তবে মরমী শিল্পী সেই আব্দুল আলীম থেকে শুরু করে একালের কোন উঠতি গায়কের সাথেও অবিরাম গেয়ে চলেছেন একের পর এক গান। সুযোগ পেয়েছেন উপমহাদেশের বরেণ্য সুরকার আর. ডি. বর্মণের সুরে গান গাওয়ার, বিখ্যাত কিশোর কুমারের ও মান্না দের সাথেও ডুয়েট গান গাওয়ার। ১৯৮৫ সালে গানের জন্য ভারত থেকে ‘ডক্টরেট’ও লাভ করেছেন। সাধারণত চলচ্চিত্রের গানেই তিনি বেশী কন্ঠ দিয়েছেন। চলচ্চিত্রে প্রায় ১২ হাজারের মতো গান করছেন তিনি। সেরা নারী প্লেব্যাক গানের শিল্পী হিসেবে ১৩বার বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে রেকর্ড করেছেন কোকিলকণ্ঠি খ্যাত গুণী এই শিল্পী।

জন্মদিন প্রসঙ্গে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘জন্মদিন এলেই আব্বা, আম্মা এবং আমার বোনদের খুব মিস করি। কিন্তু তারপর সবার ভালোবাসা পেয়ে আমি সে কষ্ট ভুলে থাকার চেষ্টা করি। দেশ-বিদেশ থেকে অনেকেই শুভেচ্ছা জানান। দিনটি বিশেষভাবে উদযাপনের কোনো ইচ্ছা নেই। ঘরেই সময় কাটবে। এটিএন বাংলা আজ আমার জন্মদিনটিকে বিশেষভাবে উদযাপনের জন্য নিমন্ত্রণ জানিয়েছিল। কিন্তু আমি আসলে সময়টা ঘরেই কাটাতে চাচ্ছি নিজের মতো করে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমিও সবার জন্য দোয়া করি আল্লাহ যেন সবাইকে ভালো রাখেন, সুস্থ রাখেন।’ 

উল্লেখ্য, সঙ্গীতে বিশেষ অবদানের জন্য সাবিনা ইয়াসমিন ১৯৯৬ সালে স্বাধীনতা পদক এবং ১৯৮৪ সালে একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন।