• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

অনলাইনে প্রেম করে বিয়ে? যেসব বিপদ অপেক্ষা করছে আপনার জন্য

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৩ নভেম্বর ২০২১  

যুগ বদলেছে। সেই সঙ্গে বদলেছে মানুষের জীবনযাপনের ধরণও। মানুষ আজকাল আধুনিক সব প্রযুক্তিতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। প্রেমের ক্ষেত্রেও মানুষ এখন প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকেন। অপরিচিত কারো সঙ্গে আজকাল অনলাইনের মাধ্যমে পরিচিত হন, তারপর বন্ধুত্ব। এই বন্ধুত্ব থেকে প্রেম, তাপর বিয়েও হয়। এমন ঘটনা অহরহ-ই ঘটছে। 

এদিকে, আমেরিকার ম্যারেজ ফাউন্ডেশনের একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে এক অন্যরকম তথ্য। সেখানে বলা হচ্ছে অনলাইনে পরিচয়ের পর যাদের বিয়ে হয়েছে, তাদের মধ্যে বিচ্ছেদের সম্ভাবনা অনেকটা বেশি। বিয়ের প্রথম তিন বছরে এই বিচ্ছেদের সম্ভাবনা ১২ শতাংশ। অন্য দিকে, যারা পরিবার, আত্মীয় বা বন্ধুর সূত্রে পরিচিত হয়েছেন, তাদের বিচ্ছেদের সম্ভাবনা মাত্র ২ শতাংশ। বিয়ের ৭ বছর বাদে এই অনলাইনে আলাপ হওয়ার পর বিয়ে করা দম্পতির বিচ্ছেদের সম্ভাবনা বেড়ে দাঁড়ায় ১৭ শতাংশ, বাকি ক্ষেত্রে এই সম্ভাবনা ১০ শতাংশ।

এই সমীক্ষায় মোট ২ হাজার দম্পতির কাছে পৌঁছেছিলেন সমীক্ষকরা। যাদের প্রত্যেকেরই বয়স ৩০-এর উপরে। তাদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, ঠিক কোথায় তারা তাদের স্ত্রীদের সঙ্গে প্রথম দেখা করেছিলেন। সেখানে দেখা যায়, শেষ দু’বছরে যে যুগলের বিয়ে হয়েছে, তাদের ৩২ শতাংশের প্রথম আলাপ হয়েছে কোনো ডেটিং অ্যাপ বা অন্য কোনো অ্যাপের মাধ্যমে। ১৯৯০-এর দশকে বিবাহিতদের মধ্যে যে পরিমাণ ছিল মাত্র এক শতাংশ, আর ২০০০ –এর দশকে বিবাহিতদের মধ্যে মাত্র সাত শতাংশ।

পাশাপাশি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, অনলাইনে সাক্ষাৎ হওয়া যুগলদের ক্ষেত্রে বিচ্ছেদের সম্ভাবনা বেশি থাকে, এমনই নয়, ১০ বছরের বেশি বিবাহিতদের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, যে যুগলদের কর্মক্ষেত্রে আলাপ হওয়ার পর বিয়ে হয়েছে, তাদের মধ্যে ২৪ শতাংশকে বিচ্ছেদের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। সেখানে অনলাইনে আলাপ হওয়ায় যুগলদের মধ্যে বিচ্ছেদের পরিমাণ ২০ শতাংশ।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অনলাইনে আলাপ হওয়া যুগলদের বিচ্ছেদের মুখে পড়ার কারণ আসলে এরা প্রাথমিকভাবে একে অপরের ‘অপরিচিত’। তারা বলেছেন, যাদের নিজেদের মধ্যে পারিবারিক সূত্রে বা বন্ধু বৃত্তের সূত্রে কোনো যোগ নেই, তারা একে অপরের অভ্যাস ও বিভিন্ন দিক সম্পর্কে স্পষ্ট জানতে পারেন না। তাদের একে বারে প্রথম থেকে শুরু করতে হয়। তাতে সমস্যা বাড়তে থাকে। তবে বিচ্ছেদের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে প্রথম তিন বছরের মধ্যে। পরের পাঁচ, সাত ও দশ বছরের ক্ষেত্রে এই বিচ্ছেদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কম।