বায়ুদূষণ: হুমকিতে শিশু ও প্রজনন স্বাস্থ্য
শরীয়তপুর বার্তা
প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩

ঢাকার বাতাসে বেড়ে গিয়েছে সালফার ডাই অক্সাইড, কার্বন ডাই অক্সাইড ও কার্বন মনোক্সাইড। তার সঙ্গে রয়েছে অন্যান্য বিষাক্ত গ্যাস। এমনকি এর সঙ্গে যোগ হয়েছে প্লাস্টিক কণাও। শুধু তাই নয়, ঢাকার বায়ুতে ক্ষতিকর বস্তুকণার মধ্যে সীসাও রয়েছে। ফলে বাড়ছে বায়ু দুষণ। যা মারাত্মক ক্ষতি করছে মানবদেহের।
ভয়েস অফ আমেরিকার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, “এ সমস্ত ক্ষতিকর উপাদান ফুসফুসের মারাত্মক ক্ষতি করছে। মানুষ নিঃশ্বাসের সঙ্গে এই বিষাক্ত উপাদানগুলো গ্রহণ করছে এবং শ্বাসতন্ত্রের নানা অসুখে ভুগছে। এমনকি হৃদরোগও বেড়েছে।”
টানা দশ দিন ধরে বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) স্কোর ২৯১ রেকর্ড করা হয়েছে। যার অর্থ হলো জনবহুল এ শহরের বাতাসের মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার এ তালিকা প্রকাশ করেছে।
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
মেগাসিটি ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই এ বায়ুদূষণে ভুগছে। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো: ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা। বর্তমানে শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে নির্মাণকাজ, রাস্তার ধুলা ও অন্যান্য উৎস থেকে দূষিত কণার ব্যাপক নিঃসরণের কারণে ঢাকা শহরের বাতাসের গুণমান দ্রুত খারাপ হতে শুরু করে।
মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, “বায়ুদূষণে সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে শিশুরা, বিশেষ করে যাদের বয়স ১৪ বছরের মধ্যে। শিশুদের ফুসফুসের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে ঢাকার বাতাসের মধ্যে থাকা ক্ষতিকর উপাদানগুলো। কারণ দূষণের ধাক্কা সামলানোর জন্য শিশুদের ফুসফুস পরিপক্ক থাকে না। আমাদের ফুসফুসের মধ্যে একটা তরল পদার্থ রয়েছে যাকে সারফেকট্যান্ট বলে। এটি ফুসফুসের দুটি অংশকে একসাথে আটকে যেতে বা সংকুচিত হয়ে যেতে বাধা প্রদান করে। সারফেকট্যান্ট না থাকলে আমাদের শ্বাস নিতে কষ্ট হবে।”
তিনি বলেন, “ঢাকার দূষিত বায়ু ফুসফুসের এই তরল পদার্থটি নষ্ট করে ফেলছে। বিশেষ করে, যানবাহনের পেট্রোল থেকে উৎপাদিত মাত্রাতিরিক্ত ধোঁয়া, ঢাকায় এই বিষাক্ত উপাদানগুলো ছড়াচ্ছে। এভাবে শিশু ও বয়স্ক মানুষের ফুসফুস কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। বড় ধরনের দীর্ঘদিনের শারীরিক সমস্যা যেমন সিওপিডি, শ্বসকষ্ট, হাপানি, ফুসফুসের প্রদাহজনিত সমস্যা বাড়তে পারে এমনকি ক্যানসারও হতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “একটি শিশু যদি শৈশবেই এ ধরণের শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়, তাহলে, বয়স বাড়ার সাথে সাথে এ সমস্যাগুলো জটিল আকার ধারণ করে। শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং তা অন্যান্য শারিরীক সমস্যাও তৈরি করে। সীসা শিশুদের হার্ট, কিডনি ও লিভারকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। শরীরের অপরিহার্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো আক্রান্ত হলে শিশুর আয়ুষ্কাল কমে যাবে। বায়ুদুষণের প্রভাব পড়ে খাদ্য, পরিবেশ, পানি সবকিছুর উপর। যার ফলে ঢাকায় জন্ম নেয়া নবজাতক শিশুর মধ্যে এখন হৃদরোগ, ডায়েবেটিসের মতো অসুখও পরিলক্ষিত হচ্ছে।”
ডা. মুজাহিদুল বলেন, “সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে প্রজনন স্বাস্থ্য। বায়ুতে উপস্থিত বিষাক্ত উপাদানের ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে মানুষের প্রজনন স্বাস্থ্যের উপর। এতে পুরুষের শুক্রাণু তৈরির পরিমান কমে যাচ্ছে, আবার ডিম্বানুর সাথে নিষিক্ত হওয়ার ক্ষমতা রাখে এমন সুস্থ্ শুক্রাণুও তৈরি হচ্ছে না। অপরদিকে নারীদের ক্ষেত্রেও তাই। ডিম্বাণু তৈরির পরিমান কমে যাচ্ছে। আবার দুর্বল বা নষ্ট ডিম্বাণু তৈরি হচ্ছে, ফলে এসব ডিম্বাণু যখন শুক্রাণুর সাথে নিষিক্ত হয়ে ভ্রূণ তৈরি করে সেই ভ্রূণ জরায়ুর নির্দিষ্ট জায়গায় অবস্থান তৈরি করতে পারে না। ফলে গর্ভপাত হয়ে যায়।”
তিনি আরও বলেন, “আবার দেখা যাচ্ছে, কিছু প্রেগন্যান্সিতে গর্ভাবস্থায় শিশু বাড়ছে না। সেটারও মূল কারণ বায়ুদূষণ। এ ধরণের শিশু হয় গর্ভেই মারা যায় অথবা অতিরিক্ত অপুষ্টি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। এ ধরণের দুর্বল শিশু জন্মের পরও বেশিদিন বেঁচে থাকতে পারেনা। এজন্য বাংলাদেশে নবজাতক মৃত্যুর হারও দিনদিন বেড়ে যাচ্ছে। যদিও সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য কাজ হচ্ছে, দায়বদ্ধতা আমাদের সবার। একটা অসুস্থ ও বিকলাঙ্গ প্রজন্মের জন্ম হলে তা প্রজন্মান্তরে প্রটেনে যেতে হবে।”
যানবাহনের দূষণ এবং ঢাকার আশে পাশের এলাকাগুলো থেকে ইটভাটা সরানো গেলে বায়ুদূষণ কমানো সম্ভব হবে বলে মত দেন ডা. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম।
- শিশুর রোগ ডাউন সিনড্রম, কাদের ঝুঁকি বেশি?
- ব্যাংকগুলোকে বিনিয়োগে আনতে কঠোর হচ্ছে বিএসইসি
- ২০৩০ সাল পর্যন্ত সংরক্ষিত বনের গাছ কাটা যাবে না
- বাজার সামলাতে সাত সুপারিশ
- নিরাপত্তাকর্মী ও গৃহকর্মী নিতে চায় মালয়েশিয়া
- ঠোঁটে লিপস্টিক দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী রাখবেন যেভাবে
- ইফতারের জন্য চিড়ার চপ তৈরির রেসিপি
- মেসেঞ্জার ছাড়াই ফেসবুকে চ্যাট করা যাবে
- গুচ্ছ পরীক্ষার মাধ্যমে ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি: ইউজিসি
- জনগণ বিএনপির আন্দোলন সমর্থন করে না: কামরুল ইসলাম
- বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের পথ রুদ্ধ করেছে জিয়াউর রহমান
- স্মার্ট বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ও মাদকের ঠাঁই নেই: ডেপুটি স্পিকার
- বিজিবি-বিজিপি অধিনায়ক পর্যায়ে পতাকা বৈঠক
- ঢাকা সিটির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে টঙ্গী সাভার কেরানীগঞ্জ
- জলবায়ু অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ৩৪৩ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন
- অবৈধ সম্পদ অর্জন: স্ত্রীসহ সাবেক ফার্মাসিস্টের বিরুদ্ধে মামলা
- পথে বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে ঝগড়া, বাসায় ফিরে স্কুলছাত্রীর গলায় ফাঁস
- ক্ষুদ্র শিল্পের স্বীকৃতি পেল সুপারির খোলে তৈরি নান্দনিক তৈজসপত্র
- রমজান শুরু কবে, জানা যাবে বুধবার
- শেখ হাসিনা সাবমেরিন ঘাঁটির যাত্রা শুরু
- চট্টগ্রাম বন্দরে নিয়মিত ভিড়তে পারবে ১০ মিটার গভীরতার জাহাজ
- নতুন বাজার খুঁজে বের করতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
- ক্রীড়াঙ্গনকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি
- হেলেনা জাহাঙ্গীরের দুই বছরের কারাদণ্ড
- ভুট্টো তখনও বলছেন, ‘সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে’
- যেখানে পরিবার দূরে সরিয়ে দিয়েছে, সেখানে সরকার পাশে দাঁড়ায়
- ৯৯৯-এ ফোন করে বলতে হবে না নাম-ঠিকানা-অবস্থান
- জামিন পেলেন নায়িকা মাহির স্বামী রকিব
- আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির খবর পেয়েছি: আইজিপি
- হঠাৎ ফাঁকা আরাভ জুয়েলার্স, কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ-ভারত-দুবাই
- বোনকে বিয়ে করতে না পেরে ছোট ভাইকে অপহরণ
- পুলিশ মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তোলে
- শেখ হাসিনা`র অধিনেই আগামী নির্বাচন সুষ্ঠ হবে
- কোলেস্টেরল কমানোর উপায়
- শরীয়তপুরে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত
- ঘুমের ওষুধ খেয়ে নিজের যেসব ক্ষতি করছেন
- অকটেনের সঙ্গে পানি, পাম্প মালিকে জরিমানা
- বেশি পানি খাওয়া যাদের জন্য ক্ষতিকর
- প্রিডায়াবেটিস থেকে দূরে থাকার চার উপায়
- অভয় আশ্রমে জাটকা ধরায় ৮ জেলেকে কারা দন্ড
- নিউ জেএমবির আমির তুরস্কে গ্রেপ্তার
- কৃষকের হাতে সহজে ঋণ পৌছে দিতে নড়িয়ায় মেলা
- জ্বর, কাশিতে লেগেই আছে, ইনফ্লুয়েঞ্জা নয়তো?
- সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগাতে হবে
- বিরিয়ানিতে কুকুর-বিড়ালের মাংসের অভিযোগ সত্য নয়, বলছে সুলতানস ডাইন
- স্মাট বাংলাদেশ গড়তে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার মানুষ হতে হবে
- শরীয়তপুরে পদ্মা নদীর ২০ কি.মি. ইলিশসহ সবধরনের মাছ ধরা বন্ধ
- চোখে স্ট্রোক হতে পারে, চলে যেতে পারে দৃষ্টিশক্তি
- টেন মিনিট স্কুলে চাকরি, বেতন ৩৫ হাজার
- ভেদরগঞ্জে সহজে কৃষি ঋণ পৌছে দিতে মেলা