• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

মিয়ানমারে অস্ত্র বিক্রি বন্ধে জাতিসংঘের আহ্বান

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২১  

চলতি বছরে সহিংস সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে অস্ত্র বিক্রি বন্ধে  আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তার নিন্দা জানিয়ে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।অং সান সু চির মতো রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি এবং শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধ করার আহ্বানও জানিয়েছে।

গত ফেব্রুয়ারিতে এই সামরিক জান্তানির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে। 

আইনি বাধ্যবাধকতা না থাকলেও এই রেজ্যুলেশনটি রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। মিয়ানমারে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন এস বার্গনার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বলেছেন, ‘এখানে সত্যি একটা বড় ধরণের গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা রয়েছে।’

১১৯ টি দেশ জাতিসংঘের এই প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে, তবে বেলারুশের ভোট গেছে মিয়ানমারের পক্ষে।মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দুই বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারী  রাশিয়া ও চীনসহ আরও ৩টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল।

ভোট বর্জনকারী দেশগুলো বলছে, এটা মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা।

অন্য দেশগুলো বলছে, জাতিসংঘের এ প্রস্তাবনায় মিয়ানমারের মুসলিম রোহিঙ্গাদের উপর সামরিক নিপীড়নের বাস্তব চিত্র উঠে আসেনি। চার বছর আগে তাদের নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে কিভাবে তাদের শরণার্থী জীবন বেছে নিতে হয়েছে, তা উঠে আসেনি প্রস্তাবে।

জাতিসংঘে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ওলফ স্কোগ বলেছেন, ''এই প্রস্তাবের মাধ্যমে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা, তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার এবং নিজেদের জনগণের ওপর সহিংসতাকে তুলে ধরা হয়েছে। সেই সঙ্গে আড়াল থেকে এসব বিষয় বিশ্বের নজরে আনা হয়েছে।''

মিয়ানমারের জাতিসংঘ বিষয়ক দূত কাইউ মোয়ে তুন জাতিসংঘের এই প্রস্তাবনাকে ‘দুর্বল প্রস্তাব’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। 

মিয়ানমারের সামরিক জান্তার এ প্রতিনিধি জাতিসংঘে এই প্রস্তাব পাস করতে এত সময় লাগায় অসন্তুষ্টিও প্রকাশ করেছেন।

মিয়ানমারের ওই সামরিক অভ্যুত্থানের পর ৭৫ বছর বয়সী মিজ সু চি গৃহবন্দী রয়েছেন।এর মধ্যে শুধু তাকে আদালতে হাজির হতে দেখা গেছে।

গত বছরের নভেম্বরের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে অভ্যুত্থানের পক্ষে যুক্তি দিয়েছিল মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী।

অভ্যুত্থানের পর দেশটিতে ব্যাপক আকারে বিক্ষোভ শুরু হয়। মিয়ানমার সেনাবাহিনী নিষ্ঠুরভাবে গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারী, অ্যাকটিভিস্ট এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দমন অভিযান চালিয়েছে।

পর্যবেক্ষক সংস্থা অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিকাল প্রিজনারস- এর তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী ৮৬০ জনের বেশি ব্যক্তিকে হত্যা করেছে এবং পাঁচ হাজারের বেশি মানুষকে আটক করেছে।