বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ইচ্ছেমতো ফি নয়
শরীয়তপুর বার্তা
প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩

বাংলাদেশে সরকারি হাসপাতালগুলোর পক্ষে বিশাল জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া সম্ভব নয়। স্বাস্থ্যসেবার প্রায় ৬৫ শতাংশ চিকিৎসা বেসরকারি স্বাস্থ্য খাত প্রদান করছে। চাহিদার তুলনায় সরকারি হাসপাতালে শয্যাসংকট, জনবলের অপ্রতুলতার কারণে মানুষ বেসরকারি হাসপাতালে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা। নামি-দামি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার যেমন গড়ে উঠেছে, তেমনি অনেকগুলো আছে যেগুলো মানসম্মত নয়। একদিকে যেমন বিলাসবহুল হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে, তেমনই রয়েছে মেয়াদোত্তীর্ণ নিম্নমানের ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার। করোনার সময় নামিদামি হাসপাতালগুলো যেমন চিকিৎসা সেবা দিয়ে সুনাম কুড়িয়েছে, তেমনি অনেক বেসরকারি হাসপাতাল সেবার নামে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। চিকিৎসার নামে মনোপলি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
ঢাকার বাইরে অনেক হাসপাতাল ও ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিজস্ব ভবন নেই, বিরাজ করছে নোংরা ও চরম অব্যবস্থাপনা। হচ্ছে ভুল অপারেশন। সিজারিয়ানের প্রয়োজন নেই, তারপরও সিজারিয়ান করাচ্ছে। সিজারিয়ান করতে গিয়ে অনেক বাচ্চা ও মা উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সংকটাপন্ন অবস্থায় মা ও শিশু উভয়কে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। ভুল সিজারিয়ানে পরবর্তীতে বাচ্চার শারীরিক ও মানিসক জটিলতা সৃষ্টি হয়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কয়েকজন গাইনি বিশেষজ্ঞ বলেন, প্রতিদিন ভুল সিজারিয়ান অপরাশেন হয়েছে, এমন রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করছি। অনেকের অঙ্গহানী নিয়েই বেঁচে থাকতে হয়। ঢাকার বাইরে বেশি হচ্ছে বলে তারা জানান। রোগী মারাও যাচ্ছে।
আইসিইউ নেই, কিন্তু আইসিইউয়ের নল মুখে লাগিয়ে রোগীর কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে এবার কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে সরকার। রোগীদের কাছ থেকে ইচ্ছেমতো ফি আদায়ের দিন শেষ হতে যাচ্ছে।
বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে চার ক্যাটাগরিতে ভাগ করে বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও সেবার ফি নির্ধারণ করে দেবে সরকার। সরকারের এই যুগান্তকারী পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ) ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতৃবৃন্দ। বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক পক্ষও বিষয়টি সাধুবাদ জানিয়েছে, তবে বাস্তবায়নে তারা সময় চেয়েছেন।
বেসরকারি হাসপাতালের বেড সংখ্যা, যন্ত্রপাতি, অবস্থান, লোকবল, সুযোগ-সুবিধা ভেদে বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ, বি, সি, ডি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে দেওয়া হবে। ‘এ’ ক্যাটাগরির এক রকম সুবিধা, ‘বি’ ক্যাটাগরির এক রকম সুবিধা এবং ‘সি’ ক্যাটাগরি হাসপাতালগুলো মান ভেদে এবং সুযোগ-সুবিধা উল্লেখসহ সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট ফি নির্ধারণ করা থাকবে। এতে মানুষ আগে থেকেই জানতে পারবে-কোন হাসপাতালে গেলে কী কী কি সুবিধা পাওয়া যাবে এবং চিকিৎসা বাবদ কত ব্যয় হবে। বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর ফি নির্ধারণের বিষয়টি অর্ডিনেন্সে উল্লেখ আছে। সরকার অর্ডিনেন্সটি আইনে রূপান্তর করতে যাচ্ছে। এ জন্য মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর সংসদে আইনটি পাশ হতে হবে।
এই বিষয়ে প্রক্রিয়া শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। এগুলোর বাস্তবায়ন হলে স্বাস্থ্যসেবার নামে বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো বিধিবহির্ভূতভাবে যে বাণিজ্য করে আসছে, তা রোধ হবে। এছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিশ্চিত হবে সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবা। এতে জনগণ প্রতারিত হবে না, সঠিক মূল্যে চিকিৎসা সেবা পাবে। সেবা গ্রহীতারা উপকৃত হবে এবং মালিক পক্ষও উপকৃত হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীল আলম বলেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। ছয় মাস আগে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। যদিও স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক আগামী এক মাসের মধ্যে এটা বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছেন। বেসরকারি কয়েকটি হাসপাতালের মালিকরা বলেন, সব বেসরকারি হাসপাতালের অবকাঠামো এক নয়। ডাক্তাররা প্রাইভেট চেম্বারে বসেন। তাদের কোন ভাড়া দিতে হয় না। ডাক্তারদের ফিও নির্ধারণ করে দেওয়ার দাবি জানান তারা। তারা বলেন, ২৫০ শয্যার কোন কোন হাসপাতালে এমআরআই, সিটি স্ক্যান ও ইসিজি পরীক্ষারও ব্যবস্থা নেই। অথচ তারা একই ক্যাটাগরিতে কেন পড়বে? সব ধরনের পরীক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকরা বলেন, অনেক বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বেশিরভাগ পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি নেই। রোগীদের পরীক্ষা না করিয়ে প্যাডে একটা রিপোর্ট প্রদান করেন। অথচ রোগীদের কাছ থেকে গলাকাটা রেট নেন। অর্থাৎ দেশে নাম সর্বস্ব প্যাথলজি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে, যার সিংহভাগেরই রেজিস্ট্রেশন নেই। এসব অনিবন্ধিত স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি বিভাগ রয়েছে। তারাও সেখানে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন না। ঢাকার বাইরে বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ও সিভিল সার্জনদের এগুলো মনিটরিং করার কথা। তারাও এগুলো সঠিকভাবে মনিটরিং করেন না। এক শ্রেণীর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা এসব অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের মাসোহারা পেয়ে থাকেন। এ কারণে প্রকাশ্যে অবৈধ ক্লিনিকে গলাকাটা বাণিজ্য চলছে। নিঃস্ব হচ্ছে গরীব মানুষরা। তবে ল্যাব এইড, স্কয়ার, গ্রিন লাইফ, পপুলার, আনোয়ার খান মডার্ন, ইমপালস, ইউনাইটেড ও এভারকেয়ারের মতো হাসপাতালগুলোতে মানুষ মানসম্পন্ন ও উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা পেয়ে থাকেন। এসব হাসপাতালগুলোর সাথে ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোকে এক করে ফেললে চলবে না। করোনার সময় লিভার ফ্যাংশন টেস্ট ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছিল সরকার। এই পরীক্ষা করার ব্যবস্থা যেসব বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেই তারাও একই রেট নিয়েছেন। অথচ তারা আগে নিত ৩০০ টাকা।
বাংলাদেশ প্রাইভেট মেকিড্যাল কলেজ হাসপাতাল ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মমিন খান ও সাধারণ সম্পাদক ড. আনোয়ার খান বলেন, বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর ক্যাটাগরি নির্ধারণে আধুনিক যন্ত্রপাতি বিবেচনায় নিতে হবে। কেউ চীন, কেউ সুইজারল্যান্ডের যন্ত্রপাতি ও রি-এজেন্ট এনেছে। আবার কেউ পুরনো যন্ত্রপাতি মেরামত করে নিয়ে আসে।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. জামাল চৌধুরী বলেন, বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর ফি নির্ধারণে সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে তার সবাইকে মেনে চলতে হবে। তবে এটা নির্ধারণে সময় দিতে হবে। বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, বিএমএ, স্বাচিপ ও বিএমডিসি এক সাথে বসে ক্যাটাগরির বিষয়টি চূড়ান্ত করে সরকারকে জানাবেন।
বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ওনার্স এসোসিয়েশনের অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান ভুঁইয়া বলেন, গত ৫০ বছরে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ফি নির্ধারণ হয়নি। তবে এখন হচ্ছে, এটা খুবই ভাল উদ্যোগ। এর জন্য সময় দিতে হবে। মালিক পক্ষ, বিএমএ, স্বাচিপ নেতৃবৃন্দসহ সবাই বসে একটি গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
- আন্তর্জাতিক রুটে যুক্ত হচ্ছে দেশ, বাড়ছে রেল নেটওয়ার্ক
- মিরপুরে বৃষ্টি, খেলা বন্ধ
- কৃষিঋণ আদায় বেড়েছে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা
- হাত-পায়ে ঝি ঝি কেন ধরে
- পোষা প্রাণীর কারণে হতে পারে এলার্জি
- চাওমিন তৈরির রেসিপি
- জিমেইল-ইউটিউবসহ একাধিক প্ল্যাটফর্মে ব্যবহার করা যাবে বার্ড এআই
- দুই মাসে ৪৬ হাজার ২৩৩ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়
- অক্টোবরে দেশে প্রথমবারের মতো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ মেলা’
- দাম নির্ধারণের পর হিমাগারগুলোতে আলু বিক্রি বন্ধ!
- বান্ধবীর ছবি এডিট করে আপত্তিকরভাবে ফেসবুকে পোস্ট, তরুণ গ্রেপ্তার
- ভুক্তভোগীকে দ্রুততম সময়ে সেবা দেবে ৯৯৯, ডিসেম্বরের মধ্যে চালু
- আইসল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয় পেশ
- আদিলুরের দণ্ডাদেশ নিয়ে ‘অপতৎপরতা’য় ১৫৫ নাগরিকের উদ্বেগ
- চট্টগ্রাম বন্দরকে মাতারবাড়ি চ্যানেল হস্তান্তর
- চুরির টাকায় কেনা গহনা নিয়ে বিয়ে করতে যাওয়ার আগে পুলিশের হাতে ধরা
- দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার সুপারিশ
- সুলভ মূল্য ও মান পরীক্ষা করে খাদ্যশস্য আমদানির সুপারিশ
- রাসায়নিক ঘোষণায় এলো গুঁড়াদুধ, কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা
- ঘুসের হার নির্ধারণ করা এসিল্যান্ড মাসুদুর সাময়িক বরখাস্ত
- ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে ক্যাপস্টোন কোর্সের সমাপনী
- ‘দ্য চকলেট রুম’ রেস্টুরেন্টকে দুই লাখ টাকা জরিমানা
- ভাতিজার হাত-পায়ের রগ কাটলেন চাচা
- ভারত থেকে ৫৩ হাজার ব্যাগ স্যালাইন এলো দেশে
- ৭ দিন পর বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ
- ডিজিটাল কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের সদস্য হলো বাংলাদেশ
- পুরোদমে চালু এনআইডি সেবা
- বিএসএমএমইউতে আলাদা হলো জোড়া লাগানো দুই শিশু
- বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০, আইসিইউতে ছাত্রদল নেতা
- জাতিসংঘের গভীর সমুদ্র বিষয়ক চুক্তিতে সই করলেন প্রধানমন্ত্রী
- শাহ আমানতে সোনার বারসহ শুল্ক গোয়েন্দা সদস্য আটক!
- এইচএসসি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে ধরা পড়ল ফুফাতো বোন
- নাতিকে দেশে ফেরাতে ভারতে বাংলাদেশি বৃদ্ধ
- বিএনপি নামক সংগঠনটির নিবন্ধন বাতিল করা হোক
- অনলাইনে প্রতিদিন ভূমি রাজস্ব আদায় হচ্ছে ৫ কোটি টাকার বেশি
- চিরকুটের রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা গ্রেফতার
- অভিষেকে ডাক মারলেন তানজিদ তামিম
- আওয়ামী লীগের কাছে সকল ধর্মের মানুষ নিরাপদ
- প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন শুরু
- কোমর ব্যথায় যেসব খাবার উপকারী
- প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে ৩ সমঝোতা স্মারক সই হবে
- গর্ভবতী স্ত্রীর চিকিৎসা খরচ মেটাতে ডাকাতি করেন স্বামী
- শিশুর হাম হওয়ার কারণ, উপসর্গ ও প্রতিরোধের উপায়
- স্বাধীনতা বিরোধীদের আন্দোলনে জনগনের সারা নাই
- ঘন ঘন জ্বর-সর্দি? বারবার ওষুধ খাবেন, নাকি এক টোটকাই নেবেন
- হেফাজতকাণ্ড: অধিকারের আদিলুর-এলানের ২ বছর কারাদণ্ড
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায়
- ঘুম ভাঙলেই মাথা ব্যথা? জেনে নিন দূর করার উপায়
- তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব, ফজিলত ও নিয়ম
- দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী