• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

পাঁচ ঘরোয়া টোটকায় নিমিষেই কমবে দাঁতের শিরশিরানি

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১০ মে ২০২২  

দাঁত নিয়ে কম বেশি আমরা সবাই যন্ত্রণায় ভুগে থাকি। ছোট থেকে বড় সবাই দাঁত ব্যথা, দাঁত শিরশিরানি, দাঁতে পোকা ধরা ইত্যাদি সমস্যায় ভুগেন। বিশেষ করে দাঁতের শিরশিরানি খুবই যন্ত্রণাদায়ক। এই সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে পরবর্তীতে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না।

আমাদের দাঁতে এনামেল নামক এক প্রকার উপাদান থাকে যা দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই উপাদানটি ক্ষয়ে গেলে দাঁতের ভেতরে থাকা স্নায়ুগুলো উন্মুক্ত হয়ে যায়। ফলে বিশেষত ঠান্ডা খাবার ও পানীয় এই স্নায়ুগুলোর সংস্পর্শে এলে শিরশির করে ওঠে দাঁত। একে বিজ্ঞানের ভাষায় টুথ সেনসিটিভিটি বলে।

এই সমস্যা থেকে মুক্তির রয়ে কিছু ঘরোয়া উপায়। চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো কী কী-

বিশেষ ধরনের মাজন

দাঁতের এই সমস্যা নিরসনে এক ধরনের বিশেষ দাঁতের মাজন পাওয়া যায়, একে ডিসেনসিটাইজিং টুথপেস্ট বলে। এই ধরনের মাজনে কিছু বিশেষ উপাদান থাকে যা উন্মুক্ত স্নায়ুমুখগুলো ঢাকতে সহায়তা করে। পটাশিয়াম নাইট্রেট নামক একটি যৌগ এই কাজে অত্যন্ত উপযোগী। পাশাপাশি দাঁত মাজার ব্রাশটি নরম হলেও এই সমস্যায় কিছুটা আরাম মিলতে পারে।

লবণ পানি

লবণ প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। জমতে দেয় না ব্যাক্টেরিয়াও। রোজ অন্তত দু’বার ঈষদুষ্ণ লবণ পানি গার্গল বা কুলকুচি করলে দাঁত শিরশির করা থেকে আরাম মিলতে পারে। এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ পানিতে আধা চামচ লবণ মিশিয়ে অন্তত ৩০ সেকেন্ড সেই পানি মুখে রাখতে হবে।

হলুদ

এক টেবিল চামচ হলুদ, আধা চামচ সর্ষের তেল ও আধা চামচ লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে সেই মিশ্রণ দাঁতে লাগালে কমতে পারে দাঁত শিরশির করার সমস্যা। হলুদে থাকে কারকিউমিন নামক একটি উপাদান। এই উপাদানটি জীবাণুনাশক ও প্রদাহনাশক হিসেবে বেশ কার্যকর। প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও এটির ব্যবহার রয়েছে।

ভ্যানিলা নির্যাস

ভ্যানিলা নির্যাসও প্রদাহ নাশক হিসেবে বেশ কার্যকর। বিশেষ করে শিশুদের দুধের দাঁত পড়ে গেলে ও নতুন দাঁত ওঠার সময় ব্যথা কমাতে এই ভ্যানিলা নির্যাস ব্যবহার করা হয়। চাইলে বড়রাও ব্যবহার করতে পারেন এটি। এক টুকরো তুলোতে ভ্যানিলা নির্যাস নিয়ে কয়েক মিনিট দাঁতের গোড়ায় চেপে রাখলেই কমতে পারে সমস্যা।

ক্যাপসিকাম

মরিচ খেলে মুখে ঝাল লাগে অথচ মরিচই আবার কাজে আসতে পারে প্রদাহ কমাতে। শুনতে অবাক লাগলেও ক্যাপসিকাম বা বেল পেপারে থাকে ক্যাপসাইসিন নামক একটি উপাদান। যা প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। ব্যবহার করার সময়ে মুখ জ্বালা করলেও ধীরে ধীরে এটি দাঁতের সেনসিটিভিটির সমস্যা কমিয়ে আনতে পারে।

তবে এই সব ঘরোয়া টোটকায় যদি দাঁত শিরশির করা না কমে তবে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়াই বিচক্ষণতার পরিচয়।